26.05.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
তোমাদের সঙ্গ অত্যন্ত ভালো করতে হবে, কু-সঙ্গের রঙ লাগলে পতন হবে, কু-সঙ্গ বুদ্ধিকে
তুচ্ছ বানিয়ে দেয়"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, এখন
তোমাদের কোন্ উৎসাহ উদ্দীপনা অনুভব হওয়া উচিত?
উত্তরঃ
তোমাদের উৎসাহ
অনুভব হওয়া উচিত যে, গ্রামে-গ্রামে গিয়ে সার্ভিস করি। তোমাদের কাছে যা কিছু আছে,
সেসব হলো সেবার জন্য। বাবা বাচ্চাদের রায় দেন - বাচ্চারা, এই পুরানো দুনিয়ার থেকে
নিজের সাপোর্টকে মুক্ত করো। কোনো জিনিস আসক্তি রেখো না, কোনো কিছুর প্রতি মনের টান
রেখো না।
গীতঃ-
এই পাপের
দুনিয়া থেকে দূরে নিয়ে চলো.....
ওম্ শান্তি ।
পাপ আত্মাদের
দুনিয়া এবং পুণ্য আত্মাদের দুনিয়া, নাম আত্মাদেরই রাখা হয়। এখন এখানে দুঃখ আছে তাই
তো আহ্বান করে। পুণ্য আত্মাদের দুনিয়ায় কেউ ঈশ্বরকে ডাকে না যে অন্য কোথাও নিয়ে চলো।
তোমরা বুঝেছো যে, এই কথা কোনো পন্ডিত বা সন্ন্যাসী শাস্ত্রবাদীরা বলতে পারে না। ইনি
নিজেও বলেন - এই জ্ঞান পূর্বে আমার জানা ছিল না, রামায়ণ ইত্যাদি অনেক শাস্ত্র তো
পড়েছি। যদিও এই জ্ঞান আমি তোমাদের শোনাই। ইনিও শোনেন। এখন এই দুনিয়া হল পাপ
আত্মাদের দুনিয়া। পুণ্য আত্মাদের জন্য শুধু বলা হবে যে দেবতারা এই জগতে ছিলেন এখন
চলে গেছেন। শুধুই পুজো করে চলে আসবে, শিবের পুজো করে চলে আসবে। তোমরা বাচ্চারা এখন
কাকে পূজা করবে? তোমরা জানো উচ্চ থেকেও উচ্চ হলেন ভগবান শিব, তিনি হলেন ওবিডিয়েন্ট
বাবা, টিচার, ওবিডিয়েন্ট প্রিসেপ্টর। সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার গ্যারান্টি অন্য কোনো গুরু
ইত্যাদি দিতে পারে না। তাও সবাইকে কি আর নিয়ে যাবে। এখন তোমরা সম্মুখে বসে আছো,
এখান থেকে নিজের ঘরে পরমধাম গেলেই তোমরা ভুলে যাবে। এখানে সম্মুখে বসে শুনলে আনন্দ
হবে। বাবা বারংবার বলেন - বাচ্চারা, ভালোভাবে পড়া করো। পড়াশোনায় গাফিলতি করবে না,
কু-সঙ্গে জড়িয়ে যেও না। তা নাহলে বুদ্ধি আরও তুচ্ছ হয়ে যাবে। বাচ্চারা জানে আমরা কি
ছিলাম, কি পাপ কর্ম করেছি। এখন আমরা এইরূপ দেবতায় পরিণত হই, এই পুরানো দুনিয়া তো
শেষ হবে এখানে বাড়ি-ঘর ইত্যাদির প্রতি মায়া করে কি হবে। এই দুনিয়ার যা কিছু আছে সবই
ভুলে যেতে হবে। তা নাহলে বাধা সৃষ্টি করবে। এই দুনিয়ায় মন যায় না। আমরা নতুন
দুনিয়ায় গিয়ে নিজের হীরে-জহরাতের মহল তৈরি করব। এখানকার টাকা পয়সা যদি কিছু ভালো
