25.09.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এই ড্রামার খেলা অ্যাক্যুরেট চলছে, যার যে পার্ট যে মুহূর্তে হওয়া উচিত, সেটাই
রিপিট হয়ে চলেছে, এই বিষয়ে যথার্থ রীতিতে বুঝতে হবে"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমাদের প্রভাব কবে অন্যদেরকে প্রভাবিত করবে? এখনও পর্যন্ত কোন্ শক্তি দুর্বল?
উত্তরঃ
যখন তোমাদের
যোগ শক্তিশালী হবে, তখনই প্রভাব বিস্তার লাভ করবে । এখনও সেই শক্তি হয়নি । স্মরণেই
শক্তি বৃদ্ধি হয়ে থাকে। জ্ঞানের তলোয়ারে স্মরণের শক্তি প্রয়োজন, যা এখনও কম। যদি
নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে পার তবে তোমাদের নৌকা পার হয়ে যাবে ( সব
বাধা - বিপত্তি কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়া)। এটা সেকেন্ডের বিষয়।
ওম্ শান্তি ।
আত্মা রূপী (রূহানী)
বাচ্চাদের আত্মাদের বাবা বসে বোঝাচ্ছেন। আত্মিক বাবা একজনকেই বলা হয়। বাকি সবাই
আত্মা। তাঁকে পরম (সর্বশ্রেষ্ঠ) আত্মা বলা হয়। বাবা বলেন আমিও আত্মা, কিন্তু আমি
পরম সুপ্রিম এবং সত্য। আমি পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর। বাবা বলেন আমি ভারতেই আসি,
বাচ্চাদের বিশ্বের মালিক করে তুলতে। তোমরাই মালিক ছিলে তাইনা। এখন তোমাদের স্মৃতিতে
এসেছে। বাবা বাচ্চাদের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন - তোমরাই সর্বপ্রথম সত্যযুগে
এসেছিলে ভূমিকা পালন করতে, ৮৪ জন্ম ভোগ করে এখন সবার পিছনে এসে পড়েছো । তোমরা নিজেকে
আত্মা মনে কর । আত্মা অবিনাশী, শরীর বিনাশী । আত্মাই কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা আত্মাদের
সাথে কথা বলে। আত্ম -অভিমানী হয়ে না থাকার কারণই হলো দেহ-অভিমান। আমি আত্মা, এটাই
সবাই ভুলে গেছে। বলাও হয় পাপ আত্মা, পুণ্য আত্মা, মহান আত্মা। এরাতো কেউ পরমাত্মা
হতে পারে না। কেউ-ই নিজেকে শিব বলতে পারবে না । শরীরের নাম শিব এমনতো অনেকেই আছে।
আত্মা যখন শরীরে প্রবেশ করে তখনই নামকরণ করা হয়, কেননা শরীর দ্বারাই পার্ট প্লে করতে
হয় । তখনই শরীরের বোধ (অহঙ্কার) আসে যে, আমি অমুক। এখন তোমরা বুঝেছো ‐ হ্যাঁ আমি
আত্মা, ৮৪ জন্ম ভূমিকা পালন করে এসেছি। এখন আত্মাকে জেনেছি। আমি সতোপ্রধান ছিলাম,
এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছি । বাবা তখনই আসেন যখন আত্মার মধ্যে মরচে ধরে যায়। যেমন
সোনার মধ্যে খাদ পড়ে না! তোমরা প্রথমে খাঁটি সোনা ছিলে, তারপর রৌপ্য, তাম্র এবং
লৌহযুগে এসে কালো হয়ে গেছো । এ বিষয়ে আর কেউ-ই বোঝাতে পারবে না। সবাই বলে থাকে আত্মা
নির্লেপ (দাগহীন) । খাদ কিভাবে পড়ে তাও বাবা বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন। বাবা বলেন আমি
ভারতেই আসি । যখন সব তমোপ্রধান হয়ে পড়ে ,তখনই আমি আসি । নির্ধারিত সময়েই তিনি আসেন।
যেমন ড্রামায় অ্যাকুরেট খেলা চলে না ! যে সময়ে যেটা ঘটার ঠিক সেই মুহূর্তেই তা
রিপিট হবে, সেখানে কোনও রকম এদিকে-ওদিক হবে না । এটা হলো অনন্ত ড্রামা। এর গভীরতা
বুঝতে হবে। বাবা বলেন ড্রামা অনুসারেই তোমাদের ভূমিকা পালন হয়ে চলেছে। কোনও মানুষই
না রচয়িতাকে, না রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানে । ঋষি-মুনিরাও নেতি-নেতি করে গেছে।
তোমাদের যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে তোমরা কি জানো?
