26.09.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা, সদা শ্রীমত অনুসারে চলা - এটাই হলো শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থ, শ্রীমৎ অনুসারে চললে আত্ম-দীপ প্রজ্জ্বলিত হয়ে যায়"

প্রশ্নঃ -
সম্পূর্ণরূপে পুরুষার্থ কে করতে পারে? উচ্চ পুরুষার্থ কি?

উত্তরঃ  
সম্পূর্ণ পুরুষার্থ সে-ই করতে পারে যার অ্যাটেনশন বা বুদ্ধির যোগ এক এর প্রতিই থাকে। সর্বাপেক্ষা উচ্চ পুরুষার্থ হলো বাবার উপর সম্পূর্ণরূপে বলিপ্রদত্ত (কুর্বান) হয়ে যাওয়া। (সেচ্ছায়) বলিপ্রদত্ত বাচ্চারাই বাবার অতি প্রিয়।

প্রশ্নঃ -
সত্যিকারের দীপাবলী উদযাপনের জন্য অসীম জগতের বাবা কোন্ রায় দেন?

উত্তরঃ -
বাচ্চারা, অসীম জাগতিক পবিত্রতাকে ধারণ করো। এখানে যখন অসীম জাগতিক পবিত্র হয়ে উঠবে, এই রকম উচ্চ পুরুষার্থ করলে তবেই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্বে যেতে পারবে অর্থাৎ সত্যিকারের দীপাবলী বা করোনেশন ডে পালন করতে পারবে।

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা, এখন এখানে বসে কি করছে? চলতে-ফিরতে অথবা বসে-বসে জন্ম-জন্মান্তরের যা কিছু পাপের বোঝা মাথার উপর রয়েছে সেগুলিকে স্মরণের যাত্রার মাধ্যমে বিনাশ করছে। আত্মা একথা জানে যে, আমরা যত বাবাকে স্মরণ করব ততই পাপ খন্ডন হয়ে যাবে। বাবা ভালোভাবে বোঝান যে, যদিও (সকলেই) এখানে বসে রয়েছো তথাপি যারা শ্রীমতানুসারে চলে তাদের বাবার পরামর্শ ভালোই লাগবে। অসীম জগতের বাবার পরামর্শ পাওয়া যায়, তাই অপার পবিত্রতা ধারণ করতে হবে। তোমরা এখানে এসেছ অসীম জগতের পবিত্রতা ধারণ করতে, আর তা হবেই স্মরণের যাত্রার মাধ্যমে। কেউ-কেউ তো একদমই স্মরণ করতে পারে না, কেউ-কেউ আবার মনে করে, আমরা স্মরণের যাত্রার দ্বারা নিজেদের পাপ খন্ডন করছি অর্থাৎ নিজেদের কল্যাণ করছি। বাইরের লোকেরা তো এইসব কথা জানেই না। তোমরাই বাবাকে পেয়েছো, তোমরাই তো থাকো বাবার নিকটে। তোমরা জানো যে, এখন আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছি, পূর্বে আসুরী সন্তান ছিলাম। এখন আমাদের সঙ্গ ঈশ্বরীয় সন্তানদের সাথে হয়েছে। গায়নও তো রয়েছে, তাই না - সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে নরকবাস অর্থাৎ ডুবে যায়। বাচ্চারা প্রতিমুহূর্তে একথা ভুলে যায় যে, আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান তাই আমাদের ঈশ্বরীয় মতানুসারে চলা উচিত, না কি মনমত অনুসারে। মানুষের মতকেই মনমত বলা হয়। মানুষের মত আসুরীই হয়ে থাকে। যে বাচ্চারা নিজেদের কল্যাণ চায়, সতোপ্রধান হওয়ার জন্য তারা বাবাকে সঠিকভাবে স্মরণ করতে থাকে। সতোপ্রধানের মহিমা-কীর্তনও হয়ে থাকে। তারা ঠিকই জানে যে, আমরা নম্বরের ক্রমানুযায়ী সুখধামের মালিক হয়ে যাই। যত শ্রীমতানুসারে চলে ততই উচ্চপদ লাভ করে, আর যত নিজের মতে (মনমত) চলবে ততই পদভ্রষ্ট হয়ে যাবে। স্বকল্যাণ করার জন্য বাবার ডায়রেক্শন তো পেতেই থাকে। বাবা বোঝান, এটাও পুরুষার্থ, যে যত স্মরণ করে তার পাপও ততই খন্ডিত হয়। স্মরণের যাত্রা ব্যতীত পবিত্র হতে পারবে না। উঠতে, বসতে, চলতে যেন এই প্রচেষ্টাই থাকে। বাচ্চারা, তোমরা কত বছর ধরে শিক্ষা পাচ্ছ তাও মনে কর যে, আমরা কত দূরে রয়েছি। বাবাকে এত স্মরণ করতে পারি না। তাহলে সতোপ্রধান হতে তো অনেকসময় লেগে যাবে। এর মাঝে যদি (আত্মা) শরীর পরিত্যাগ করে দেয় তাহলে তো কল্প-কল্পান্তরের জন্য পদপ্রাপ্তি কম হয়ে যাবে। যখন ঈশ্বরের হয়ে গেছ তখন তাঁর কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেওয়ার পুরুষার্থ করা উচিত। তোমরা এখন শ্রীমত প্রাপ্ত কর। তিনি হলেন সর্বোচ্চ, ভগবান। তাঁর মতানুসারে না চললে অনেক ধোঁকা খেতে হবে। শ্রীমতানুসারে চলো কি চলো না, সে তো তোমরাই জানো আর শিববাবা জানে। তোমাদের যিনি পুরুষার্থ করান তিনি হলেন শিববাবা। সকল দেহধারীরাই পুরুষার্থ করে। ইনিও দেহধারী, এঁনাকেও শিববাবা পুরুষার্থ করান। বাচ্চাদেরই পুরুষার্থ করতে হবে। মুখ্য কথাই হলো, পতিতদের পবিত্র বানাতে হবে। সন্ন্যাসীরাও পবিত্র থাকে। তারা তো এক জন্মের জন্য পবিত্র হয়। এমনও অনেকে রয়েছে যারা এই জন্মে বাল-ব্রহ্মচারী হয়ে যায়। তারা দুনিয়াকে পবিত্র করার বিষয়ে কোন সহায়তা প্রদান করতে পারে না। সাহায্য তখন করা যায় যখন শ্রীমতানুসারে পবিত্র হয় এবং (সমগ্র) দুনিয়াকে পবিত্র করে।