লাগে তাহলে দেহ ত্যাগের সময় সেই দিকে মোহ থাকবে। আমার-আমার করবে তো শেষ সময়ে সেইসব
সামনে এসে যাবে। এইসব তো এখানে শেষ হয়ে যাবে। আমরা নিজের রাজধানীতে আসবো, এই
দুনিয়ায় মন দিয়ে কি হবে। সেখানে অনেক সুখ আছে। নামই হলো স্বর্গ। এখন আমরা যাই নিজের
দেশে, এটা হলো রাবণের দেশ, আমাদের নয়। এর থেকে মুক্ত হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে।
পুরানো দুনিয়ার থেকে সাপোর্টকে তিনি মুক্ত করান, সেইজন্য বাবা বলেন কোনো জিনিসের
প্রতি মোহ রাখবে না। পেট বেশি খাবার খায় না, ব্যর্থ জিনিসের চাহিদায় বেশি খরচ হয়।
বাচ্চারা, তোমাদের সার্ভিস করার জন্য উৎসাহ অনুভব হওয়া উচিত। অনেক বাচ্চারা আছে
যাদের গ্রামে গ্রামে সার্ভিস করার শখ থাকে। বাকি যাদের সার্ভিস করার শখ নেই, তারা
কোন্ কাজটি করতে পারবে। যেমন বাবা বাচ্চাদের তেমন হওয়া উচিত। বাবার-ই পরিচয় দিতে হবে।
বাবাকে স্মরণ করো এবং বাবার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। বাচ্চাদের শখ থাকে - আমরা
বাবার সেবায় নিয়োজিত হই। তখন বাবাও সাহস দেন। বাবা এসেছেন সার্ভিস করতে, সবকিছু হল
সার্ভিসের জন্য। বাবার এই পরিচয় তো সবাইকে দিতে হবে। বাবা হলেন একজন। ভারতে
এসেছিলেন, ভারতে দেবতাদের রাজত্ব ছিল। গত কালের কথা, লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্য ছিল
তারপরে রাম-সীতার। তারপরে বাম মার্গে পতন হয়। রাবণ রাজ্য আরম্ভ হল, সিঁড়ি বেয়ে নীচে
নেমে এখন আবার উত্তরণ কলায় যাওয়া এক সেকেন্ডের ব্যাপার।
এক হলো রিয়েল লভ,
আরেক হলো আর্টিফিসিয়াল লভ। রিয়েল লভ তখনই হবে যখন নিজেকে আত্মা মনে করবে। এখন
বাচ্চারা, তোমাদের এই দুনিয়ায় হলো আর্টিফিশিয়াল লভ । এইসব তো শেষ হবে। সার্ভিস যারা
করবে তারা না খেতে পেয়ে মরবে না। অতএব সার্ভিসের শখ তো বাচ্চাদের থাকা উচিত।
তোমাদের ঈশ্বরীয় মিশন হলো খুব সহজ। কেউ বুঝতে পারে না যে ধর্ম কিভাবে স্থাপন হয়।
খ্রাইস্ট এলেন, খ্রীশ্চান ধর্ম স্থাপন হল, কালান্তরে সেই ধর্মের বৃদ্ধি হলো। সেই মতে
চলতে চলতে পতন হলো, এখন বাচ্চারা তোমাদের দেহী-অভিমানী হতে হবে। অর্ধকল্প রাবণের
রাজ্যে থেকে আমরা বাবাকে ভুলে গেছি, এখন বাবা এসে সজাগ করছেন। বাবা বলেন ড্রামা
অনুযায়ী তোমাদের পতন হওয়ার ছিল। তোমাদের দোষ নেই। রাবণের রাজ্যে দুনিয়ার এমন অবস্থা
হয়ে যায়। বাবা বলেন এখন আমি এসেছি পড়াতে। তোমরা পুনরায় নিজের রাজ্য নাও। আমি
তোমাদের আর কোনও কষ্ট দিই না। এক বাজারের অশুদ্ধ খাবার খাবে না এবং মামেকম্ স্মরণ
