27.03.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
মাঝি এসেছেন তোমাদের নৌকাকে তীরে পৌছে দিতে, বাবার কাছে তোমরা সততার সাথে থাকো তবে
নৌকা হেলবে দুলবে কিন্তু কখনোই ডুবে যাবে না"
প্রশ্নঃ -
বাবার স্মরণ
বাচ্চাদের যথার্থ রূপে না থাকার কারণ কি?
উত্তরঃ
সাকার
আসতে-আসতে ভুলে গেছে যে আমরা আত্মারা নিরাকার আর আমাদের বাবাও হলেন নিরাকার, সাকার
হওয়ার কারণে সাকারের স্মরণই সহজে এসে যায় । দেহী-অভিমানী হয়ে নিজেকে বিন্দু মনে করে
বাবাকে স্মরণ করা এতেই পরিশ্রম রয়েছে ।
ওম্ শান্তি ।
শিব ভগবানুবাচ
। এনার নাম তো শিব নয়, তাইনা । এনার নাম ব্রহ্মা আর এনার দ্বারাই কথা বলেন, শিব
ভগবানুবাচ । এটা তো অনেকবার বোঝানো হয়েছে যে, কোনও মানুষকে বা দেবতাকে অথবা সূক্ষ্ম
বতন নিবাসী ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে ভগবান বলা যায় না । যাদের আকার বা সাকার চিত্র
আছে তাদের ভগবান বলা যায় না । ভগবান বলা হয় অসীম জগতের পিতাকে । ভগবান কে, কারো জানা
নেই। নেতী-নেতী বলে থাকে অর্থাত্ আমরা জানিনা। তোমাদের মধ্যেও অল্প সংখ্যক আছে যারা
যথার্থ রূপে জানে। আত্মা বলে - হে ভগবান। আত্মা তো বিন্দু, সুতরাং বাবাও বিন্দু
হবেন। এখন বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান । বাবার কাছে ৩০-৩৫ বছরের বাচ্চাও আছে, যারা
আমরা আত্মা বিন্দু, এটাও বোঝে না । কেউ তো খুব ভালোভাবে বুঝেছে, বাবাকে স্মরণও করে
। অসীম জগতের পিতা হলেন প্রকৃত হীরা । হীরাকে খুব সুন্দর বক্সে রাখা হয়। কারো কাছে
ভালো হীরা থাকলে এবং সেটা কাউকে দেখাতে হলে সোনা-রূপার বাক্সে রেখে তারপর দেখায় ।
হীরের জহুরিই সেটা দেখে বুঝতে পারে আর কেউ বুঝতে পারে না । নকল হীরা দেখালেও কেউ
জানতে পারে না, এভাবেই অনেকে ঠকে যায় । এখন সত্য পিতা এসেছেন, কিন্তু মিথ্যা (নকল)
এমন-এমন আছে যা মানুষ বুঝতে পারে না । গাওয়াও হয়ে থাকে সত্যের নৌকা হেলবে কিন্তু
ডুববে না । মিথ্যার নৌকা হেলবে না (ডুবে যাবে) । এমনকি এখানে যারা বসে আছে তারাও
নৌকাকে হেলানোর চেষ্টা করে থাকে । ট্রেটরের কথা বলা হয়ে থাকে তাইনা! এখন তোমরা
বাচ্চারা জানো যে মাঝিরূপী বাবা এসেছেন । তিনি বাগানের মালিকও। বাবা বুঝিয়েছেন যে এ
হলো কাঁটার জঙ্গল । সবাই পতিত তাই না ! কত মিথ্যা, প্রকৃত বাবাকে প্রকৃত সত্য যারা
তারাই জানতে পারে। এখানে যারা আসে তাদের মধ্যেও সম্পূর্ণরূপে জানে না, সম্পূর্ণ
পরিচয় নেই, কেননা গুপ্ত, তাইনা । ভগবানকে স্মরণ তো সবাই করে, এটাও জানে যে তিনি
নিরাকার । পরমধাম নিবাসী । আমরাও নিরাকার আত্মা - এটা জানে না । সাকারে বসে বসে ভুলে
গেছে । সাকারে থাকতে থাকতে সাকারই স্মরণে আসে। তোমরা বাচ্চারা এখন দেহী-অভিমানী
হচ্ছো । ভগবানকে বলা হয় পরমপিতা পরমাত্মা । এটা বোঝা তো অতি সহজ । পরমপিতা অর্থাৎ
সর্বোচ্চ স্থানের নিবাসী পরম আত্মা । তোমাদের বলা হয় আত্মা । তোমাদের পরম বলা হয় না
। তোমরা পুনর্জন্ম গ্রহণ করো তাইনা । এ কথা কেউ জানে না । ভগবানকেও সর্বব্যাপী বলে
থাকে । ভক্ত ভগবানকে খুঁজতে পাহাড়ে, তীর্থে, নদীতেও যায় । ওরা ভাবে নদী পতিত-পাবনী
ওখানে স্নান করলে পবিত্র হয়ে যাবো। ভক্তি মার্গে তো এটাও কেউ জানেনা আমার কি চাই !