তোমরা চট করে উত্তর দিয়ে বলবে, হ্যাঁ জানি। সেটাও তোমরা এখনই জানতে পারো আর কখনও
পারবে না। বাবা বুঝিয়েছেন আমি রচয়িতা আর রচনার আদি মধ্য-অন্তকে তোমরা এখন জানো।
আচ্ছা, এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য কবে হবে? এরা কি জানে? না , জানে না, কারণ ওদের
মধ্যে জ্ঞান নেই। অতি চমকপ্রদ বিষয়। তোমরা বলতে পারবে আমাদের মধ্যে জ্ঞান আছে, এইসব
বিষয় তোমরা বুঝেছো । বাবার ভূমিকা একবারই । তোমাদের এইম অবজেক্টই হলো -
লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়া। হয়ে গেলে তো আর পঠন-পাঠনের প্রয়োজন পড়বে না। ব্যারিস্টার
হওয়ার ছিল হয়ে গেছে। বাবা যিনি শিক্ষা প্রদান করেন, তাঁকে তো স্মরণ করা উচিত। বাবা
তোমাদের সবকিছু সহজ করে দিয়েছেন। বাবা বারংবার তোমাদের বলছেন প্রথমে নিজেকে আত্মা
মনে কর, বল আমি বাবার সন্তান। প্রথমে তোমরা নাস্তিক ছিলে, এখন আস্তিক হয়েছ। এই
লক্ষ্মী-নারায়ণও আস্তিক হয়ে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছে, যা তোমরা এখন প্রাপ্ত করতে
চলেছ। এখন তোমরা আস্তিক হতে চলেছ। আস্তিক -নাস্তিক শব্দ দুটি এই সময়ের জন্যই
প্রযোজ্য। সত্যযুগে এই শব্দ দুটি নেই। জিজ্ঞাসা করারও কোনও প্রয়োজন পড়ে না। এখানে
প্রশ্ন ওঠে তবেই তো জিজ্ঞাসা করে - রচয়িতা আর রচনাকে জানো কি? ওরা বলে থাকে জানি
না। বাবাই এসে নিজ পরিচয় দেন আর রচনার আদি মধ্য-অন্তের রহস্য বুঝিয়ে বলেন। তিনি
হলেন অনন্ত জগতের রচয়িতা। বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন অন্যান্য ধর্ম স্থাপকরাও এখানে আসে।
তোমাদের সাক্ষাত্কার করিয়েছিলাম - ইব্রাহিম, খ্রাইস্ট ইত্যাদি ধর্ম স্থাপকরা কিভাবে
আসে । ওরা তো শেষের দিকে আসবে ।যখন আসবে চতুর্দিকে সেই আওয়াজ ছড়িয়ে পড়বে। বাবা বলেন
- বাচ্চারা, দেহ সহ দেহের সব ধর্মকে ত্যাগ করে আমাকে স্মরণ কর। এখন তোমরা সামনে বসে
আছ । নিজেকে দেহ মনে করা উচিত নয়, আমি আত্মা। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ
করলে নৌকা তীরে এসে লাগবে। সেকেন্ডের বিষয়। মুক্তিতে যাওয়ার জন্যই অর্ধকল্প ধরে
ভক্তি করে থাকে। কিন্তু কোনও আত্মাই ফিরে যেতে পারে না। ৫ হাজার বছর আগেও বাবা
বুঝিয়েছেন এখন আবারও বোঝাচ্ছেন। শ্রী কৃষ্ণ এ বিষয়ে বোঝাতে পারবে না। শ্রী কৃষ্ণকে
বাবা বলা যায় না। বাবা হন লৌকিক, অলৌকিক এবং পারলৌকিক। হদের (সীমিত)বাবা লৌকিক,
অসীম জগতের বাবা পারলৌকিক, যিনি আত্মাদের পিতা। অন্য জন হলেন সঙ্গম যুগের
ওয়ান্ডারফুল বাবা, এনাকে অলৌকিক বলা হয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে কেউ স্মরণ করে না। তিনি
আমাদের গ্রেট-গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার, এটা কারও বুদ্ধিতে আসে না। বলেও থাকে আদি দেব
অ্যাডম ..... কিন্তু এটা শুধু বলার জন্যই বলে । মন্দিরেও আদি দেবের চিত্র আছে তাইনা!