করো। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো - এ হলো ড্রামার চক্র, যা আবার রিপিট হবে। তোমাদের
বুদ্ধিতে ড্রামার আদি, মধ্য, অন্তের জ্ঞান আছে। তোমরা কাউকেও বোঝাতে পারো।
সর্বপ্রথমে বাবার স্মরণ থাকা উচিত। সার্ভিস করার জন্য একে অপরের সঙ্গে মিলে মিশে
সঙ্গী হিসেবে সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। মাতাদেরও বাইরে বেরোনো উচিত। এতে ভয়ের কোনো
ব্যাপার নেই। চিত্র ইত্যাদি সব তোমরা পেয়ে যাবে। তোমরা খুব ভালো সার্ভিস করতে পারবে।
তখন বলবে আপনি চলে গেলে, আমাদের কে শেখাবে? বলো, আমরা সার্ভিস করার জন্য তৈরি। বাড়ি
ইত্যাদি ব্যবস্থা করো। অনেকের কল্যাণের জন্য নিমিত্ত হয়ে যাবে। বাবা সার্ভিস করার
উৎসাহ দেন। বাচ্চাদের সাহস থাকলে সার্ভিসের বৃদ্ধি হয়। এটা কোনো মেলা নয় যে ১০-১৫
দিন মেলা চললো তারপরে শেষ। এই মেলা তো চলতেই থাকে। এখানে আত্মা ও পরমাত্মার মিলন হয়,
যাকে প্রকৃত সত্য মেলা বলা হয়। সেই মেলা তো বর্তমানে চলছে। মেলা তখম শেষ হবে যখন
সার্ভিস পূর্ণ হবে। ড্রামা অনুযায়ী বাচ্চাদের সার্ভিস করার শখ থাকা উচিত। অসীম
জগতের বাবার যা নলেজ আছে, সেই নলেজ বাচ্চাদের বুদ্ধিতেও আছে। উঁচু থেকে উঁচু বাবার
দ্বারা আমরা কতখানি উঁচুতে স্থান অর্জন করে থাকি। নিজের সঙ্গে এমন এমন কথা বলা উচিত।
নিজেদের মধ্যে সেমিনার করতে হবে। বাবার কাছে পরামর্শ নিয়ে সার্ভিসে ব্যস্ত হও। কোনো
সাহায্যের প্রয়োজন থাকলে বাবা প্রিয়তম বসে আছেন। এইসবই ড্রামায় পূর্ব নির্দিষ্ট আছে।
চিন্তার কোনো কারণ নেই। নাহলে স্থাপনা হবে কীভাবে। দ্বিতীয় কথা হল, যে করবে সে পাবে।
এখন তোমরা বাচ্চারা পাথরবুদ্ধি থেকে হীরে তুল্য হও। বাবা জ্ঞানের দ্বারা এমন সোজা
করেন, মায়া নাক দিয়ে ধরে আবার উল্টো করে দেয়।
বাচ্চারা, তোমাদের
ভালো সঙ্গ করা উচিত। কু-সঙ্গের রঙ লাগলে পতন হবে। বাবা সিনেমা ইত্যাদি দেখতে বারণ
করেন। যার সিনেমা দেখার অভ্যেস হয়ে যায় তার পতন নিশ্চিত। এখানে প্রত্যেকের কার্য
কলাপ ডার্টি, নামই হলো বেশ্যালয়। বাবা শিবালয় স্থাপন করেছেন। সম্পূর্ণ বেশ্যালয়ে
আগুন লাগবে। কুম্ভকর্ণের মতন আসুরিক নিদ্রায় শুয়ে রয়েছে । তোমরা বুঝেছো যে আমরা
শিবালয়ে যাচ্ছি । প্রথমে আমরা বানরের মতো ছিলাম, এই বিষয়ে রামায়ণে গল্প আছে। এখন
তোমরা বাবার সহযোগী হয়েছো। তোমরা নিজের শক্তি দ্বারা রাজ্য স্থাপন করছো। তারপর এই
