26-01-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 15-12-2003 মধুবন


“প্রত্যক্ষতার জন্য সাধারণকে অলৌকিকতায় পরিবর্তন করে দর্শনীয় মূর্ত হও”


আজ বাপদাদা চতুর্দিকে তাঁর নিজের ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের ললাটের মাঝখানে ভাগ্যের তিন নক্ষত্র ঝলমল করতে দেখছেন। কত শ্রেষ্ঠ ভাগ্য আর কত সহজে প্রাপ্ত হয়েছে! এক - অলৌকিক শ্রেষ্ঠ জন্মের ভাগ্য, দুই - শ্রেষ্ঠ সম্বন্ধের ভাগ্য, তিন - সর্বপ্রাপ্তির ভাগ্য। ভাগ্যের তিন ঝলমলে নক্ষত্র দেখে বাপদাদাও উৎফুল্ল হচ্ছেন। জন্মের ভাগ্য দেখ - স্বয়ং ভাগ্য বিধাতা বাবা দ্বারা তোমাদের সবার জন্ম হয়েছে। যখন জন্ম দাতাই ভাগ্য বিধাতা তাহলে জন্ম কত অলৌকিক আর শ্রেষ্ঠ। তোমাদের সবারও নিজেদের এই ভাগ্যের জন্মের নেশা আর খুশি আছে তো না! সেইসঙ্গে সম্বন্ধের বিশেষত্ব দেখো - সারা কল্পে এমন সম্বন্ধ অন্য কোনও আত্মার নেই। তোমরা সব বিশেষ আত্মারই এক দ্বারা তিন সম্বন্ধ প্রাপ্ত হয়। এক বাবাই বাবাও, শিক্ষকও আর সদগুরুও। এরকম এক দ্বারা তিন সম্বন্ধ ব্রাহ্মণ আত্মা ব্যতীত কারও নেই। অনুভব আছে না? বাবার সম্বন্ধ দ্বারা উত্তরাধিকারও দিচ্ছেন, পরিপালনও করছেন। উত্তরাধিকারও দেখ কত শ্রেষ্ঠ আর অবিনাশী! দুনিয়ার লোকে বলে - আমাদের পালনকর্তা স্বয়ং ভগবান। এমন পালনা, পরমাত্ম- পালন, পরমাত্ম-ভালোবাসা, পরমাত্ম-উত্তরাধিকার কা'র প্রাপ্ত হয়! তো একই বাবা, পালনকর্তা আর শিক্ষকও।

সব আত্মার জীবনে বিশেষ তিন সম্বন্ধ আবশ্যক, কিন্তু তিন সম্বন্ধই আলাদা আলাদা হয়। তোমাদের একের মধ্যে তিন সম্বন্ধ। পঠন-পাঠনও দেখ, তিন কালের পাঠ্যবস্তু। ত্রিকালদর্শী হওয়ার পড়াশোনা। পঠন-পাঠনকে সোর্স অফ ইনকাম বলা হয়ে থাকে। পঠন-পাঠন থেকে পদের প্রাপ্তি হয়। সারা বিশ্বে দেখ - সর্বাধিক উঁচু থেকে উঁচু পদ রাজত্ব-পদ গাওয়া হয়েছে। তো এই পড়াশোনা থেকে তোমাদের কী পদ প্রাপ্ত হয়? এখনও রাজা এর পর ভবিষ্যতেও রাজপদ। এখন স্ব-রাজ্য, রাজযোগী স্বরাজ্য অধিকারী আর ভবিষ্যতের অবিনাশী রাজ্য ভাগ্য তো আছেই। এর থেকে আর কোনো বড় পদ হয় না। শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষাও ত্রিকালদর্শীর এবং পদও দৈবী রাজত্বের পদ। এমন শিক্ষকের সম্বন্ধ ব্রাহ্মণ জীবন ব্যতীত না কারও হয়েছে, না হতে পারে। সেইসঙ্গে সদ্গুরুর সম্বন্ধ, সদ্গুরু দ্বারা শ্রীমৎ, যে শ্রীমতের গায়ন আজও ভক্তিতে হচ্ছে। তোমরা নিশ্চয়ের সাথে বলো আমাদের প্রতিটা কদম কিসের আধারে চলে, শ্রীমতের আধারে চলে তো চেক করো - প্রতিটা কদম শ্রীমতে চলে? ভাগ্য তো প্রাপ্ত হয়েছে কিন্তু জীবনে ভাগ্যপ্রাপ্তির অনুভব আছে? প্রতিটা কদম শ্রীমতে আছে নাকি কখনো কখনো মনমত কিংবা পরমত মিক্স হয় না, হয় তো না? এর পরখ হলো - যদি কদম শ্রীমতে রয়েছে তবে প্রতি কদমে পদ্ম গুন উপার্জন জমা হওয়ার অনুভব হবে। কদম যদি শ্রীমতে আছে তো সহজ সফলতা আছে। সেইসঙ্গে সদ্গুরু দ্বারা বরদানের খনি প্রাপ্ত হয়। বরদান যে আছে তার লক্ষণ - যেখানে বরদান আছে সেখানে পরিশ্রম হবে না। তো সদ্গুরুর সম্বন্ধে শ্রেষ্ঠ মত আর সদা বরদানের প্রাপ্তি রয়েছে। এছাড়া, বিশেষত্ব সহজ মার্গের, যখন একের সাথে তিন সম্বন্ধ আছে তো এককে স্মরণ করা সহজ। তিনকে আলাদা আলাদা করে স্মরণ করার প্রয়োজন নেই, সেইজন্য তোমরা সবাই বলে থাকো, এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নেই। এটা সহজ কেননা, একেতে বিশেষ সম্বন্ধ এসে যায়। তো ভাগ্যের নক্ষত্র ঝলমল করছে কারণ বাবা দ্বারা তো সবারই প্রাপ্তি আছেই।

