26.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - সর্বদা এই নেশায় থাকো, আমাদের পদমাপদম্ (লক্ষ-কোটি গুণ) ভাগ্য যে, আমরা পতিত-পাবন বাবার সন্তান হয়েছি, ওঁনার থেকে আমরা অসীম জগতের উত্তরাধীকার প্রাপ্ত করি"

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, তোমাদের কোনো ধর্মের প্রতিই ঘৃণা বা বিদ্বেষ হতে পারে না - কেন?

উত্তরঃ  
কারণ তোমরা যে বীজ আর বৃক্ষকে জানো। তোমাদের জানা আছে এটি হলো মনুষ্য সৃষ্টি রূপী অসীম জগতের বৃক্ষ, এতে প্রত্যেকের নিজের নিজের পার্ট রয়েছে । নাটকে কখনোই অ্যাক্টররা একে অপরকে ঘৃণা করে না। তোমরা জানো যে আমরা এই নাটকে হিরো-হিরোইনের পার্ট করেছি। আমরা যে সুখ দেখি, সেটা আর কেউ দেখতে পারে না। তোমাদের অসীম খুশী থাকে যে সমগ্র বিশ্বে রাজত্ব করার মতো আমরাই আছি।

ওম্ শান্তি ।
ওম্ শান্তি বলা মাত্রই বাচ্চাদের যা কিছু নলেজ প্রাপ্ত হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে বুদ্ধিতে এসে যায়। কোন্ নলেজ বাবার বুদ্ধিতেও আছে? এটি হলো মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ, যাকে কল্প বৃক্ষও বলা হয়, তার উৎপত্তি, পালন আবার বিনাশ কি ভাবে হয়, সমস্ত বুদ্ধিতে আসা চাই। যেমন সেই বৃক্ষ হলো জড়, এটি হলো চৈতন্য বৃক্ষ। বীজও চৈতন্য। তাঁর মহিমাও সুখ্যাত, তিনি হলেন সত্য, চৈতন্য অর্থাৎ বৃক্ষের আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝাচ্ছেন। কেউই তাঁর অক্যুপেশন (কর্ম-কর্তব্য) কি, তা জানে না। প্রজাপিতা ব্রহ্মার অক্যুপেশনও তো জানা চাই। ব্রহ্মাকে কেউ স্মরণ করে না, জানেই না। আজমীরে ব্রহ্মার মন্দির আছে। ত্রিমূর্তি চিত্র ছাপানো হয়, ওতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর আছে। ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ বলা হয়। বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে - এই সময় ব্রহ্মাকে দেবতা বলা যায় না। যখন সম্পূর্ণ হবেন তখন দেবতা বলা যায়। সম্পূর্ণ হয়ে চলে যান সূক্ষ্ম লোকে ।