রাবণ রাজ্যও শেষ হয়ে যাবে। তোমাদের অনেক রকমের যুক্তি বলে দেন। কাউকে দান না করলে
ফল প্রাপ্তি হবে কীভাবে । সর্ব প্রথমে ১০-১৫ জনকে পথ বলে দিয়ে তারপরে অন্ন গ্রহণ করা
উচিত। প্রথমে শুভ কাজ করে এসো, এতেই তোমার কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কোনো দেহধারীকে
স্মরণ করবে না। এই হলো পতিত দুনিয়া। পতিত-পাবন এক পিতাকে স্মরণ করো তাহলে পবিত্র
দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। শেষ কালে মতি শেষ গতি হয়ে যাবে। তাই কাউকে সংবাদ প্রদান করে
এসে অন্ন গ্রহণ করা উচিত। তোমরা সবাইকে এই কথা বলতে থাকো যে বাবাকে স্মরণ করলে এমন
উঁচুতে স্থান পাবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
রাত্রি ক্লাস -
১৭-০৩-৬৮
যদি কখনও কোনো ভাষণ
ইত্যাদি করতে হয়, তবে নিজেদের মধ্যে দুই চারবার রিহার্সাল করো, পয়েন্ট গুলি কিছু
যোগ করে বা সঠিক করে তৈরি করো, তাহলে রিফাইন ভাষণ দিতে পারবে। মুখ্য একটি কথায় (গীতার
ভগবান কে) যদি তোমরা জয় লাভ করতে পারো, তাহলে সব কথায় জয় লাভ করা হয়ে যাবে, এর জন্য
কনফারেন্স (মিটিং) তো হবে, তাইনা ! বুঝবে বৃক্ষের বৃদ্ধি তো অবশ্যই হবে। মায়ার ঝড়ে
তো সবাই আক্রান্ত হয়। বাচ্চারা প্রায়শই লেখে, বাবা আমরা কাম বিকারগ্রস্ত হয়েছি,
একেই বলা হয় উপার্জিত ধন শেষ। ক্রোধ ইত্যাদি করলে বলা হবে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এর
জন্য বোঝাতে হয়, কাম বিকারকে জয় করে জগৎ জিত হতে পারবে। কাম বিকারের কাছে পরাজয় হল
আসল পরাজয়। কাম বিকারে পরাজিত আত্মার উপার্জন শেষ হয়ে যায়, দন্ড ভোগ করতে হয়।
লক্ষ্য খুবই বিশাল ও উঁচুতে তাই খুব সাবধানে থাকতে হবে। তোমরা বাচ্চারা জানো ৫
হাজার বছর পূর্বেও আমরা রাজত্ব পেয়েছিলাম। এখন পুনরায় দৈব রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। এই
পড়াশোনা দ্বারা আমরা সেই রাজধানীতে যাই, সম্পূর্ণটা নির্ভর করছে পড়াশোনার উপরে।
পড়াশোনা এবং ধারণ করলেই বাবা সম হওয়া সম্ভব। রেজিস্টারও চাই যাতে জানা যাবে কয়জন কে
নিজের মতন করে গড়ে তুলেছো। যত বেশি ধারণা করবে ততই মিষ্টি মধুর হবে। খুব মিষ্টি
বাচ্চা চাই। বাচ্চারা, তোমাদের জন্যই সেই দিনটি এসেছে আজ, যার জন্য মানুষ কতখানি
চেষ্টা করে যাতে মুক্তি লাভ করতে পারে। বাবা সকলকে একত্রে মুক্তি জীবনমুক্তি প্রদান
করেন। যারা দেবতা হওয়ার পুরুষার্থ করে তারা-ই জীবনমুক্তিতে আসবে। বাকিরা সবাই
মুক্তিতে যাবে। হিসেব সঠিকভাবে বের করা কঠিন। কেউ তো থেকেও যাবে। বিনাশের
