25.10.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার এক দৃষ্টিতেই সমগ্ৰ বিশ্বের মনুষ্য মাত্র ধন্য (ভরপুর) হয়ে যায়, এরজন্য বলা হয় - দৃষ্টির দ্বারা ধন্য হয়ে যায়..."

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, তোমাদের হৃদয়ে খুশীর বাদ্যি বাজা উচিত - কেন?

উত্তরঃ  
কেননা তোমরা জানো যে - বাবা এসেছেন সবাইকে সাথে করে নিয়ে যেতে । এখন আমরা আমাদের বাবার সঙ্গে ঘরে ফিরে যাবো । হাহাকারের পরে জয়জয়াকার হবে । বাবার এক দৃষ্টিতেই সম্পূর্ণ বিশ্ব মুক্তি এবং জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে ।সমগ্ৰ বিশ্ব ধন্য হয়ে যাবে ।

ওম্ শান্তি ।
আত্মিক শিব বাবা বসে নিজের আত্মিক বাচ্চাদের বোঝান । তোমরা এও তো জানো যে, তৃতীয় নেত্রও হয় । বাবা জানেন যে, সমগ্ৰ দুনিয়াতে যে আত্মারা রয়েছে, সবাইকেই আমি অবিনাশী সম্পদের উত্তরাধিকার প্রদান করতে এসেছি । বাবার হৃদয়ে তো উত্তরাধিকারই স্মরণে থাকবে । লৌকিক বাবার হৃদয়েও উত্তরাধিকারই স্মরণে থাকবে । বাচ্চাদের উত্তরাধিকার দেবেন । বাচ্চা না থাকলে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায় যে, কাকে দেবেন । তারপর অ্যাডপ্ট করে নেয় । এখানে তো বাবা বসে আছেন, এনার তো সম্পূর্ণ দুনিয়াতে যে আত্মারা রয়েছে, তাদের সকলের দিকেই নজর যায় । তিনি জানেন যে, আমাকে সবাইকে উত্তরাধিকার প্রদান করতে হবে । যদিও তিনি এখানে বসে আছেন, কিন্তু নজর সম্পূর্ণ বিশ্বের উপরে, আর সম্পূর্ণ বিশ্বের মানুষের উপরে, কেননা সম্পূর্ণ বিশ্বকেই দৃষ্টির দ্বারা ধন্য করতে হবে । বাবা বোঝান যে, এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ । তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন সবাইকে শান্তিধাম আর সুখধামে নিয়ে যেতে । সকলেই বাবার স্নেহের দৃষ্টিতে ধন্য হয়ে যাবে । ড্রামার প্ল্যান অনুসারে তারা কল্প - কল্প ধন্য হয়ে যাবে । বাবা সব বাচ্চাদেরই স্মরণ করেন । নজর তো যায়, তাই না । সবাই তো পড়বে না । ড্রামার প্ল্যান অনুসারে সবাইকে ফিরে যেতে হবে, কেননা নাটক এখন সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । কিছু পরে নিজেরাই বুঝতে পারবে যে, এখন বিনাশ হয়ে যাবে । এখন নতুন দুনিয়ার স্থাপন হতে হবে, কেননা আত্মা তো চৈতন্য, তাই না । তাই বুদ্ধিতে এসে যাবে যে - বাবা এসেছেন । প্যারাডাইজ স্থাপন হবে আর আমরা শান্তিধামে চলে যাবো । সকলেরই তো গতি হবে, তাই না । বাকি, তোমাদের সদ্গতি হবে । এখন বাবা এসেছেন । আমরা স্বর্গে যাবো । জয়জয়াকার হয়ে যাবে । এখন তো অনেক হাহাকার । কোথাও আকাল হচ্ছে, কোথাও লড়াই চলছে, কোথাও আবার ভূমিকম্প হয় । হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হতে থাকে । মৃত্যু তো হতেই হবে । সত্যযুগে এমন কিছু হয় না । বাবা জানেন যে, এখন আমি যাচ্ছি, এরপর সমগ্ৰ বিশ্বে জয়জয়াকার হয়ে যাবে । আমি ভারতেই যাবো । সমগ্ৰ বিশ্বে ভারত যেন এক গ্রামের মতো ।বাবার জন্য তো গ্রামের মতোই হলো । ওখানে অনেক অল্প মানুষ থাকবে । সত্যযুগে সম্পূর্ণ বিশ্ব যেন এক ছোটো গ্রাম ছিলো । এখন তো কতো বৃদ্ধি হয়ে গেছে । বাবার বুদ্ধিতে তো সবই আছে, তাই না । এখন এই শরীরের দ্বারা তিনি বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন । তোমাদের পুরুষার্থ ওইরকমই চলতে থাকে, যেমন কল্পে - কল্পে চলে । বাবাও তো কল্পবৃক্ষের বীজ রূপ । এ হলো করপোরিয়াল (আকারী) বৃক্ষ । উপরে হলো ইনকরপোরিয়াল ( নিরাকারী ) বৃক্ষ । তোমরা জানো যে, এ কিভাবে তৈরী হয়েছে । এই বোধ অন্য কোনো মানুষের মধ্যে নেই । অবোধ আর বোধের মধ্যে তফাৎ দেখো । কোথায় বুদ্ধিমানরা স্বর্গে রাজত্ব করতেন, তাকে বলাই হয় সত্যখন্ড, হেভেন ।