বাবা বলেন তোমাদের বাবার নাম কি? কাকে জিজ্ঞাসা করেন? আত্মাকে। আত্মা বলে আমার বাবা। যাদের জানা নেই যে কে বলেছে, সে তো জিজ্ঞাসা করতে পারে না। এখন তো বাচ্চারা বুঝে গেছে যে - প্রথম থেকেই সকলেরই দুইজন পিতা রয়েছেন । জ্ঞান তো একজন বাবা-ই দেন। এখন তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা বুঝতে পারো এটি হলো শিববাবার রথ। বাবা এই রথের দ্বারা আমাদের জ্ঞান শোনান। এক তো এ হলো শারীরিক ব্রহ্মা বাবার রথ। দ্বিতীয়তঃ আবার আত্মাদের বাবার অর্থাৎ শিববাবারও রথ। সেই আত্মাদের পিতার মহিমার সুখ্যাতি আছে সুখের সাগর, শান্তির সাগর... । প্রথমে তো এটা বুদ্ধিতে থাকবে ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা যার কাছ থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকারের প্রাপ্তি হয়। পবিত্র দুনিয়ার মালিক হই। নিরাকারকে ডাকা হয় পতিত-পাবন এসো। আত্মাই ডাকে। যখন পবিত্র আত্মা থাকে তখন ডাকে না। পতিত হলে তবে ডাকে। এখন তোমরা অর্থাৎ আত্মারা জানো সেই পতিত-পাবন বাবা এই দেহে এসেছেন। এটা ভুলো না যে আমরা ওঁনার হয়েছি। এটা শুধু সৌভাগ্য নয়, লক্ষ কোটি গুণ সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে এই বাবাকে ভুলবো কেন। এই সময় বাবা এসেছেন - এটি হলো নতুন কথা। প্রতি বছর শিবজয়ন্তীও পালন করা হয়। তাই অবশ্যই তিনি একবারই আসেন। লক্ষ্মী-নারায়ণ সত্যযুগে ছিল। এই সময় নেই। তাই বুঝতে হবে ওনারা হয়তো পুনর্জন্ম নিয়েছেন। ১৬ কলা থেকে ১২-১৪ কলায় এসে পড়েছে। এটা তোমরা ব্যাতীত আর কেউ জানে না। সত্যযুগ বলা হয় নতুন দুনিয়াকে। সেখানে সব কিছু নতুন আর নতুন। দেবতা ধর্ম নামও মহিমান্বিত হয়। সেই দেবতারাই যখন বাম-মার্গে বা বিপথে যায় তো আবার তাদের নতুনও বলার নয়, আর দেবতাও বলা যায় না। কেউই এরকম বলবে না যে আমি তাদের রাজবংশোদ্ভূত। যদি নিজেকে সেই রাজবংশোদ্ভূতই মনে করো তো তাদেরই মহিমা আর নিজের নিন্দা কেন করো? যখন মহিমা করো তো অবশ্যই তাদের পবিত্র আর নিজেকে অপবিত্র পতিত মনে করো। পবিত্র থেকে পতিত হয়, পুনর্জন্ম নেয়। প্রথম দিকে যারা পবিত্র ছিলো তারাই আবার পতিত হয়েছে। তোমরা স্কুলে পড়ো, সেখানে নম্বর অনুযায়ী ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড ক্লাস তো হয়েই থাকে।

এখন বাচ্চারা বুঝতে পারে বাবা আমাদের পড়ান, সেই কারণেই না তিনি আসেন। তা না হলে এখানে আসার দরকার কি। এখানে কোনো গুরু, মহাত্মা, মহাপুরুষ ইত্যাদি কিছু নেই। এখানে তো সাধারণ মনুষ্য দেহ, তাও অনেক পুরানো বা বৃদ্ধ। অনেক জন্মের শেষে আমি প্রবেশ করি। এনার অর্থাৎ এই ব্রহ্মাবাবার তো আর কোনই মহিমা নেই, শুধু মাত্র ওনার মধ্যে প্রবেশ করি, তখন এনার নাম মহিমান্বিত হয়। তা না হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মা কোথা থেকে এল। মানুষ তো অবশ্যই হতবাক হয়। বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন, তবে তোমরা আর সকলকে বোঝাতে পারো। ব্রহ্মার পিতা কে? ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর - ওনাদের রচয়িতা হলেন এই শিববাবা। তাই তো তোমাদের বুদ্ধি ঊর্ধ্বগামী হয়। পরমপিতা পরমাত্মা যিনি পরমধামে থাকেন, এই রচনা তাঁর। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের অক্যুপেশন আলাদা। কেউ নিজেদের মধ্যে ৩-৪ জন একসাথে থাকলে, সকলের অক্যুপেশন যার যার নিজস্ব হয়। প্রত্যেকের নিজের নিজের পার্ট হয়। এতো কোটি আত্মারা আছে- একজনের পার্ট দ্বিতীয় জনের সাথে মেলে না। এই ওয়ান্ডারফুল ব্যাপার বুঝতে পারা গেছে। কতো বেশী সংখ্যক মানুষ আছে। শেষ সময় যে। সকলে ফিরে যাবে পরমধাম গৃহে, আবার চক্র রিপিট হবে। বাবা এই সব কথা বিভিন্ন ভাবে বোঝাতে থাকেন, নতুন ব্যাপার না। বলেন পূর্ব-কল্পেও বোঝানো হয়েছিল। খুব লাভলী বাবা, এরকম বাবাকে তো খুবই ভালোবাসার সাথে স্মরণ করা উচিত। তোমরাও যে বাবার লাভলী বাচ্চারা। বাবাকে স্মরণ করে চলেছো। প্রথমে সবাই একজনকেই পূজা করতো। ভেদাভেদের ব্যাপার ছিল না। এখন তো কতো ভেদাভেদ। এখানে রামের ভক্ত, এখানে কৃষ্ণের ভক্ত। রামের ভক্ত ধূপ জ্বালালে, কৃষ্ণ ভক্তরা নাক বন্ধ করে রাখে। এরকমও কিছু কথা শাস্ত্রে আছে। ওরা বলে আমাদের ভগবান বড় তো অন্যরা বলে আমাদের বড়, দুইজন ভগবান মনে করে নেয়। তাই ভুল হওয়ার কারণে সকলের আনরাইটিয়াস (অধর্মীয়) কাজই হয়।

