26.09.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
সর্বদা যেন এই স্মৃতিই থাকে যে, আমরা শ্রীমৎ অনুযায়ী নিজেদের সত্যযুগী রাজধানী
স্থাপন করছি - তাহলে অপার খুশী থাকবে"
প্রশ্নঃ -
এই জ্ঞানের
ভোজন কোন্ বাচ্চাদের হজম হতে পারে না?
উত্তরঃ
যারা ভুল করে
ছিঃ ছিঃ পতিত হয়ে আবার ক্লাসে এসে বসে, তাদের জ্ঞান হজম হতে পারে না। তারা মুখ দিয়ে
কখনোই বলতে পারে না যে, শিব ভগবানুবাচ হলো কাম মহাশত্রু। তাদের ভিতরে ভিতরে
অন্তর্দহন হতে থাকবে। তারা আসুরিক সম্প্রদায়ের হয়ে যায়।
ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে আত্মা
রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, তিনি কি রকম বাবা, সেই বাবার মহিমা তোমাদের অর্থাৎ
বাচ্চাদের করতে হবে। গাওয়াও হয়- সত্য শিববাবা, সত্য টিচার, সত্য শিব গুরু। তিনি তো
সত্য যে না! বাচ্চারা, তোমরা জানো যে আমরা সত্য শিববাবাকে পেয়েছি। আমরা এই বাচ্চারা
এখন শ্রীমত অনুযায়ী একমত হচ্ছি। তাই তো শ্রীমত অনুযায়ী চলা উচিত যে না! বাবা বলেন
এক তো দেহী-অভিমানী হও আর বাবাকে স্মরণ করো। যত স্মরণ করবে, নিজের কল্যাণ করবে।
তোমরা আবার নিজেদের রাজধানী স্থাপন করছো। পূর্বেও আমাদের রাজধানী ছিলো। আমরা অর্থাৎ
যারা দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম তারাই ৮৪ জন্ম ভোগ করে এখন সঙ্গমে আছি। বাচ্চারা, এই
পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগের কথা তোমরা ছাড়া অন্য কারোর জানা নেই। বাবা কতো পয়েন্টস্
দেন - বাচ্চারা যদি ভালো ভাবে স্মরণে থাকে তবে অনেক খুশীতে থাকবে। কিন্তু বাবাকে
স্মরণ করার পরিবর্তে দুনিয়ার অন্যান্য ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এইটা স্মরণে থাকা
উচিত যে, আমরা শ্রীমৎ অনুযায়ী নিজের রাজ্য স্থাপন করছি। গাওয়াও হয় উচ্চতমের চেয়েও
উচ্চ ভগবান, উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ হলো তাঁরই শ্রীমৎ । শ্রীমৎ কি শেখায়? সহজ রাজযোগ।
রাজত্বের জন্য অধ্যয়ণ করানো হচ্ছে। নিজের প্রকৃত পিতার, সমস্ত সৃষ্টির
আদি-মধ্য-অন্তকে জেনে আবার দৈবী-গুণ ধারণ করতে হবে। কখনো বাবার বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত
নয়। অনেক বাচ্চা নিজেকে সার্ভিসেবেল ভেবে অহঙ্কারী হয়ে যায়। এইরকম অনেক হয়। তখন
কোথাও কোথাও পরাজিত হয়ে যায়। তখন নেশাই উড়ে যায়। তোমরা য মাতা'রা পড়াশোনা জানো
না, পড়াশুনা জানলে তো কামাল করে দেখাতে ! পুরুষদের মধ্যে তাও কেউ কেউ পড়াশোনা জানা
মানুষ আছে। কুমারীরা, তোমাদের তো নাম উজ্জ্বল করা উচিত। তোমরা শ্রীমত অনুযায়ী
রাজত্ব স্থাপন করেছিলে। নারী থেকে লক্ষ্মী হয়েছিলে তাই কতো নেশা থাকা উচিত। এখানে