বাচ্চারা, এখন তোমাদের ভিতরে খুব খুশী হওয়া উচিত । বাবা এসেছেন, এই পুরানো দুনিয়া তো অবশ্যই পরিবর্তন হয়ে যাবে । যে যতো পুরুষার্থ করবে, তত উঁচু পদ পাবে । বাবা তো পড়াচ্ছেন । তোমাদের এই স্কুল তো অনেক বৃদ্ধি পেতে থাকবে । অনেকই হয়ে যাবে । সকলের একত্রে তো স্কুলে হবেই না । এতো সবাই কোথায় থাকবে ! বাচ্চারা, তোমাদের স্মরণে আছে - এখন আমরা সুখধামে যাচ্ছি । কেউ যেমন বিলেতে যায়, তখন সেখানে আট - দশ বছর থাকে তো, তাই না । তারপর ভারতে ফিরে আসে । ভারত তো গরীব । বিলেতের মানুষদের এখানে সুখ হবে না । এমনিতে বাচ্চারা, তোমাদেরও এখানে সুখ নেই । তোমরা জানো যে, আমরা অনেক উঁচু পড়া পড়ছি, যার দ্বারা আমরা স্বর্গের মালিক দেবতা হয়ে যাই । ওখানে কতো সুখ থাকবে । সেই সুখকে সবাই স্মরণ করে । এই কলিযুগ তো স্মরণে আসতেই পারে না, এখানে তো অগাধ দুঃখ । এই রাবণ রাজ্য, পতিত দুনিয়াতে আজ অপরমপার দুঃখ, কাল আবার অগাধ সুখ হবে । আমরা যোগবলের দ্বারা অথৈ সুখের দুনিয়া স্থাপন করছি । এ তো রাজযোগ, তাই না । বাবা নিজেই বলেন, আমি তোমাদের রাজার রাজা বানাই । তাই এমন যিনি বানান, সেই টিচারকে তো স্মরণ করা উচিত, তাই না । টিচার ছাড়া তো ব্যারিস্টার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি হতেই পারে না । এ তো আবার হলো নতুন বিষয় । আত্মাদের যোগযুক্ত হতে হবে পরমাত্মা পিতার সঙ্গে, যাতেই অনেক সময় লাগছে । বহুকাল কি ? বাবা তাও নিজেই বোঝাতে থাকেন । মানুষ তো লাখ বছর আয়ু বলে দেয় । বাবা বলেন - তা নয়, এ তো প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর তোমরা যারা প্রথমের দিকে বাবার থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছিলে, তারা এসেই বাবার সঙ্গে মিলিত হও । তোমাদেরই পুরুষার্থ করতে হবে । বাবা মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চাদের কোনো অসুবিধা করান না, তিনি কেবল বলেন, নিজেকে আত্মা মনে করো । জীব আত্মা তো, তাই না । আত্মা অবিনাশী, জীব বিনাশী । আত্মা এক দেহ ত্যাগ করে অন্য দেহ ধারণ করে, আত্মা কখনোই পুরানো হয় না । এ তো আশ্চর্য, তাই না । যিনি পড়ান, তিনিও ওয়ান্ডারফুল, পড়াও ওয়ান্ডারফুল । কারোরই স্মরণে থাকে না, সবাই ভুলে যায় । আগের জন্মে কি পড়তে, কারোর স্মরণে আছে কি? এই জন্মে তোমরা পড়ো আর রেজাল্ট নতুন দুনিয়াতে প্রাপ্ত হয় । বাচ্চারা, এ কেবল তোমরাই জানো । একথা স্মরণে থাকা উচিত - এখন এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ, আমরা নতুন দুনিয়াতে যাবো । একথা স্মরণে থাকলে তবুও তোমাদের বাবার কথা স্মরণে থাকবে । এই স্মরণের জন্য বাবা অনেক উপায় বলে দেন । তিনি যেমন বাবাও, তেমনই টিচার এবং সদ্গুরুও । এই তিন রূপেই স্মরণ করো । তিনি স্মরণ করার কতো উপায় বলে দেন, কিন্তু মায়া আমাদের ভুলিয়ে দেয় । বাবা যে নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন, বাবাই বলেছেন যে, এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ, এই কথা স্মরণ করো, তবুও তোমরা কেন স্মরণ করতে পারো না । তিনি স্মরণ করার উপায় বলে দেন । এরপর সাথে সাথে বলেনও যে, মায়া অতি প্রবল। প্রতি মুহূর্তে তোমাদের ভুলিয়ে দেবে আর দেহ বোধ সম্পন্ন বানিয়ে দেবে, তাই যতটা সম্ভব তোমরা স্মরণ করতে থাকো । উঠতে - বসতে, চলতে - ফিরতে দেহের পরিবর্তে নিজেকে দেহী মনে করো । এটাই হলো পরিশ্রম । এই নলেজ তো খুবই সহজ । সমস্ত বাচ্চারা বলে যে, স্মরণ টেকে না । তোমরা বাবাকে স্মরণ করো আর মায়া আবার তোমাদের নিজের প্রতি আকৃষ্ট করে নেয় । এর উপরই এই খেলা বানানো আছে । তোমরাও মনে করো যে, আমাদের বুদ্ধিযোগ যে বাবার সাথে আর পড়ার সাবজেক্টে হওয়া উচিত, তা নেই । আমরা ভুলে যাই । তোমাদের কিন্তু ভুলে যাওয়া উচিত নয় ।