বাবা বোঝান - বাচ্চারা ভক্তি হলো ভক্তি, জ্ঞান হলো জ্ঞান। জ্ঞানের সাগর হলেন এক - বাবা। এছাড়া তারা সকলেই হলো ভক্তির সাগর। জ্ঞানের দ্বারা সদ্গতি হয়। বাচ্চারা, তোমরা এখন জ্ঞানবান হয়েছো। বাবা তোমাদেরকে নিজের আর সমগ্র চক্রেরও পরিচয় দিয়েছেন, যা আর কেউ দিতে পারে না, সেইজন্য বাবা বলেন তোমরা বাচ্চারা হলে স্বদর্শন চক্রধারী। পরমপিতা পরমাত্মা তো একই। এছাড়া সকলেই হলো বাচ্চা আর বাচ্চা। আর কেউই নিজেকে পরমপিতা বলতে পারে না। যারা ভালো বিচক্ষণ মানুষ, বুঝতে পারে এটা কতো বড় ড্রামা। এখানে সব অ্যাক্টর্স অবিনাশী ভূমিকা পালন করে। ওটা তো ছোটো বিনাশী নাটক, এটা হলো অনাদি অবিনাশী। কখনো বন্ধ হওয়ার নয়। এতো ছোটো আত্মা, এতো বড় পার্ট পেয়েছে- শরীর ধারণ করার আর ত্যাগ করার আর পার্ট প্লে করার। এই কথা কোনো শাস্ত্রে নেই। যদি এটি কোনো গুরু শুনিয়ে থাকে তবে তার আরো ফলোয়ার্স থাকবে, শুধু মাত্র একজন ফলোয়ার কোন কাজের নয়। ফলোয়ার তো সে, যে সম্পূর্ণ ফলো করবে। এনার ড্রেস ইত্যাদির সে সব ব্যাপার তো নেই। তাহলে শিষ্য কি করে বলবে? এখানে তো বাবা বসে পড়ান। বাবাকেই ফলো করতে হবে, যেরকম বরযাত্রী হয় না? শিববাবারও বরযাত্রী বলা হয়। বাবা বলেন এ হল আমার বরযাত্রী। তোমরা সকলে হলে উপাসকমন্ডলী (ভক্ত), আমি হলাম ভগবান। তোমরা সকলে হলে সজনী, বাবা তোমাদেরকে শৃঙ্গার করিয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন। কতো খুশী হওয়া উচিত। এখন তোমরা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে করতে পবিত্র হয়ে যাও বলে পবিত্র রাজ্য প্রাপ্ত করো। বাবা বোঝান আমি শেষ সময়ে আসি। আমাকে যে আহ্বানই করে পবিত্র দুনিয়ার স্থাপনা আর পতিত দুনিয়ার বিনাশ করাতে এসো, সেইজন্য মহাকালও বলা হয়। মহাকালেরও মন্দির হয়। মৃত্যুর মন্দির তো দেখেছো। শিবকে কাল বা মৃত্যুও তো বলে। আহ্বান করে, এসে পবিত্র করো। আত্মাদের নিয়ে যান। অসীম জগতের বাবা কতো বড় সংখ্যক আত্মাদের নিয়ে যেতে আসেন। কাল-কাল মহাকাল, সব আত্মাদেরকে পবিত্র সুগন্ধি ফুল করে তুলে ফিরিয়ে নিয়ে যান। সুগন্ধি ফুল হয়ে গেলে আবার বাবাও কোলে তুলে নিয়ে যান। যদি পবিত্র না হও তবে শাস্তি পেতে হবে, পার্থক্য তো আছে। পাপ থেকে গেলে শাস্তি পেতে হবে। পদও সেরকমই প্রাপ্ত হয়, সেইজন্য বাবা বোঝান- মিষ্টি বাচ্চারা খুবই মধুর হও। সকলেরই কৃষ্ণকে মধুর লাগে। কতো প্রেমপূর্বক কৃষ্ণকে দোলায়, ধ্যানে কৃষ্ণকে ছোটো দেখে তাড়াতাড়ি কোলে তুলে নিয়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে তোলে। বৈকুন্ঠে চলে যায়। সেখানে কৃষ্ণকে চৈতন্য রূপে দেখে। বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে সত্যিই বৈকুন্ঠ আসতে চলেছে। আমরা ভবিষ্যতে এরকম হবো। শ্রীকৃষ্ণেকে কলঙ্কিত করে। এসব হলো ভুল। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের প্রথমে নেশা তুঙ্গে ওঠা চাই। শুরুতে অনেক সাক্ষাৎকার হয়েছিল, আবার শেষে অনেক হবে, জ্ঞান হলো কতো রমণীয় কতো মনোরম। কতো খুশী থাকে। ভক্তিতে তো কোনোই খুশী থাকে না। যারা ভক্তি করে তাদের কি আর এটা জানা আছে যে জ্ঞানে কতো সুখ, তুলনা করতে পারে না। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের প্রথমে এই নেশা চড়া চাই। বাবা ব্যাতীত এই জ্ঞান কোনো মুনি ঋষি ইত্যাদি দিতে পারে না। লৌকিক গুরু তো কাউকেই মুক্তি-জীবন্মুক্তির পথ বলতে পারে না। তোমরা মনে করো কোন মানুষই গুরু হতে পারে না, যে বলবে হে আত্মারা, বাচ্চারা, আমি তোমাদের বোঝাচ্ছি। বাবার তো বাচ্চারা-বাচ্চারা বলাই অভ্যাস । জানেন যে এই হলো আমার রচনা। এটি বাবাও বলেন আমি হলাম সকলের রচয়িতা। তোমরা সকলে পরস্পর ভাই হও। ওদের পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে, কি ভাবে প্রাপ্ত হয়েছে সেটা বসে বোঝান। আত্মাতেই সমস্ত পার্ট ভরা হয়ে আছে। যে মানুষই আসুক, ৮৪ জন্মের মধ্যে একরকম ফিচার্স (চেহারা চরিত্র) পেতে পারে না। কিছু কিছু চেঞ্জ অবশ্যই হয়ে থাকে। তত্ত্বও সতঃ, রজঃ, তমঃ হতে থাকে। প্রত্যেক জন্মের ফিচার্সের, একটার সাথে দ্বিতীয়টার সাদৃশ্য থাকে না। এটাও বোঝার মতো ব্যাপার। বাবা রোজ বোঝাতে থাকেন - মিষ্টি বাচ্চারা, বাবার উপরে কোনো সংশয় এনো না। সংশয় আর নিশ্চয় - দুটি শব্দ রয়েছে । বাবা মানে বাবা। এতে তো সংশয় হতে পারে না। বাচ্চা বলতে পারে না যে আমি বাবাকে স্মরণ করতে পারি না। তোমরা বারংবার বলো যোগ লাগে না। যোগ শব্দটি ঠিক নয়। তোমরা তো হলে রাজঋষি। "ঋষি" শব্দটি পবিত্রতার। তোমরা রাজঋষি হলে তো অবশ্যই পবিত্র হবে। অল্প কথায় ফেল করলে তো আবার রাজ্য প্রাপ্ত করতে পারবে না। প্রজার পদ হবে। কতো লোকসান হয়ে যাবে। নম্বর অনুযায়ী পদ হয়। একজনের পদ দ্বিতীয় জনের সাথে একরকম হবে না। এটা হলো অসীম জগতের পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা। বাবা ব্যাতীত কেউই বোঝাতে পারে না। বাচ্চারা, তাই তোমরা কতো খুশী হও। যেরকম বাবার বুদ্ধিতে সমগ্র জ্ঞান আছে সেইরকম তোমাদের বুদ্ধিতেও আছে। বীজ আর বৃক্ষকে বুঝতে হবে। মনুষ্য সৃষ্টির বৃক্ষ, এর সাথে বেনিয়ান ট্রি (বোটানিক্যাল গার্ডেন)-র উদাহরণ হলো একদম অ্যাক্যুরেট। বুদ্ধিতেও বলে আমাদের আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের যে প্রধান স্তম্ভটি ছিল সেটা প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। এছাড়া সব ধর্মের শাখা-প্রশাখা ইত্যাদি সব উপস্থিত রয়েছে । ড্রামা অনুসারে এই সব হতেই হবে, এতে ঘৃণা আসার কথা নয় । নাটকে কি কখনো অ্যাক্টরদের প্রতি ঘৃণা আসে ! বাবা বলেন তোমরা পতিত হয়ে গেছো আবার পবিত্র হতে হবে। তোমরা যত সুখ দেখো আর কেউ দেখে না। তোমরা হলে হিরো-হিরোইন, সমগ্র বিশ্বের রাজ্য পেতে চলেছো, অপার খুশী হওয়া উচিত। ভগবান পড়াচ্ছেন! কতো রেগুলার পড়া উচিত, এতো খুশী হওয়া উচিত। অসীম জগতের পিতা আমাদের পড়াচ্ছেন। রাজযোগও বাবা-ই শেখাচ্ছেন, আত্মাই ধারণ করে। বাবা তাঁর পার্ট করতে একবারই আসেন। আত্মাই এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় ধারণ করে পার্ট করে। আত্মাদের বাবা পড়ান। দেবতাদের পড়াবেন না। সেখানে তো দেবতারাই পড়াবে। সঙ্গমযুগে বাবা-ই পাঠ পড়ান পুরুষোত্তম করার জন্য। তোমরাই পড়াশুনা করো। এই সঙ্গম যুগ হলো একটাই, যখন তোমরা পুরুষোত্তম হয়ে উঠছো। সত্য করে তোলার, সত্যযুগের স্থাপনা করার একজনই হলেন সত্য বাবা। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সঙ্গমযুগে ডায়রেক্ট পড়াশোনা করে, জ্ঞানবান আস্তিক হতে হবে আর অন্যদেরও বানাতে হবে। কখনই বাবা বা পড়াশুনার প্রতি সংশয় আনবে না।