তো দেখো পাই পয়সার পড়াশুনার জন্য প্রাণপাত করে দেয়। আরে তোমরা সুন্দর হচ্ছো,
তাহলে আবার অসুন্দর তমোপ্রধানের প্রতি হৃদয় কেন আকৃষ্ট হবে ? এই কবরখানার প্রতি
হৃদয় দিও না। আমরা তো বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। পুরানো দুনিয়ার প্রতি
হৃদয়ের টান থাকা মানেই হলো নরকে যাওয়া। বাবা এসে আমাদের নরক থেকে উদ্ধার করেন। তবে
কেন তোমরা নরকের দিকে মুখ কেন করে রাখবে ! তোমাদের এই অধ্যয়ণ কতো সহজ। কোনো
মুনি-ঋষি জানে না। না কোনো টিচার, না কোনো মুনি-ঋষি বোঝাতে পারবে। তিনি হলেন বাবা,
টিচার এমন কি সদ্গুরুরও। সেই গুরুরা শাস্ত্র শোনায়। তাদের টিচার বলা হবে না। তারা
কখনো এইরকম বলে না যে, আমরা দুনিয়ার হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি শোনাচ্ছি। বাবা তোমাদের
শাস্ত্রের সার বোঝান আর তারপর ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফিও বলে দেন। এখন এই
টিচার ভালো না ওই টিচার ভালো? ওই টিচারের কাছে তোমরা যতই পড়ো না কেন, কি উপার্জন
করবে? তাও ভাগ্য। পড়তে-পড়তে কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেলো, মরে গেলে তো পড়া শেষ।
এখানে তোমরা এই পড়া যতই পড়ো, ব্যর্থ যাবে না। হ্যাঁ, শ্রীমতে না চলে উল্টো চললে
বা গর্তে গিয়ে পড়লে তবে যতটা পড়েছো সেটা আর চলবে না (পরের জন্মে গিয়ে আবার নতুন
করে শুরু করতে হবে)। কিন্তু এই পড়াশোনা হলো ২১ জন্মের জন্য। কিন্তু নীচে পড়ে গেলে
কল্প-কল্পান্তরের জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে । বাবা বলেন- বাচ্চারা, মুখ কালো ক'রো
না। এইরকম অনেক আছে যারা মুখ কালো করে, ছিঃ ছিঃ হয়ে আবার এসে বসে পড়ে। তাদের এই
জ্ঞান কখনো হজম হয় না। বদ-হজম হয়ে যায়। যা শুনবে সেটা বদ হজম হয়ে যাবে, আবার মুখ
দিয়ে কাউকে বলতে পারবে না যে ভগবানুবাচ কাম হলো মহাশত্রু, এর উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে
হবে। নিজেই বিজয় প্রাপ্ত করতে পারে না তো অপরকে বলবে কি করে ! ভিতরে-ভিতরে দগ্ধ হবে
যে ! ওদের বলা হয় আসুরিক সম্প্রদায়, অমৃত পান করতে করতে আবার বিষ খেয়ে নিলে তখন শত
গুণ কালো (কুৎসিত) হয়ে যাবে। হাড্ডি-হাড্ডি ভেঙে যায়। তোমাদের অর্থাৎ মাতাদের
সংগঠন তো খুবই ভালো হওয়া উচিত। এইম্- অবজেক্ট তো সামনে আছে। তোমরা জানো যে, এই
লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে এক দেবী-দেবতা ধর্ম ছিলো। এক রাজ্য, এক ভাষা, ১০০ পারসেন্ট
পিওরিটি, পীস, প্রস্পারিটি (সমৃদ্ধি) ছিল। সেই এক রাজ্যকেই বাবা এখন স্থাপনা করছেন।
এটা হলো এইম্ অবজেক্ট। ১০০ ভাগ পবিত্রতা, সুখ, শান্তি, সম্পত্তির স্থাপনা এখন হচ্ছে।