এখন তোমরা শ্রীমৎ প্রাপ্ত করছো। জন্ম-জন্মান্তর ধরে তোমরা আসুরী মতানুসারে চলেছো। এখন তোমরা জানো যে, সুখধামের স্থাপনা হচ্ছে। আমরা যত শ্রীমতানুসারে পুরুষার্থ করবো ততই উচ্চপদ লাভ করব। এ ব্রহ্মার মত নয়। ইনি তো পুরুষার্থী। এঁনার পুরুষার্থ অবশ্যই এত উচ্চ, তবেই তো লক্ষ্মী-নারায়ণ হন। তাই বাচ্চাদেরও তা ফলো করতে হবে। শ্রীমতানুসারে চলতে হবে, মনমতে নয়। নিজের আত্ম-জ্যোতিকে জাগ্রত করতে হবে। এখন দীপাবলী পালিত হয়, সত্যযুগে দীপাবলী হয় না। ওখানে শুধু রাজ্যাভিষেক হয়। এছাড়া ওখানে আত্মারা তো সতোপ্রধান হয়ে যায়। এখানে যে দীপাবলী পালিত হয়, সে সবই মিথ্যে। বাইরের(স্থূল) প্রদীপ জ্বালানো হয়, ওখানে তো প্রতিটি ঘরেই প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হয় অর্থাৎ সকলের আত্মাই সতোপ্রধান অবস্থায় থাকে। ২১ জন্মের জন্য জ্ঞান-ঘৃত ঢেলে দেওয়া হয়। পুনরায় ধীরে-ধীরে হ্রাস পেতে-পেতে এইসময় সমগ্র দুনিয়ার জ্যোতি ম্রিয়মাণ হয়ে যায়। তারমধ্যেও বিশেষ হলো ভারতবাসী, সাধারণভাবে সমগ্র দুনিয়া। এখন তো সকলেই পাপাত্মা, সকলেরই বিনাশের সময়, সকলকেই হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে ফেলতে হবে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের উচ্চপদ লাভ করার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে, শ্রীমতানুসারে চলেই তা লাভ করতে পারবে। রাবণ-রাজ্যে তো শিববাবার অনেক গ্লানি হয়েছে। এখনও যদি তাঁর আদেশানুসারে না চল তাহলে অনেক ধোঁকা খেতে হবে। ওঁনাকেই তো ডেকেছো যে, এসে আমাদের পবিত্র কর। তাই এখন স্ব-কল্যাণ করার জন্য শিববাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। তা নাহলে অতীব অকল্যাণ হয়ে যাবে। মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা এটাও জানো যে - শিববাবার স্মরণ ব্যতীত আমরা সম্পূর্ণ পবিত্র হতে পারবে না। এত বছর হয়ে গেলো, তথাপি এখনও কেন তোমাদের জ্ঞানের ধারণা হলো না। (বুদ্ধিরূপী) স্বর্ণপাত্রেই ধারণা হবে। নতুন-নতুন বাচ্চারা কত সার্ভিসেবেল হয়। দেখো, কত পার্থক্য। পুরানো-পুরানো বাচ্চারা এত স্মরণের যাত্রায় থাকে না যতটা নতুনরা থাকে। শিববাবার অনেক আদরের দুলাল রয়েছে, যারা অনেক সার্ভিস করে। যেভাবে শিববাবার নিকটে নিজেকে বলি (কুর্বান) দিয়েছে। বলিপ্রদত্ত হয়ে আবার কত সার্ভিসও করে। কত প্রিয়, মিষ্টি লাগে। স্মরণের যাত্রায় থেকেই বাবাকে সাহায্য করতে হবে। বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করলেই তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে। এইজন্যই তো আমাকে ডেকেছ যে, এসে পবিত্র করো, তাই বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করতে থাকো। দেহের সর্ব সম্বন্ধ পরিত্যাগ করতে হবে। শুধুমাত্র এক পিতা ব্যতীত মিত্র-সম্বন্ধীরাও যেন স্মরণে না আসে, তবেই উচ্চপদ লাভ করবে। স্মরণ না করলে উচ্চপদ লাভ করতে পারবে না। একথা বাপদাদাও বোঝে। বাচ্চারা, তোমরাও জানো। নতুন-নতুন যখন আসে তখন মনে করে দিনে-দিনে শুধরে যাবে। শ্রীমতানুসারে চলেই তো শুধরে যায়। ক্রোধের উপরেও পুরুষার্থ করতে-করতে বিজয় প্রাপ্ত করে। তাই বাবাও বোঝান, খারাপ সংস্কারকে নিষ্কাশিত করতে থাকো। ক্রোধ অত্যন্ত খারাপ। নিজের অন্তরকেও দহন করে আর অন্যকেও দহন করে। তাই একেও নিষ্কাশিত করা উচিত। বাচ্চারা বাবার শ্রীমতানুসারে চলে না তাই পদপ্রাপ্তি কম হয়ে যায়, জন্ম-জন্মান্তর, কল্প-কল্পান্তরের জন্য ক্ষতি হয়ে যায়।

বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, ওটা হলো লৌকিক পড়াশোনা, এ হলো আধ্যাত্মিক পঠন-পাঠন, যা আধ্যাত্মিক (পারলৌকিক) পিতা পড়ান। সবরকমের লালন-পালনও হতে থাকে। কোন বিকারী এর অভ্যন্তরে (মধুবন) প্রবেশ করতে পারে না। অসুখ-বিসুখ ইত্যাদির সময়ে মিত্র-সম্বন্ধীরা আসে, এ তো ঠিক নয়। আমরা সেটা পছন্দ করি না, কারণ তাহলে অন্তিম সময়ে সেই মিত্র-সম্বন্ধীরাই স্মরণে আসবে। তাহলে সেই উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। বাবা তো পুরুষার্থ করান, তাই কেউ-ই যেন স্মরণে না আসে। এমন নয় যে, আমরা অসুস্থ তাই মিত্র-সম্বন্ধীরা দেখা করতে এসেছে। না, তাদের ডেকে আনা নিয়ম বহির্ভূত। নিয়মানুসারে চললেই সদ্গতি হয়। তা নাহলে শুধু-শুধুই নিজের ক্ষতি করে দেয়। এ হলো পবিত্র থেকেও পবিত্রতম স্থান। এখানে অপবিত্ররা থাকতে পারে না। যদি মিত্র-সম্বন্ধীরা স্মরণে থাকে তাহলে মৃত্যুকালে অবশ্যই তারাই স্মরণে আসবে। দেহ-অভিমান এলে নিজেরই ক্ষতি হয়ে যায়। সাজার যোগ্য হয়ে যায়। শ্রীমতে না চলার কারণে অনেক দুর্গতি হয়ে যায়। সার্ভিসের যোগ্য হতে পারে না। হাজার মাথা কুটলেও কিন্তু সার্ভিসেবেল হতে পারে না। অবজ্ঞা বা গ্লানি করলে প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে যায়। ঊর্ধ্বে ওঠার পরিবর্তে আরও অধঃপতনে যায়। বাবা বলেন, বাচ্চাদের আজ্ঞাকারী হওয়া উচিত। তা নাহলে পদভ্রষ্ট হয়ে যাবে। লৌকিক পিতারও ৪-৫টি সন্তান থাকে, কিন্তু তারমধ্যে যে আজ্ঞাকারী হয় সেই তার প্রিয় হয়। যে আজ্ঞাকারী নয়, সে তো দুঃখই দেবে। বাচ্চারা, এখন তোমরা দু'জন অতি উচ্চ পিতাকে পেয়েছ, ওঁনাদের গ্লানি করা উচিত নয়। গ্লানি করলে জন্ম-জন্মান্তর, কল্প-কল্পান্তরের জন্য অতি নিম্নপদ লাভ করবে। পুরুষার্থ এমনভাবে করতে হবে যে অন্তিম সময়ে যেন একমাত্র শিববাবাই স্মরণে আসে। বাবা বলেন, আমি জানতে পেরে যাই যে - প্রত্যেকে কেমন পুরুষার্থ করছে। কেউ-কেউ তো যৎসামান্য স্মরণ করে, বাকি সময়ে নিজের মিত্র-সম্বন্ধীদের স্মরণ করে থাকে। তারা খুব খুশীতে থাকতে পারে না। উচ্চপদ লাভ করতে পারে না।