ভাগ্যের তৃতীয় নক্ষত্র হলো - সর্ব প্রাপ্তি। গায়ন আছে ব্রাহ্মণের ভাণ্ডারে অপ্রাপ্ত কোনো বস্তু নেই। স্মরণ করো নিজেদের ভান্ডার। এমন ভান্ডার কিংবা সর্ব প্রাপ্তি অন্য কারও দ্বারা হতে পারে! হৃদয় থেকে বলেছো আমার বাবা আর ভান্ডার হাজির। সেইজন্য এত শ্রেষ্ঠ ভাগ্য যেন স্মৃতিতে থাকে, এতে নম্বর অনুক্রম আছে। এখন বাপদাদা এটাই চান যে সব বাচ্চা যখন কোটির মধ্যে কেউ তখন সব বাচ্চা নম্বর ক্রমে নয়, তাদের নম্বর ওয়ান হতে হবে। সুতরাং নিজেকে জিজ্ঞাসা করো নম্বর ক্রমে আছ নাকি নম্বর ওয়ান। কী তোমরা? টিচার্স, নম্বর ওয়ান নাকি নম্বরানুক্রমিক? পান্ডব, তোমরা নম্বর ওয়ান নাকি নম্বর ক্রম? তোমরা কী? যারা মনে করো, আমি নম্বর ওয়ান এবং সদা থাকব, এমন নয় যে আজ নম্বর ওয়ান থাকবে, কাল নম্বর ক্রমে এসে যাবে, যারা এতটা নিশ্চয়বুদ্ধি যে যেমন ব্রহ্মা বাবা সদা নম্বর ওয়ান, তেমনই আমি ফলো ব্রহ্মা বাবা এতে নম্বর ওয়ান এবং নম্বর ওয়ান থাকব, তারা হাত তোলো। আছো? বৃথাই হাত তুলো না, ভেবেচিন্তে তুলো। লম্বা করে তোলো, যদি অর্ধেক তুলেছো তো অর্ধেক হয়েছে। হাত তো অনেকে তুলেছো, দেখেছো, দাদি দেখেছেন। এখন তাদের থেকে (যারা নম্বর ওয়ান তাদের থেকে) হিসেব নাও। জনক (দাদি জানকি) হিসেব নাও। ডবল ফরেনার্স হাত তুলেছে। হাত তোলো, নম্বর ওয়ান তোমরা? হাত তুলেছো তো বাপদাদার হৃদয় খুশি করে দিয়েছো। অভিনন্দন। আচ্ছা - হাত তুলেছো এর অর্থ হলো যে তোমাদের নিজের মধ্যে সাহস আছে আর সাহস আছে তো বাপদাদাও সহায় আছেনই। কিন্তু এখন বাপদাদা কী চান? তোমরা নম্বর ওয়ান হও, এতো খুশির ব্যাপার। কিন্তু... কিন্তু বাবা বলবেন কি, নাকি কিন্তু নেইই? বাপদাদার কাছে কিন্তু রয়েছে।