শুধু বলে থাকে মুক্তি চাই, মোক্ষ চাই কেননা এখানে দুঃখী হওয়ার কারণে বিরক্ত হয়ে গেছে
। সত্যযুগে কেউ মোক্ষ বা মুক্তি প্রার্থনা করে না। ওখানে ভগবানকে কেউ ডাকে না, এখানে
দুঃখী হওয়ার কারণে ভগবানকে ডাকে । ভক্তিতে কারো দুঃখ মিটতে পারে না। যদি কেউ
সারাদিন রাম-রাম বসে জপও করে, তবুও দুঃখ মিটতে পারে না । এটা হলো রাবণ রাজ্য । দুঃখ
তো যেন গলায় আটকে পড়ে আছে । গাওয়াও হয়ে থাকে দুঃখে সবাই সিমরন (ঈশ্বরের নাম জপ করা)
করে সুখে থাকলে কেউ জপ করেনা। এর অর্থই হলো নিশ্চয়ই সুখ ছিল, এখন দুঃখ নেমে এসেছে ।
সুখ ছিল সত্যযুগে দুঃখ এখন কলিযুগে সেইজন্যই একে কাঁটার জঙ্গল বলা হয় । প্রথম নম্বর
হলো দেহ-অভিমানের কাঁটা, তারপর কাম এর কাঁটা।
এখন বাবা বোঝাচ্ছেন,
তোমরা এই নেত্রের দ্বারা যা কিছু দেখছো সব বিনাশ হয়ে যাবে, এখন তোমাদের যেতে হবে
শান্তিধাম । নিজের ঘর আর রাজধানীকে স্মরণ করো । ঘরকে স্মরণ করার সাথে-সাথে বাবাকে
স্মরণ করাও জরুরি কেননা ঘর কোনও পতিত-পাবন নয়। তোমরা পতিত-পাবন বাবাকে বলে থাক।
সুতরাং বাবাকেই স্মরণ করতে হবে । তিনি বলেন মামেকম্ স্মরণ করো । আমাকেই তো আহ্বান
করে থাকো - বাবা, তুমি এসে আমাদের পবিত্র করে তোলো । জ্ঞানের সাগর যখন নিশ্চয়ই মুখ
দিয়েই বোঝাতে হবে। অনুপ্রেরণা তো দেবেন না। একদিকে শিব জয়ন্তী পালন করে থাকে,
অন্যদিকে বলে থাকে নাম-রূপহীন । নাম-রূপহীন কোনও বস্তু হতে পারে না, তারপর আবার বলে
নুড়ি -পাথর সর্বত্র আছেন । অনেক মত না ! বাবা বোঝান, ৫ বিকার রূপী রাবণ তোমাদের
তুচ্ছ বুদ্ধি করে তুলেছে সেইজন্যই দেবতাদের সামনে গিয়ে নমস্কার করে থাক। কেউ-তো
নাস্তিক হয়, কাউকেই মানেনা । এখানে বাবার কাছে আসে ব্রাহ্মণ, যাদের ৫ হাজার বছর
আগেও বুঝিয়েছিলেন । লিখিত আছে পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা করেন সুতরাং
তোমরা ব্রহ্মার সন্তান । প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো প্রসিদ্ধ । নিশ্চয়ই
ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণীও হবে । এখন তোমরা শূদ্র ধর্ম থেকে বেরিয়ে ব্রাহ্মণ ধর্মে এসেছো।
বাস্তবে হিন্দু বলে যারা তারা নিজেদের ধর্মকে জানে না, সেইজন্যই কখনও একে মানবে,
কখনও বা অন্য কাউকে মানবে । অনেকের কাছে যাবে । খ্রীষ্টানরা কখনও কারো কাছে যায়না ।
এখন তোমরা প্রমাণ সহ বলে থাকো - ভগবান পিতা বলেন আমাকে স্মরণ করো । একদিন
সংবাদপত্রেও পড়বে - আমাকে স্মরণ করলেই তোমরা পতিত থেকে পাবন হতে পারবে । যখন বিনাশ