তোমরা দেখাও যে, বিনাশের পরে শ্রীকৃষ্ণ আসছেন। ক্লীয়ার লিখে দেওয়া উচিত। সত্যযুগী
একটাই দেবী-দেবতাদের রাজ্য, এক ভাষা, পবিত্রতা, সুখ, শান্তি আবার স্থাপন হচ্ছে।
গভর্মেন্ট চাই যে না। স্বর্গ হয়ই সত্যযুগ - ত্রেতাতে। কিন্তু মানুষ নিজেকে কি আর
নরকবাসী মনে করে! তোমরা লিখতে পারো- দ্বাপর-কলিযুগে সব হলো নরকবাসী। এখন তোমরা হলে
সঙ্গমযুগী। পূর্বে তোমরাও কলিযুগী নরকবাসী ছিলে, এখন তোমরা স্বর্গবাসী হচ্ছো। ভারতকে
স্বর্গ করে তোলা হচ্ছে শ্রীমত অনুযায়ী। কিন্তু সেই সাহস, সংগঠন থাকা চাই। ঘুরতে গেলে
তো এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র নিয়ে যেতে হবে। এটা ভালো। এতে লিখে দাও আদি সনাতন
দেবী-দেবতা ধর্ম, সুখ-শান্তির রাজ্য স্থাপন হচ্ছে- ত্রিমূর্তি শিববাবার শ্রীমত
অনুযায়ী। এইরকম এইরকম বড়-বড় অক্ষরে বড়-বড় চিত্র। ছোটো বাচ্চা ছোটো চিত্র পছন্দ
করে। আরে চিত্র তো যত বড় হবে ততই ভালো। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র তো খুবই সুন্দর।
এর মধ্যে শুধুমাত্র লিখতে হবে একই সত্য ত্রিমূর্তি শিববাবা, সত্য ত্রিমূর্তি শিববাবা
টিচার, সত্য ত্রিমূর্তি শিব গুরু। ত্রিমূর্তি শব্দ না লিখলে তো মনে করবে পরমাত্মা
তো হলেন নিরাকার, তিনি টিচার কীভাবে হতে পারেন? জ্ঞান তো নেই যে না !
লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র টিনের সিটের (sheat) উপর তৈরী করে প্রতিটা জায়গায় রাখতে
হবে - এটা স্থাপনা হচ্ছে । বাবা এসেছেন ব্রহ্মা দ্বারা এক ধর্মের স্থাপনা বাকি সবের
বিনাশ করিয়ে দেবেন। এটা বাচ্চাদের সম্পূর্ণ নেশা থাকতে হবে । ছোট ছোট বিষয়ে মতের
মিল না হলেই বিগড়ে যায় । এটা তো হয়েই থাকে। কেউ এইদিকে কেউ ওইদিকে, এরপর মেজরিটি
যেদিকে থাকে তাকেই বেঁছে নেওয়া হয়। এতে মর্মাহত হওয়ার কিছু নেই। বাচ্চারা অভিমানী
হয়ে পড়ে। আমার কথা শোনা হলো না। আরে, এতে অভিমান করার কি আছে ! বাবা তো সকলের মন
ভালো করে দেন। মায়া সকলের মুখ গোঁমড়া করায়, তখন সবাই বাবার উপর অভিমান করে,
অভিমানই বা কি করবে ? বাবাকে জানেই না। যেই বাবা স্বর্গের বাদশাহী দিয়েছেন তাঁকে
জানেই না। বাবা বলেন - আমি তোমাদের প্রতি উপকার করি। তোমরা আবার আমার প্রতি অপকার
করো। ভারতের কি হাল দেখো। তোমাদের মধ্যেও খুব কম আছে যাদের নেশা আছে। এ হলো নারায়ণী
নেশা। এমনি কি আর বলা উচিত যে আমরা রাম-সীতা হবো? তোমাদের এইম্ - অবজেক্টই হলো নর
থেকে নারায়ণ হওয়া। তোমরা আবার রাম - সীতার হলেই খুশী হয়ে যাও, সাহস দেখাতে হবে না
! পুরানো দুনিয়ার প্রতি হৃদয় আকর্ষণ থাকা উচিত নয়। কোনো ভাবে হৃদয় জুড়লো তো মরলে।
জন্ম-জন্মান্তরের ঘাটতি থেকে যাবে। বাবার থেকে তো স্বর্গের সুখ প্রাপ্ত হয়, তবে আমরা