বাপদাদা দেখেছেন যে মনে সমাহিত হয়ে আছে কিন্তু মন পর্যন্ত আছে, মুখ আর আচরণ পর্যন্ত নেই। এখন বাপদাদা নম্বর ওয়ানের স্টেজ আচার আচরণে এবং মুখমন্ডলে দেখতে চান। এখন সময় অনুসারে যাদেরকে নম্বর ওয়ান বলা হবে তাদের আচরণে দর্শনীয় মূর্তি দেখা যাওয়া উচিত। তোমাদের মুখ যেন বলে যে ইনি দর্শনীয় মূর্ত। তোমাদের জড় চিত্র যেন অন্তিম জন্ম পর্যন্ত, অন্তিম সময় পর্যন্তও দর্শনীয় মূর্ত অনুভূত হয়। তো চৈতন্যতেও যেমন ব্রহ্মা বাবাকে দেখেছ সাকার স্বরূপে, ফরিস্তা তো পরে হয়েছেন, কিন্তু সাকার স্বরূপে থাকাকালীন তোমরা সবাই কী দেখতে পেতে? সাধারণ রূপ দেখা যেত? অন্তিম ৮৪ তম জন্ম, পুরানো জন্ম, ৬০ বছরের আয়ুর পরেও আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত দর্শনীয় মূর্ত অনুভব করেছ। করেছ না? সাকার রূপে করেছ তো না? ঠিক একইরকম যারা নম্বর ওয়ান হওয়ার জন্য হাত উঠিয়েছে, টি. ভি.তে দেখিয়েছ, তাই না? বাপদাদা তাদের ফাইল দেখবেন, ফাইল, ফাইল তো আছে না বাপদাদার কাছে! তো এখন থেকে তোমাদের প্রতিটা আচরণ থেকে অনুভব হওয়া উচিত, হতে পারে সেটা সাধারণ কর্ম, অথবা তোমরা যে কোনো কাজই করো না কেন, বিজনেস করো বা ডাক্তারি করো অথবা ওকালতি করো, যা কিছুই করো কিন্তু যে স্থানে তোমরা সম্বন্ধ সম্পর্কে আসো সেখানে তোমাদের আচার আচরণ থেকে তাদের এটা অনুভব হওয়া দরকার যে এঁরা স্বতন্ত্র এবং অলৌকিক, নাকি তারা ভাবে সাধারণ, এরকম তো লৌকিকেও হয়! এটা কাজের বিশেষত্ব নয়, বরং প্র্যাকটিক্যাল লাইফের বিশেষত্ব। খুব ভালো বিজনেস, খুব ভালো ওকালতি করে, খুব ভালো ডিরেক্টর ... এরকম তো অনেক আছে। একটা বুক বের হয় যাতে বিশেষ আত্মাদের নাম থাকে। কত সংখ্যকের নাম আসে! অনেক থাকে। এ' এই বিশেষত্ব দেখিয়েছে, এ' এই বিশেষত্ব দেখিয়েছে, তার নাম উল্লিখিত হয়েছে। তো তোমরা যারা হাত উঠিয়েছ, উঠানো তো সবারই উচিত, কিন্তু যারা উঠিয়েছ, সবাইকে উঠাতেই হবে। তো তোমাদের প্র্যাকটিক্যাল আচরণে তারা যেন চেঞ্জ দেখে। এই আওয়াজ এখনও বের হয়নি, হতে পারে ইন্ডাস্ট্রিতে বা যে কোনও কোথাও কাজ করো না কেন, প্রত্যেক আত্মা যেন বলে যে ইনি সাধারণ কর্ম করার সময়তেও দর্শনীয় মূর্ত। এমন হতে পারে, হতে পারে? যারা সামনে আছ তারা বলো, হতে পারে? রেজাল্টে এটা কম শোনা যাচ্ছে। সাধারণ ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। হ্যাঁ, যখন কখনো কোনো বিশেষ কার্য করো, বিশেষ অ্যাটেনশন রাখো তখন তো তোমাদের ঠিক প্রতীয়মান হয়, যতই হোক, বাবার প্রতি তোমাদের ভালবাসা রয়েছে, বাবার জন্য ভালবাসা আছে? কত পার্সেন্ট? টিচার্স হাত উঠাও। অনেক টিচার এসেছে। এটা হতে পারে? নাকি তোমরা কখনো সাধারণ কখনো বিশেষ? তোমরা যে কোনো কার্য করার কালে যে ভাষা নির্গত হয়, তোমাদের সেই ভাষাও অলৌকিক হওয়া উচিত। কোনো সাধারণ ভাষা নয়।