বাস্তবে এই চিত্রেরrর কোনো দরকার নেই কিন্তু পড়ানোর সময় কিছু তো সামনে দেখানো চাই, তাই না । কতো চিত্র তৈরী হতে থাকে । পাণ্ডব গভর্নমেন্টের প্ল্যান দেখো কেমন । ওই গভর্নমেন্টেরও প্ল্যান থাকে । তোমরা মনে করো, নতুন দুনিয়াতে কেবল ভারতই ছিলো, খুবই ছোটো ছিলো । সারা ভারত বিশ্বের মালিক ছিলো ।সেখানে এভ্রিথিং নিউ ( প্রতিটি জিনিসই নতুন ) হয় । দুনিয়া তো একই । এক্টররাও সবাই এক, কেবল এই সৃষ্টিচক্র ঘুরতে থাকে । তোমরা গণনা করবে, এতো সেকেন্ড, এতো ঘণ্টা, দিন - বর্ষ সম্পূর্ণ হয়ে আবার চক্র ঘুরতে থাকবে । আজ - কাল করতে করতে পাঁচ হাজার বছর সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । সব সিন - সিনারি, খেলাধূলা হয়ে আসছে । এ কতো বড় অসীম জগতের বৃক্ষ । গাছের পাতা তো আর গণনা করা যায় না । এ হলো বৃক্ষ (কল্প) । এর ফাউন্ডেশন হলো দেবী - দেবতা ধর্ম, তারপর এর থেকে মুখ্য এই তিন ধর্ম নির্গত হয়েছে । বাকি, ঝাড়ের পাতা তো অনেক বেশী । কারোর শক্তিই নেই যে, গণনা করতে পারে । এই সময় সর্ব ধর্মের ঝাড় বৃদ্ধি পেয়ে গেছে । এ হলো অসীম জগতের বড় ঝাড় । এই সব ধর্ম আর থাকবে না । এখন সমস্ত ঝাড় দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ফাউন্ডেশন আর নেই । বেনিয়ন ট্রির (বট বৃক্ষ) উদাহরণ একদম সঠিক । এ একটাই ওয়ান্ডারফুল বৃক্ষ, বাবাও ড্রামাতে দৃষ্টান্ত রেখেছেন বোঝার জন্য । ফাউন্ডেশন তো আর নেই । তাই এ হলো বোঝার মতো কথা । বাবা তোমাদের কতো বুদ্ধিমান তৈরী করেছেন । এখন আর দেবতা ধর্মের ফাউন্ডেশন নেই । বাকি কিছু নিদর্শন আছে, যা আটাতে নুনের সমান । প্রায় এই নিদর্শনই বাকি থেকে গেছে । তাই বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এই সমস্ত জ্ঞান আসা উচিত । বাবার বুদ্ধিতেও তো নলেজ আছে, তাই না । তোমাদেরও তিনি সম্পূর্ণ নলেজ দান করে নিজের সমান বানাচ্ছেন । বাবা হলেন বীজরূপ আর এ হলো উল্টো বৃক্ষ । এ হলো অসীম জগতের অনেক বড় ড্রামা । তোমাদের বুদ্ধি এখন উপরে চলে (সূক্ষ্ম বুদ্ধি) গিয়েছে । তোমরা বাবাকে আর এই রচনাকে জেনে গেছো । শাস্ত্রে যা আছে তাতে মুনি - ঋষি কিভাবে জানবে? একজনও যদি জানতে পারে তাহলে পরম্পরা চলতে থাকবে । দরকারই নেই, যেহেতু সদ্গতি হয়ে যায় । মাঝে কেউই ফিরে যেতে পারে না । নাটক সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত সব এক্টরস্ এখানেই থাকবে, যেহেতু শিব বাবাও এখানেই আছেন । যখন ওখানে সম্পূর্ণ খালি হয়ে যাবে, তখনই তো শিব বাবার বরযাত্রী যাবে । প্রথমে তো ইনি গিয়েই বসবেন । তাই বাবা বসে এই সম্পূর্ণ নলেজ দান করেন যে এই ওয়ার্ল্ডের চক্র কিভাবে রিপিট হয় । সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ.... তারপর সঙ্গম আসে । এর গায়ন আছে কিন্তু সঙ্গম যুগ কখন হয়, এ কেউই জানে না ।