নরকে কেন পড়ে! বাবা বলেন- তোমরা যখন স্বর্গে ছিলে তখন আর কোনো ধর্ম ছিলো না। এখন
ড্রামা অনুসারে তোমাদের ধর্মই নেই। কেউই নিজেকে দেবতা ধর্মের মনে করে না।মানুষ হয়েও
নিজের ধর্মকে না জানলে তো কি বলা যায়! হিন্দু কি আর কোনো ধর্ম হলো! কে স্থাপন করেছে,
এটাও জানে না। বাচ্চারা, তোমাদের কতো বোঝানো হয়। বাবা বলেন, আমি কালেরও কাল, এখন
এসেছি- সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। এছাড়া যারা ভালো ভাবে অধ্যয়ণ করবে তারাই বিশ্বের
মালিক হবে। এখন ঘরে ফিরে (পরমধাম) চলো। এই জায়গা থাকার যোগ্য নয়, অনেক নোংরা করে
দিয়েছো - আসুরিক মতে চলে। বাবা তো এরকম করতে বলবেন না ! তোমরা এই ভারতবাসী যারা
বিশ্বের মালিক ছিলে, এখন কতো ধাক্কা খেতে থাকো। লজ্জা করে না ! তোমাদের মধ্যেও কেউ
আছে যে ভালো মতো বোঝে। নম্বর অনুযায়ী তো, আছে, তাই না! অনেক বাচ্চারা তো নিদ্রায়
থাকে। সেই খুশীর পারদ উপরে ওঠে না। বাবা আমাদের আবার রাজধানী প্রদান করেন। বাবা
বলেন- এই সাধু ইত্যাদিদেরও আমি উদ্ধার করি। তারা না নিজেদের- না অপরকে মুক্তি দিতে
পারে। সত্যিকারের গুরু তো একজনই হলেন সদ্গুরু, যিনি সঙ্গমে এসে সকলের সদ্গতি করেন।
বাবা বলেন- আমি আসি কল্পের সঙ্গমের যুগে-যুগে, যখন কি না আমাকে সমস্ত দুনিয়াকে
পবিত্র করতে হবে।মানুষ মনে করে বাবা হলেন সর্ব শক্তিমান, তিনি কি না করতে পারেন। আরে,
আমাকে ডাকেই যে আমাদের অর্থাৎ এই পতিতদের পবিত্র করো, তাই আমি এসে পবিত্র করে তুলি।
এছাড়া আর কি করবো। তাছাড়া তো রিদ্ধি-সিদ্ধি করার মতো অনেক আছে, আমার কাজ হলোই নরককে
স্বর্গে পরিণত করা। সে তো প্রতি ৫ হাজার বছর পরে তৈরী হয়। এটা তোমরাই জানো। আদি
সনাতন (সত্য) হলো দেবী-দেবতা ধর্ম। বাকী তো সব পিছনে-পিছনে এসেছে। অরবিন্দ ঘোষ তো
এখন এলো- তাও দেখো তাঁর কতো আশ্রম হয়ে গেলো। সেখানে কি আর কোনো নির্বিকারী হয়ে ওঠার
ব্যাপার আছে আর! তারা তো মনে করেন গৃহস্থী হয়ে থেকে কেউ পবিত্র থাকতে পারে না। বাবা
বলেন গার্হস্থ্য জীবনে থেকে শুধুমাত্র এক জন্ম পবিত্র থাকো। তোমরা তো
জন্ম-জন্মান্তর পতিত থেকেছো। এখন আমি এসেছি তোমাদের পবিত্র করে তুলতে। এই অন্তিম
জন্ম পবিত্র থাকো। সত্যযুগ-ত্রেতাতে তো বিকার হয়ই না।
এই লক্ষ্মী-নারায়ণের
চিত্র আর সিঁড়ির চিত্র খুবই সুন্দর। এতে লেখা আছে- সত্যযুগে এক ধর্ম, এক রাজ্য ছিলো।
বোঝানোর জন্য বড় যুক্তি চাই। বুড়ি মাতাদেরও শিখিয়ে নিয়ে তৈরী করা উচিত, যাতে
প্রদর্শনীতে কিছু বোঝাতে পারে। যে কোনো কাউকেই এই চিত্র দেখিয়ে বলো এদের রাজ্য ছিলো
তো! এখন তো নেই। বাবা বলেন - এখন তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তবে পবিত্র হয়ে পবিত্র