এখন সব বাচ্চার মধ্যে বাপদাদার এই শ্রেষ্ঠ আশা - পুনরায় বাবার প্রত্যক্ষতা হবে। তোমাদের কর্ম, আচার আচরণ, মুখমন্ডল আপনা থেকেই সফল করবে, ভাষণ দ্বারা সফল হবে না। ভাষণ তো কেবল একটা তির লাগানো! প্রত্যক্ষতা হবে, কিন্তু তোমাদের কে বানিয়ে থাকেন? তারা নিজেরা খুঁজবে, নিজেরা জিজ্ঞাসা করবে তোমাদের কে বানিয়েছেন? রচনা, রচয়িতাকে প্রত্যক্ষ করায়।

তো এই বছরে কী করবে? দাদি তো বলেছেন গ্রামের সেবা করতে। সেটা তো করবে, কিন্তু বাপদাদা এখন এই পরিবর্তন দেখতে চান। এক বছরে সম্ভব? এক বছরে? যখন পরবর্তী সিজন শুরু হবে তখন এই কন্ট্রাস্ট দৃশ্যমান হওয়া উচিত, সব সেন্টার থেকে যেন আওয়াজ আসে মহান পরিবর্তন, তারপরে গীত গাইবে পরিবর্তন, পরিবর্তন ....। সাধারণ বোল তোমাদের ভাগ্যের সামনে ভালো লাগে না। কারণ হলো "আমি"। এই আমি, আমিত্ব-ভাব, আমি যা ভেবেছি, আমি যা বলেছি, আমি যা করি ... সেটাই ঠিক। এই আমিত্ব বোধের কারণে অভিমানও আসে, ক্রোধও আসে। দুটোই নিজের কাজ করে নেয়। বাবার প্রসাদ - আমি কোথা থেকে এসেছি! প্রসাদকে কোনো আমিত্ব বোধে কী আনতে পারে? যদি বুদ্ধিও আছে, কোনো গুণও আছে, কোনো বিশেষত্ব আছে, বাপদাদা সেই বিশেষত্বকে, বুদ্ধিকে সাবাশি দেন কিন্তু আমিত্ব এনো না। এই আমিত্ব বোধ সমাপ্ত করো। এটা সূক্ষ্ম আমিত্ব বোধ। অলৌকিক জীবনে এই আমিত্ব বোধ দর্শনীয় মূর্ত হতে দেয় না। তো দাদিরা কী মনে করছ? পরিবর্তন হতে পারে? তিন পান্ডব (নির্বৈর ভাই, রমেশ ভাই, বৃজমোহন ভাই) বলো। তোমরা তিন বিশেষ তো না! তোমরা তিন বলো, হতে পারে? হতে পারে? আচ্ছা - এখন এর কমান্ডার হও, অন্য কোনো কিছুতে কমান্ডার হ'য়ো না। পরিবর্তনে কমান্ডার হও। মধুবনের তোমরা হবে? হবে তোমরা? মধুবনের যারা, হাত তোলো। আচ্ছা - হবে তোমরা। যারা বম্বের তারা হাত তোলো, যোগিনীও বসে আছে। যোগিনী বোন (পালি) বম্বের তোমরা হবে? যদি হবে তো হাত নাড়াও। আচ্ছা দিল্লির তোমরা হাত তোলো। তো দিল্লির তোমরা করবে? টিচার্স বলো। দেখো, সব মাসে বাপদাদা রিপোর্ট নেবে। সাহস আছে তো না? অভিনন্দন।