২ ) বাবার সমান লাভলী হতে হবে। ভগবান আমাদের শৃঙ্গার করছেন, এই খুশীতে থাকা উচিত। কোনো অ্যাক্টরের প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ করতে নেই। প্রত্যেকেরই এই ড্রামায় অ্যাক্যুরেট পার্ট আছে।

বরদান:-
সেবার প্রবৃত্তিতে থেকে মাঝে-মাঝেই একান্তবাসী হওয়া অন্তর্মুখী ভব

সাইলেন্সের শক্তি প্রয়োগ করার জন্য অন্তর্মুখী আর একান্তবাসী হওয়া প্রয়োজন। কিছু বাচ্চা বলে অন্তর্মুখী স্থিতির অনুভব করার বা একান্তবাসী হওয়ার জন্য সময় নেই, কেননা সেবার প্রবৃত্তি, বাণীর শক্তির প্রবৃত্তি অনেক বৃদ্ধি হয়ে গেছে । তাহলে এর জন্য টানা আধঘন্টা বা এক ঘন্টা সময় বের করার পরিবর্তে মাঝে-মাঝে একটু করে সময় বের করো, তাহলেই শক্তিশালী স্থিতি তৈরী হয়ে যাবে।

স্লোগান:-
ব্রাহ্মণ জীবনে যুদ্ধ করার পরিবর্তে আনন্দে থাকো তো কঠিন জিনিসও সহজ হয়ে যাবে।