দুনিয়াতে চলে যাবে। এখন পবিত্র দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে। কতো সহজ। বুড়িরা বসে
প্রদর্শনীতে বোঝাবে তবে তো নাম উজ্জ্বল হবে। কৃষ্ণর চিত্রতেও লেখা খুব সুন্দর। বলা
উচিত এই লেখা অবশ্যই পড়ো। এটা পড়লে তোমাদের নারায়ণী নেশা অথবা বিশ্বের মালিকানার
নেশা উঠবে। বাবা বলেন আমি তোমাদের এইরকম লক্ষ্মী-নারায়ণ তৈরী করি। তাই তোমাদেরও
অন্যদের প্রতি দয়ালু হওয়া উচিত। যখন নিজের কল্যাণ হবে তখন অপরেরও কল্যাণ করতে পারবে।
বুড়ি মাতাদের শিখিয়ে এমন সচেতন করে তোলো, বাবা বলেন, প্রদর্শনীতে যাতে যে ৮-১০ জন
বুড়ি মাতাকেও যদি পাঠাও তারাও তাড়াতাড়ি অনেককে নিয়ে আসবে । যে করবে সে-ই প্রাপ্ত
করবে। সামনে এইম্ অবজেক্ট দেখেই খুশী হয়। আমরা এই শরীর ত্যাগ করে বিশ্বের মালিক হবো।
যত স্মরণে থাকবে ততই পাপ খন্ডন হবে। দেখো খামের উপরে ছাপা আছে - ওয়ান রিলিজন(ধর্ম),
ওয়ান ডিটির(দেবত্ব), ওয়ান কিংডম (রাজ্য), ওয়ান ল্যাংগুয়েজ... সেটা তাড়াতাড়ি
স্থাপন হবে। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কখনোই নিজেদের মধ্যে বা বাবার প্রতি অভিমান করতে নেই, বাবা সান্ত্বনা দিয়ে বোঝাতে
এসেছেন, সেইজন্য কখনোই মুষঢ়ে পড়তে নেই। বাবার বিরুদ্ধে যেতে নেই।
২ ) পুরানো দুনিয়ার
প্রতি, পুরানো দেহের প্রতি হৃদয় যেন উদ্বেলিত না হয়। সত্য বাবা, সত্য টিচার আর
সদ্গুরুর সাথে সততা নিয়ে থাকতে হবে। সর্বদা একের শ্রীমত অনুযায়ী চলে দেহী-অভিমানী
হতে হবে।
বরদান:-
নিজের
তপস্বী স্বরূপের দ্বারা সকলকে প্রাপ্তির অনুভূতি করিয়ে মাস্টার বিধাতা ভব
যেরকম সূর্য বিশ্বকে
আলোর প্রকাশ আর অনেক বিনাশী প্রাপ্তির অনুভূতি করায় এইরকম তোমরা তপস্বী আত্মারা
নিজেদের তপস্বী স্বরূপের দ্বারা সকলকে প্রাপ্তির কিরণের অনুভূতি করাও। এরজন্য প্রথমে
জমার খাতা বৃদ্ধি করো। তারপর জমা করা খাজানা মাস্টার বিধাতা হয়ে দিতে থাকো। তপস্বী
মূর্তির অর্থ হলো - তপস্যা দ্বারা শান্তির শক্তির কিরণ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই
অনুভূতি হবে।
স্লোগান:-
স্বয়ং
নির্মাণ হয়ে সবাইকে সম্মান দিতে থাকো - এটাই হলো সত্যিকারের পরোপকার।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
লগণের অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে যোগকে জ্বালা রূপ বানাও
এখন সবাই ভালো-ভালো
বলছে, কিন্তু ভালো হতে হবে এই প্রেরণা পাচ্ছে না। তারজন্য একটাই সাধন হলো -
সংগঠিতরূপে জ্বালাস্বরূপ হও। প্রত্যেকে চৈতন্য লাইট হাউস হও। সেবাধারী আছো, স্নেহী
আছো, এক বল এক ভরসা - মেনে চলছো, এসব তো ঠিক আছে, কিন্তু মাস্টার সর্বশক্তিমানের
স্টেজ, স্টেজের উপর এসে গেলে তো সবাই তোমাদের সামনে মত্ত হয়ে চক্র লাগাতে থাকবে।