সাক্ষাৎকার করবে। এই সুন্দর সময়টিও দেখবে। প্রত্যেকটি কথায় পুরুষার্থ করতে হয়। এমন
তো নয় স্মরণে বসলে কাজ হয়ে যাবে। বাড়ি ঘর প্রাপ্ত হবে। না। সেসব তো ড্রামায় যা আছে
তাই হয়, আশা করা উচিত নয়। পুরুষার্থ করতে হয়। যদিও ড্রামায় যা হওয়ার আছে তাই হয়।
ভবিষ্যতে তোমাদের বৃত্তি হয়ে যাবে ভাই-ভাইয়ের। যত পুরুষার্থ করবে ততই সেই বৃত্তি
থাকবে। আমরা অশরীরী এসেছিলাম। ৮৪ জন্মের চক্র পূর্ণ করেছি। এখন বাবা বলেন কর্মাতীত
অবস্থায় যেতে হবে।
বাস্তবে তোমাদের কারো
সঙ্গে শাস্ত্র ইত্যাদি নিয়ে বিবাদ করার দরকার নেই। মুখ্য কথা হল স্মরণের এবং
সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তকে বুঝে নেওয়া। চক্রবর্তী রাজা হতে হবে। এই চক্রকেই শুধু বুঝতে
হবে। এর গায়ন করা হয় সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। বাচ্চারা, হয়তো তোমাদের আশ্চর্য অনুভব হয়,
অর্ধ কল্প ভক্তি চলে। বিন্দু মাত্র জ্ঞান নেই। জ্ঞান আছে একমাত্র বাবার কাছে। বাবার
সাহায্যে জ্ঞানের প্রাপ্তি হবে। বাবা কতখানি আনকমন, তাই কোটিতে কেউ বাবার সন্তান হয়।
তাদের টিচার্স এমনি বলা হয় নাকি। ইনি তো বলেন আমি-ই পিতা, টিচার, গুরু। তখন মানুষ
শুনে আশ্চর্য অনুভব করবে। ভারতকে মাদার কান্ট্রি বলা হয় কারণ অম্বার নাম বিখ্যাত।
অম্বা দেবীর অনেক মেলা আয়োজিত হয়। অম্বা নামটি খুব মিষ্টি। ছোট বাচ্চারাও মা-কে
ভালোবাসে কারণ মা রক্ষণাবেক্ষণ করে। তবে অম্বার পিতার পরিচয় তো চাই, তাইনা। এই কন্যা
তো অ্যাডপ্টেড, এনার স্বামী তো নয়। এই কথাটি নতুন তাইনা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা নিশ্চয়ই
অ্যাডপ্ট করেন। এই সব কথা বাবা স্বয়ং এসে তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বোঝান। কত মেলা
লাগে, পূজা হয়, কারণ তোমরা বাচ্চারা সার্ভিস করো। মাম্মা যত জনকে পড়িয়েছে তত আর কেউ
পড়াতে পারে না। মাম্মার নাম অনেক, মেলাও অনেক আয়োজিত হয়। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো,
বাবা এসে রচনার আদি-মধ্য-অন্তের সম্পূর্ণ রহস্য তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন।
তোমরা এখন বাবার ঠিকানা জেনেছো। বাবার সঙ্গে ভালোবাসা, ঘরের অর্থাৎ পরমধামের প্রতিও
ভালোবাসা আছে। এই জ্ঞান তোমরা এখন প্রাপ্ত করেছো। এই পড়াশোনার দ্বারা কতখানি
উপার্জন করো। তাই খুশীতে থাকা উচিত তাইনা এবং তোমরা হলে একেবারে সাধারণ। দুনিয়া জানে