তোমরা ওখানে গেলে বুঝতে পারবে এ তো আমাদেরই স্মৃতি চিহ্ন। বাবাও বসে আছেন, আমরাও বসে
আছি। এখানে বাবা চৈতন্য রূপে বসে আছেন, ওখানে জড় চিত্র রাখা হয়েছে। উপরে স্বর্গও
ঠিক আছে। যারা এই মন্দির দেখেছে তারা জানে যে বাবা এখন আমাদের চৈতন্য রূপে রাজযোগ
শেখাচ্ছেন। পরে যার মন্দির নির্মাণ হবে। স্মৃতিতে আসা উচিত যে এই মন্দির আমাদের
স্মৃতি চিহ্ন। আমরা এখন লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে চলেছি । পূর্বে ছিলাম, তারপর সিঁড়ি বেয়ে
নেমে এসেছি, এখন আবারও ঘরে গিয়ে রাম রাজ্যে ফিরব । তারপর যখন রাবণ রাজ্য আসবে আমরাও
বাম মার্গের পথে নিচে নামব (বিকারের পথে এগিয়ে যাওয়া)।
বাবা কত ভালো ভাবে
বুঝিয়ে বলেন - এই সময় সমস্ত মানুষ পতিত সেইজন্যই আহ্বান করে বলে ‐ হে পতিত-পাবন এসে
আমাদের পবিত্র করে তোল। দুঃখ হরণ করে সুখের পথ বলে দাও ।বলেও থাকে ভগবান নিশ্চয়ই
কোনো না কোনো রূপ ধরে অবশ্যই আসবেন। কিন্তু কুকুর, বেড়াল, বা নুড়ি পাথরের মধ্যে তো
আসবেন না। গাওয়াও হয়ে থাকে ভাগ্যশালী রথে আসবেন। বাবা স্বয়ং বলেন আমি সাধারণ শরীরে
প্রবেশ করে থাকি। ব্রহ্মাও নিজের জন্ম সম্পর্কে জানে না, তোমরা এখন জেনেছ। এর অনেক
জন্মের শেষে যখন বাণপ্রস্থ অবস্থা হয় তখনই আমি প্রবেশ করি। ভক্তি মার্গে পান্ডবদের
অনেক বড়ো বড়ো চিত্র তৈরি করা হয়েছে, রেঙ্গুনে বুদ্ধেরও বিশাল চিত্র আছে। এতো বিশাল
তো কোনও মানুষের আকৃতি হয় না। বাচ্চাদেরও এখন দেখে হাসি পায়, রাবণের চিত্রও কিভাবে
তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর এর আকার বৃদ্ধি করে থাকে। এটা কি এমন জিনিস যা প্রতি বছর দহন
করে আসছে। এমন কোন শত্রু হতে পারে! শত্রুর চিত্রও তৈরি করে জ্বালিয়ে থাকে। আচ্ছা,
রাবণ কে? কবে থেকে শত্রু হয়েছে যে প্রতি বছর জ্বালিয়ে আসছে? এই শত্রু সম্পর্কে কারো
জানা নেই। এর অর্থও কেউ জানেনা। বাবা বুঝিয়ে বলেন ওরা হলো রাবণ সম্প্রদায় (যারা
জ্বালিয়ে আসছে), তোমরা হলে রাম সম্প্রদায় ভুক্ত। এখন বাবা বলছেন - গৃহস্থ পরিবারে
থেকেও কমল পুষ্পের মতো হও । আর আমাকে স্মরণ কর। বলে থাকে বাবা হংস আর বক একত্রে
কিভাবে থাকতে পারে ! খিটিমিটি লেগেই থাকে। বাবা বলেন - সে তো হবেই, কিন্তু সহ্য করতে
হবে। এর মধ্যেও যুক্তি আছে। বাবা হলেন চতুর বিনোদন প্রদান কারী। সবাই ওঁনাকে স্মরণ
করে বলে ‐ হে ভগবান দুঃখ হরণ কর , দয়া কর, মুক্তি দাও । মুক্তিদাতা বাবা সবারই একজন।
তোমাদের কাছে যে কেউ-ই আসুক না কেন তাদের আলাদা-আলাদা ভাবে বোঝাও, করাচিতে ব্রহ্মা