বাচ্চারা, তোমরা বুঝে গেছো যে - যুগ হলো চার । এ হলো লীপ যুগ, একে মিডগেট বলা হয় । শ্রীকৃষ্ণকেও মিডগেট দেখানো হয় । তাই এ হলো নলেজ । নলেজকে ভেঙ্গেচুরে ভক্তিতে কি বানিয়ে দিয়েছে । জ্ঞানের সব সূত্র বিভ্রান্ত হয়ে আছে । তা বোঝানোর জন্য তো একমাত্র বাবাই আছেন । প্রাচীন রাজযোগ শেখার জন্য মানুষ বিলেতে যায় । তা তো এটাই, তাই না । প্রাচীন অর্থাৎ প্রথম । সহজ রাজযোগ শেখানোর জন্য বাবা এসেছেন । এতে কতো অ্যাটেনশান থাকে । তোমরাও এটেনশান রাখো যাতে স্বর্গ স্থাপন হয়ে যায় । আত্মার তো স্মরণে আসে, তাই না । বাবা বলেন, যে নলেজ আমি তোমাদের দান করি, আমিই আবার এসে তা দান করবো । এ হলো নতুন দুনিয়ার জন্য নতুন জ্ঞান । এই জ্ঞান বুদ্ধিতে থাকার কারণে খুব খুশী আসে । সময় তো অল্প বাকি আছে । এখন চলে যেতে হবে । একদিকে খুশী হয়, অন্যদিকে আবার ফীলও হয় । আরে, এমন মিষ্টি বাবা আমরা আবার পরের কল্পে দেখবো । বাবাই বাচ্চাদের এতো সুখ প্রদান করেন, তাই না । বাবা শান্তিধাম এবং সুখধামে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আসেন । তোমরা যদি শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করো তাহলে বাবাও স্মরণে আসবে । তোমরা এই দুঃখধামকে ভুলে যাও । অসীম জগতের পিতা অসীম জাগতিক কথা শোনান । পুরানো দুনিয়ার থেকে তোমাদের মমত্ব দূর হয়ে গেলে তোমরা খুশীতেও থাকবে । তোমরা রিটার্নে আবার সুখধামে ফিরে যাও । তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে । যারা কল্পে - কল্পে এমন হয়েছে, তারাই হবে, আর তাদেরই খুশী হবে, তারা খুশীর সঙ্গে এখানে পুরানো শরীর ত্যাগ করবে । তারপর নতুন শরীর ধারণ করে সতোপ্রধান দুনিয়াতে যাবে । এই নলেজও তখন শেষ হয়ে যাবে । এই কথা তো খুবই সহজ । রাতে ঘুমানোর সময় এমন - এমনভাবে মন্থন করো, তাহলে খুশী থাকবে । আমরা এমন তৈরী হচ্ছি । সারাদিনে আমরা কোনো শয়তানি তো করি নি ? পাঁচ বিকারের মধ্যে কোনো বিকার তো আমাদের বিরক্ত করেনি? লোভ তো আসেনি? এভাবে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) যোগবলের দ্বারা অগাধ সুখের দুনিয়া স্থাপন করতে হবে । এই দুঃখের পুরানো দুনিয়াকে ভুলে যেতে হবে । এই খুশী যেন থাকে যে, আমরা সত্য খণ্ডের মালিক হচ্ছি ।