তোমাদের তো রোজই সদ্গুরুবার। বৃহস্পতিবার কলেজ শুরু হয় । ওটা হলো লৌকিক বা পার্থিব জ্ঞান, এ হলো আধ্যাত্মিক জ্ঞান। তোমরা জানো যে, শিববাবা হলেন আমাদের বাবা, শিক্ষক, সদ্গুরু। তাই তাঁর ডায়রেক্শন অনুসারে চলা উচিত, তবেই তো উচ্চপদ লাভ করবে। যারা পুরুষার্থী, তাদের অন্তরে এত খুশী থাকে যে সেকথা আর জিজ্ঞাসা করো না। তাদের মধ্যে খুশী থাকে তাই অন্যদেরকেও খুশীতে রাখার পুরুষার্থ করে। দেখ, কন্যারা রাত-দিন কত পরিশ্রম করে - কারণ এ হলো অতি ওয়ান্ডারফুল জ্ঞান, তাই না। বাপদাদারও করুণা হয়, অনেক বাচ্চারা অবুঝ হওয়ার কারণে কত লোকসান করে ফেলে। দেহ-অভিমানের কারণে ভিতরে ভিতরে অত্যন্ত জ্বলতে থাকে। ক্রোধে মানুষ তামার মতন লালবর্ণের হয়ে যায়। ক্রোধ মানুষকে দহন করে আর কাম-বিকার কালো করে দেয়। মোহ-লোভে এতটা জ্বলে না যা ক্রোধে জ্বলে। ক্রোধের ভূত অনেকের মধ্যেই থাকে। কত লড়াই করে। লড়াই করে নিজেরই ক্ষতি করে ফেলে। নিরাকার, সাকার দুজনেরই গ্লানি করে। বাবা জানেন এরা হলো কুপুত্র। পরিশ্রম করলে উচ্চপদ লাভ করবে। তাই স্বকল্যাণের জন্য সর্ব সম্বন্ধকে ভুলতে হবে। একমাত্র বাবা ব্যতীত আর কাউকেই স্মরণ করবে না। গৃহে থেকেও, মিত্র-সম্বন্ধীদের দেখেও শুধু শিববাবাকেই স্মরণ করতে হবে। তোমরা সঙ্গমযুগে রয়েছো, এখন নিজেদের প্রকৃত গৃহকে, শান্তিধামকে স্মরণ করো।