আচ্ছা, তোমরা যারা ইন্দোরের তারা হাত উঠাও। ইন্দোরের টিচার্স হাত উঠাও। তো টিচার্স তোমরা করবে? ইন্দোের করবে? হাত নাড়াও। সব হাত নড়েনি। করবে, করাবে? দাদীরা দেখো। তাঁরা টি. ভি. তে দেখছেন। গুজরাট হাত উঠাও। গুজরাট করবে? হাত নাড়ানো তো সহজ। এখন মনকে নাড়া দিতে হবে। কেন, তোমাদের করুণা হয় না এত দুঃখ দেখে? এখন যদি পরিবর্তন হয় তবে ভালো তো না? সুতরাং এখন প্রত্যক্ষতার প্ল্যান হলো - প্র্যাকটিক্যাল জীবন। বাকি তোমরা তো প্রোগ্রাম করেই থাকো, এতো বিজি থাকার জন্য খুব ভালো কিন্তু প্রত্যক্ষতা হবে তোমাদের আচার-আচরণ দ্বারা। আর কোনও জোন বাকি থেকে গেছে? ইউ.পি.র যারা হাত তোলো। ইউ.পি. কম আছে। আচ্ছা ইউ.পি. করবে? মহারাষ্ট্রের তোমরা হাত তোলো। লম্বা করে উঠাও। আচ্ছা। মহারাষ্ট্র করবে? অভিনন্দন। রাজস্থান তোলো। টিচার্স হাত নাড়াও। কর্ণাটক হাত তোলো। আচ্ছা - কর্ণাটক করবে তোমরা? অন্ধ্রপ্রদেশ হাত তোলো। ঠিক আছে এটা চিটচ্যাট করা হয়েছে। ডবল বিদেশি হাত তোলো। জয়ন্তী কোথায়? করবে ডবল বিদেশি? এখন দেখ, সভার মধ্যে কোথায় আছে। সবাই খুব ভালো সাহস দেখিয়েছে, এর জন্য পদম গুণ অভিনন্দন। যারা বাইরেও শুনছে, নিজের দেশেও শুনছে, তারাও হাত উঠাচ্ছে।

বাস্তবে দেখ, যারা শ্রেষ্ঠ আত্মা তাদের প্রতিটা বচনকে সত্য বচন বলা হয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে তো না সত্য বচন মহারাজ। তোমরা তো মহা মহারাজ। তোমাদের সবার বচন যারাই শুনবে তারা যেন হৃদয়ে অনুভব করে সত্য বচন। তোমাদের মনে অনেক কিছু ভরে রয়েছে, বাপদাদার কাছে তোমাদের মনকে দেখার টিভিও আছে। এখানে এই টিভি তো বাইরের মুখাবয়ব দেখায়, তাই না! কিন্তু বাপদাদার কাছে প্রত্যেকের মনের সবসময়ের গতির যন্ত্র আছে। তো মনে অনেক কিছু দেখা যায়, যখন বাবা মনের টিভি দেখেন তো তিনি খুশি হয়ে যান, অনেক ভান্ডার আছে, অনেক শক্তি আছে। কিন্তু কর্মে যথা শক্তি হয়ে যায়। এখন কর্ম পর্যন্ত নিয়ে এসো, বাণী পর্যন্ত আনো, মুখ পর্যন্ত আনো, আচরণে নিয়ে এসো। তখন সবাই বলবে, তোমাদের যে একটা গীত আছে না - শক্তি এসে গেছে...। সব শিবের শক্তি। তোমরা পান্ডবও শক্তি। পুনরায় শক্তিসমূহ শিব বাবাকে প্রত্যক্ষ করাবে। এখন ছোট ছোট খেলাধূলা বন্ধ করো। এখন বানপ্রস্থ স্থিতিকে ইমার্জ করো। তো এই সময় বাপদাদার আশা পূরণকারী সব বাচ্চাকে বাপদাদা আশার নক্ষত্র রূপে দেখছেন। কোনও পরিস্থিতি যদি আসে তবে এই স্লোগান স্মরণে রেখো - "পরিবর্তন, পরিবর্তন, পরিবর্তন"।

বাপদাদার আজকের বোলের একটা শব্দ ভুলে যেও না, সেটা কোনটা? পরিবর্তন। আমাকে বদলাতে হবে। অন্যকে পরিবর্তন করে নিজেকে পরিবর্তন ক'রো না, নিজে পরিবর্তন হয়ে অন্যকে পরিবর্তন করতে হবে।অন্যে যদি বদলায় তবে আমি বদলাবো, না। আমাকে নিমিত্ত হতে হবে। আমাকে 'হে অর্জুন' হতে হবে। তবে ব্রহ্মা বাবা সমান নম্বর ওয়ান নিতে পারবে। ( পিছনের যারা হাত তোলো) যারা পিছনে বসে আছো তাদেরকে বাপদাদা প্রথম নম্বরে স্মরণের স্নেহ-সুমন দিচ্ছেন। আচ্ছা -