না যে, বাবা এসে এই নলেজ প্রদান করেন। বাবা নিজে এসে সব নতুন কথা বাচ্চাদের বলেন।
নতুন দুনিয়া তৈরি হয় অসীম জগতের অধ্যয়ন দ্বারা।পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য অনুভব
হয়। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে জ্ঞানের খুশী থাকে। বাবাকে এবং ঘর অর্থাৎ পরমধামকে
স্মরণ করতে হবে। ঘরে তো সবাইকে ফিরতে হবে। বাবা তো সবাইকেই বলবেন তাইনা বাচ্চারা আমি
তোমাদের মুক্তি জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার দিতে এসেছি। তাহলে ভুলে যাও কেন! আমি
তোমাদের অসীম জগতের পিতা, রাজযোগ শেখাতে এসেছি। তোমরা কি তাহলে শ্রীমৎ অনুযায়ী চলবে
না। তা নাহলে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। এই হল অসীমের ক্ষতি। বাবার হাত ছাড়লে উপার্জনের
কাজে ক্ষতি হয়ে যাবে। আচ্ছা - গুড নাইট। ওম্ শান্তি।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
দুনিয়ার যা কিছু রয়েছে সব ভুলে যেতে হবে। বাবার মতন ওবিডিয়েন্ট হয়ে সার্ভিস করতে
হবে। সবাইকে বাবার পরিচয় দিতে হবে।
২ ) এই পতিত দুনিয়াতে
নিজেকে নিজেই কু-সঙ্গ থেকে রক্ষা করতে হবে। বাইরের কুখাদ্য খাবে না, বাইস্কোপ দেখবে
না।
বরদান:-
ত্রিকালদর্শী স্টেজের দ্বারা ব্যর্থের খাতা সমাপ্তকারী সদা সফলতামূর্তি ভব
ত্রিকালদর্শী স্টেজের
উপর স্থিত হওয়া অর্থাৎ প্রত্যেক সংকল্প, বাণী বা কর্ম করার পূর্বে চেক করবে যে এটা
ব্যর্থ নাকি সমর্থ! ব্যর্থ এক সেকেন্ডে পদম গুন ক্ষতি করে দেয়, সমর্থ এক সেকেন্ডে
পদম গুন উপার্জন করায়। সেকেন্ডের ব্যর্থও উপার্জনে অনেক ক্ষতি করে দেয় যার ফলে যেটা
উপার্জন করেছিলে সেটাও হারিয়ে যায় এইজন্য এক-কালদর্শী হয়ে কর্ম করার পরিবর্তে
ত্রিকালদর্শী স্থিতির উপর স্থিত হয়ে করো তাহলে ব্যর্থ সমাপ্ত হয়ে যাবে আর সদা
সফলতামূর্তি হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
মান,
মর্যাদা (শান) আর সাধনের ত্যাগই হলো মহান ত্যাগ।
অব্যক্ত ঈশারা : -
আত্মিক রয়্যাল্টি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো
যেরকম দেহ আর দেহী
দুটি আলাদা আলাদা বস্তু, কিন্তু অজ্ঞানের কারণে দুটোকে মিলিয়ে দিয়েছে ; আমার-কে আমি
মনে করে নিয়েছে আর এই ভুলের কারণে এত অতৃপ্তি, দুঃখ আর অশান্তি প্রাপ্ত করেছে।
এইরকমই এই অপবিত্রতা আর বিস্মৃতির সংস্কার, যা ব্রাহ্মণদের জন্য নয়, শূদ্রদের জন্য,
একেও নিজের মনে করার কারণে মায়ার বশ হয়ে যাও আর বিরক্ত হয়ে যাও।