বাবা এক-এক করে আলাদা-আলাদা ভাবে বোঝাতেন ।
তোমরা বাচ্চারা যখন
যোগে শক্তিশালী হবে তখনই তোমাদের প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে । এখনও সেই শক্তি তোমরা অর্জন
করনি। স্মরনেই শক্তি পাওয়া যায়। পঠন-পাঠন দ্বারা শক্তি প্রাপ্ত হয় না। জ্ঞান হলো
তলোয়ার, তার মধ্যে স্মরণ শক্তি প্রয়োজন। সেই শক্তির অভাব রয়েছে। বাবা রোজ বলেন -
বাচ্চারা, স্মরণের যাত্রায় থাকলে তোমরা শক্তি পাবে, পঠন-পাঠনে এতো শক্তি নেই।
স্মরণের দ্বারাই তোমরা বিশ্বের মালিক হও । তোমরা নিজের জন্যই সবকিছু কর । অনেক এসেছে
তারপর চলেও গেছে। মায়া খুব শক্তিশালী অনেকেই আর ফিরে আসে না। তারা বলেও থাকে এই
নলেজ খুব ভালো, এবং সুখও অনুভব করে, কিন্তু বাইরে বেড়িয়ে সব ভুলে যায়। মায়া তাদের
এখানে টিকতে দেয় না। কেউ-কেউ অগাধ খুশি অনুভব করে বলে আহা ! বাবা এসেছেন, আমরা এখন
সুখধামে ফিরে যাব। বাবা বলেন - এখনও সম্পূর্ণ রাজধানী তো স্থাপন হয়নি। তোমরা এখন
ঈশ্বরীয় সন্তান এরপর দেবতা হবে। ডিগ্রি কম হয়ে গেছে না ! মিটারে পয়েন্টস রেকর্ড করা
হয়। তোমাদের পয়েন্টসের পরিমাণ কমে গেছে। তোমরা সর্বোচ্চ ডিগ্রিতে উত্তরণ কর এবং নিচে
নামার সাথে -সাথে ডিগ্রিও ধীরে-ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। সিঁড়ি দিয়ে তোমাদের নামতে হয়,
এর জ্ঞানও তোমাদের এখন বুদ্ধিতে আছে। উত্তরণের কলা সবার জন্য মঙ্গলময় । এরপর
ধীরে-ধীরে কলা কম হতে থাকে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এই চক্রকে ভালোভাবে বুঝতে হবে।
এই সময় তোমাদের উত্তরণের কলা কেননা বাবা সাথে আছেন ।ঈশ্বর যাঁকে মানুষ সর্বব্যাপী
বলে থাকে, সেই বাবা মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা বলে থাকেন আর বাচ্চারাও বাবা, বাবা করে
থাকে। বাবা আমাদের পড়াতে এসেছেন, আত্মারা পড়াশোনা করছে । আত্মাই কর্ম করে, আমরা
আত্মারা শান্ত স্বরূপ, এই শরীর দ্বারা কর্ম করে থাকি । অশান্ত শব্দটি তখনই বলা হয়
যখন দুঃখ নেমে আসে। শান্তি তো আমাদের স্বধর্ম। অনেকেই বলে মন শান্ত হোক, কিন্তু
আত্মার নিজস্ব স্বরূপই হলো শান্ত, তার ঘর শান্তিধাম । তোমরা নিজেদের ভুলে গেছ ।
তোমরা তো শান্তিধামে ছিলে, ওখানেই শান্তি পাওয়া যায়। আজকাল তো বলা হয় এক রাজ্য, এই
ধর্ম, এক ভাষা হোক । একটাই জাতি, একটাই ধর্ম, একজন গড । গভর্নমেন্ট লিখেও থাকে
ঈশ্বর একজন, তবুও সর্বব্যাপী বলে থাকে ? ঈশ্বর এক এই কথা তো কেউ মানতেই চায় না।
তোমাদের এখন এটা লিখতে হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র তৈরি করে, উপরে লিখে দাও