এ হলো অসীম জগতের পড়াশোনা, তাই না। বাবা শিক্ষা দেন এতে বাচ্চাদেরই লাভ। অনেক বাচ্চা নিজেদের বেকায়দা চলনের জন্য শুধু-শুধুই নিজের ক্ষতি করে। পুরুষার্থ করে বিশ্বের রাজত্ব নেওয়ার জন্য কিন্তু মায়া-রূপী বিড়াল কান কেটে নেয়। অলৌকিক জন্ম নিয়ে বলে আমরা এই পদ প্রাপ্ত করবো কিন্তু মায়া-রূপী বিড়াল নিতে দেয় না, তাই পদভ্রষ্ট হয়ে যায়। মায়া প্রচন্ড জোরে আঘাত করে। তোমরা এখানে এসেছো রাজ্য নেওয়ার জন্য। কিন্তু মায়া উত্ত্যক্ত করে। বাবারও করুণা হয় যে, বেচারা উচ্চপদ লাভ করতে পারলে ভালো হয়। আমার নিন্দাকারী যেন না হয়ে যায়। সদ্গুরুর নিন্দাকারী এখানে স্থান পেতে পারে না, কার নিন্দা? শিববাবার। আচার আচরণ এমন হওয়া উচিত নয় যাতে বাবার গ্লানি হয়ে যায়, এখানে অহংকারের কিছু নেই। আচ্ছা।

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) স্বকল্যাণের জন্য সর্ব সম্বন্ধকে ভুলে যেতে হবে। তাদের প্রতি মোহ রেখো না। ঈশ্বরের মতানুসারে চলতে হবে, নিজের মতে নয়। কুসঙ্গ থেকে বাঁচতে হবে, ঈশ্বরীয় সঙ্গে থাকতে হবে।

২) ক্রোধ অত্যন্ত খারাপ, নিজেকেই দহন করে। ক্রোধের বশীভূত হয়ে গ্লানি করা উচিত নয়। স্বয়ং খুশীতে থাকার এবং সকলকে খুশীতে রাখার পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদান:-
স্নেহের রিটার্নে নিজেকে টার্ন করে বাবার সমান সম্পন্ন আর সম্পূর্ণ ভব

স্নেহের লক্ষণ হলো, সে স্নেহীর দুর্বলতা দেখে না, স্নেহীর করা ভুল নিজের ভুল মনে করে। বাবা যখন বাচ্চাদের কোনও কথা শোনেন তখন মনে করেন যে এটা তাঁরই কথা। বাবা বাচ্চাদেরকে নিজের সমান সম্পন্ন আর সম্পূর্ণ দেখতে চান। এই স্নেহের রিটার্নে নিজেকে টার্ন করে নাও। ভক্তরা তো নিজের শিরশ্ছেদ করে সম্মুখে রাখার জন্য তৈরী থাকে, তোমরা শরীরের শিরশ্ছেদ ক'রো না, পরিবর্তে রাবণের শিরশ্ছেদ করো।

স্লোগান:-
নিজের আত্মিক ভায়ব্রেশনের দ্বারা শক্তিশালী বায়ুমন্ডল বানানোর সেবা করাই হলো সবথেকে শ্রেষ্ঠ সেবা।