২ ) রোজ নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে, সারাদিনে কোনো বিকার আমাকে বিরক্ত করোনি তো? কোনো শয়তানি কাজ তো করোনি? লোভের বশীভূত তো হয় নি?

বরদান:-
বরদাতার দ্বারা সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পত্তির বরদান প্রাপ্তকারী সম্পত্তিবান ভব

কারোর কাছে যদি স্থূল সম্পত্তি থাকে তবুও সদা সন্তুষ্ট থাকতে পারে না । স্থূল সম্পত্তির সঙ্গে যদি সর্ব গুণের সম্পত্তি, সর্ব শক্তির সম্পত্তি আর জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি না থাকে তাহলে সদা সন্তুষ্টতা থাকতে পারে না । তোমাদের সকলের কাছে তো এইসব শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি রয়েছে । দুনিয়ার মানুষ কেবল স্থূল সম্পত্তিবানদেরই বিত্তবান মনে করে কিন্তু বাচ্চারা, বরদাতা বাবার দ্বারা তোমরা 'সর্ব শ্রেষ্ঠ সম্পত্তিবান ভব' এই বরদান প্রাপ্ত করেছো ।

স্লোগান:-
প্রকৃত সাধনার দ্বারা 'হায় - হায়'কে 'বাঃ -বাঃ'তে পরিবর্তন করো ।