সত্যযুগে যখন এদের রাজ্য ছিল তখন এক ঈশ্বর, এক দৈবী ধর্ম ছিল। মানুষ কিছু বোঝে না,
কারণ মনোযোগ দেয় না। অ্যাটেনশন তারাই দেবে যারা ব্রাহ্মণ কুলের হবে। আর কেউ বুঝবে
না সেইজন্যই বাবা বলেন আলাদা-আলাদা ভাবে বসিয়ে বোঝাও। ফর্ম পূরণ করাও তবেই বুঝতে
পারবে, কেননা কেউ একে মানবে, তো অন্য কেউ আর কাউকে মানবে । সবাইকে একত্রে কিভাবে
বোঝাবে । নিজের -নিজের কথা শোনাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। প্রথমে তো জিজ্ঞাসা করা উচিত
কোথায় এসেছ ? বি.কে দের নাম শুনেছ ? প্রজাপিতা ব্রহ্মা তোমার কে হন ? কখনও নাম
শুনেছ ? তুমি কি প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান নও ? আমরা তো প্র্যাকটিকালি তাঁর সন্তান।
তুমিও তাঁর সন্তান কিন্তু কিছুই জানো না। বোঝানোর জন্য প্রকৃত যুক্তি প্রয়োজন। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
মন্দির ইত্যাদি দেখতে-দেখতে সবসময় যেন স্মৃতিতে থাকে যে এসব আমাদেরই স্মৃতি চিহ্ন।
এখন আমরা লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে চলেছি।
২ ) গৃহস্থ পরিবারে
থেকেও কমল পুষ্পের মতো থাকতে হবে। হাঁস আর বক একসাথে সুতরাং যুক্তি দিয়ে চলতে হবে।
সহ্যও করতে হবে।
বরদান:-
একতা
আর সন্তুষ্টতার সার্টিফিকেটের দ্বারা সেবাতে সদা সফলতামূর্তি ভব
সেবাতে সফলতামূর্তি
হওয়ার জন্য দুটি কথা মনে রাখতে হবে - এক, সংস্কার মিলনের ইউনিটি আর দুই, নিজেও সদা
সন্তুষ্ট থাকো, অন্যদেরকেও সদা সন্তুষ্ট করো। সদা একে-অপরের মধ্যে স্নেহের ভাবনা
রেখে, শ্রেষ্ঠতার ভাবনা রেখে সম্পর্কে এসো তাহলে এই দুই সার্টিফিকেট মিলে যাবে। তখন
তোমাদের প্র্যাক্টিক্যাল জীবন বাবার চরিত্রের দর্পণ হয়ে যাবে আর সেই দর্পণে বাবা
যেমন, তেমনই দেখা যাবে।
স্লোগান:-
আত্ম
স্থিতিতে স্থিত হয়ে অনেক আত্মাদেরকে জীবনদান করো তাহলে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হতে থাকবে।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
লগণের অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে যোগকে জ্বালা রূপ বানাও
যেরকম অগ্নিতে কোনও
জিনিস দাও তো নাম, রূপ, গুণ সব পরিবর্তন হয়ে যায়, এরকম যখন বাবার স্মরণের লগণের
অগ্নিতে পড়ো তখন পরিবর্তন হয়ে যাও। মানুষ থেকে ব্রাহ্মণ হয়ে যাও তারপর ব্রাহ্মণ থেকে
ফরিস্তা তথা দেবতা হও। লগণের অগ্নির দ্বারা এইরকম পরিবর্তন হয় যেখানে নিজস্বতা বলে
কিছুই থাকবে না, এইজন্য স্মরণকেই জ্বালারূপ বলা হয়।