চতুর্দিকের অনেক অনেক অনেক ভাগ্যবান আত্মাদের, সমগ্র বিশ্বের মাঝখানে কোটির মধ্যে কিছু, কিছুর মধ্যেও কিছু বিশেষ আত্মাকে, সদা নিজের আচরণ এবং মুখের দ্বারা বাপদাদাকে প্রত্যক্ষ করায় এমন বিশেষ বাচ্চাদের, সদা সহযোগ এবং স্নেহের বন্ধনে থাকা শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা ব্রহ্মা বাবা সমান যারা সব কর্মে অলৌকিক কর্ম করে এমন অলৌকিক আত্মাদের, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

উইংসের সেবার প্রতি বাপদাদার প্রেরণা -- এটা ভালো, উইংয়ের এই সেবাতে ভালো রেজাল্ট দৃশ্যমান হয়, কারণ প্রত্যেক উইং পরিশ্রম করে, সম্পর্ক বাড়িয়ে যায়। কিন্তু বাপদাদা চান যেরকম মেডিক্যাল উইং মেডিটেশন দ্বারা হার্টের প্র্যাকটিক্যাল করে দেখিয়েছে, প্রমাণ দিয়েছে যে মেডিটেশন দ্বারা হার্টের কষ্ট ঠিক হতে পারে, তাছাড়া প্রুফ দিয়েছে, দিয়েছে তো না প্রুফ! তোমরা সবাই শুনেছ তো, তাই না! বাস্তবে, দুনিয়ার লোকে প্রত্যক্ষ প্রমাণ চায়। যে উইংই এসেছ এইভাবে প্রোগ্রাম তো করতেই হবে, তোমরা করেও থাকো, কিন্তু এমন কোনো প্ল্যান বানাও, যাতে প্র্যাকটিক্যাল রেজাল্ট যেন সবার সামনে আসে। সব উইংয়ের জন্য বাপদাদা বলছেন। এটা গভর্নমেন্ট পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে তো না! আর এখানে ওখানে আওয়াজ তো ছড়িয়েছে যে মেডিটেশন দ্বারাও হতে পারে। এখন এটা আরও বাড়ানো দরকার।

প্র্যাকটিক্যালি প্রমাণ দাও যাতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে যে মেডিটেশনের দ্বারা সবকিছু হতে পারে। সবার অ্যাটেনশন মেডিটেশনের দিকে হোক, আধ্যাত্মিকতার দিকে হোক। বুঝেছ। আচ্ছা।

বরদান:-
সাইলেন্সের শক্তির দ্বারা বিশ্বে প্রত্যক্ষতার কাড়া-নাকাড়া বাজিয়ে শান্ত স্বরূপ ভব

গাওয়া হয়েছে - "সায়েন্সের ওপরে সাইলেন্সের জিত" - বাণীর নয়। সময় এবং সম্পূর্ণতা যত নিকটে আসতে থাকবে, ততো আওয়াজে অধিক আসার জন্য অটোমেটিক্যালি বৈরাগ্য আসতে থাকবে। (বৈরাগ্য) চাইলেও অভ্যাস যেমন তোমাদের আওয়াজে নিয়ে আসে, তেমনই আওয়াজের ঊর্ধ্বে হয়ে যাবে। প্রোগ্রাম বানিয়ে তোমরা আওয়াজে আসবে। যখন এই চেঞ্জ দেখা যাবে তখন বুঝবে এবারে বিজয়ের কাড়া-নাকাড়া বাজবে। এইজন্য যতটা সময় পাবে শান্ত স্থিতিতে থাকার অভ্যাসী হও।

স্লোগান:-
জিরো বাবার সাথে যারা থাকে তারাই হিরো পার্টধারী।

নিজের শক্তিশালী মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো :- বিশ্ব কল্যাণ করার সহজ সাধন নিজের শ্রেষ্ঠ সংকল্পের একাগ্রতার দ্বারা, লক্ষ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়ানো সর্ব আত্মার বুদ্ধিকে একাগ্র করা। বিশ্বের সর্ব আত্মা এটাই চায় যে লক্ষ্যহীন বুদ্ধি একাগ্র হোক এবং চঞ্চলতা থেকে মন একাগ্র হোক। এই বিশ্বের ইচ্ছা বা চাহিদা তখন পূর্ণ করতে পারবে যখন একাগ্র হয়ে মন্সা শক্তির দান দেবে।