এগিয়ে আসবে তখন সংবাদপত্রের দ্বারাই এই আওয়াজ কানে এসে পৌঁছাবে । সংবাদপত্রে তো কত
জায়গার খবর আসে তাইনা । এখনও তোমরা সংবাদপত্রে দিতে পারো। ভগবানুবাচ - পরমপিতা
পরমাত্মা শিব বলেন - আমি হলাম পতিত-পাবন, আমাকে স্মরণ করলে তোমরা পবিত্র হতে পারবে।
এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ সামনে অপেক্ষা করছে । বিনাশ অবশ্যই হবে, এটাও সবার নিশ্চিত
হবে । রিহার্সালও হতে থাকবে । তোমরা বাচ্চারা জানো যে যতক্ষণ রাজধানী স্থাপন না
হচ্ছে ততক্ষণ বিনাশ হবেনা, আর্থকোয়েক ইত্যাদিও তো হবে তাইনা । একদিকে বোমা নিক্ষেপ
হবে অন্যদিকে ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ হবে । খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে না, স্টীমার আসবে
না, ফেমেন পড়বে (দুর্ভিক্ষ), অনাহারে মরতে-মরতে শেষ হয়ে যাবে । অনশন ধর্মঘট যারা
করে তারা কিছু না কিছু জল বা মধু ইত্যাদি গ্রহণ করে । ওজন কমে যায় । এখানে তো
বসে-বসে আচমকাই আর্থকোয়েক হবে, মরে যাবে। বিনাশ তো অবশ্যই হবে । সাধু-সন্ত ইত্যাদি
গুরুরা এমনটা বলবে না যে বিনাশ হবে, সেইজন্য রাম-রাম করো । মানুষ তো ভগবানকেই জানেনা
। ভগবান স্বয়ং নিজেকে জানে,আর কেউ জানেনা । ওনার আসার সময় আছে, যিনি তারপর এই বৃদ্ধ
শরীরে প্রবেশ করে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ শোনান। তোমরা বাচ্চারা জান এখন ফিরে
যেতে হবে । এতে তো খুশি হওয়া উচিত । আমরা শান্তিধামে যাব। মানুষ তো শান্তি চায়
কিন্তু শান্তি দেবে কে? বলাও হয়ে থাকে শান্তি দেবাঃ... এখন দেবেরও দেব তো একজনই,
উচ্চ থেকেও উচ্চ হলেন বাবা । তিনি বলেন আমি তোমাদের সবাইকে পবিত্র করে নিয়ে যাবো ।
একজনকেও ছাড়বো না । ড্রামানুসারে সবাইকেই যেতে হবে । গাওয়াও হয়ে থাকে মশার সদৃশ সব
আত্মারা যায়। এটাও জানো যে সত্যযুগে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ থাকবে। এখন কলিযুগের
অন্তিমে অসংখ্য মানুষ তারপর সংখ্যায় কম কিভাবে হবে? এখন হলো সঙ্গম, তোমরা সত্যযুগে
যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছ। জান যে বিনাশ হবে । মশার মতো সব আত্মারা যাবে। সমস্ত
ভীড় চলে যাবে । সত্যযুগে খুব অল্প সংখ্যক থাকবে ।
বাবা বলেন কোনও
দেহধারীকে স্মরণ ক'রো না। আমরা দেখেও দেখি না । আমি আত্মা, নিজের ঘরে ফিরে যাবো ।
খুশি মনে পুরানো শরীর ত্যাগ করা উচিত । নিজের শান্তিধামকে স্মরণ করলে অন্তিম কালে
যেমন মতি তেমনই গতি হবে। এক বাবাকেই স্মরণ করা, এতেই পরিশ্রম রয়েছে । পরিশ্রম ছাড়া
উচ্চ পদ প্রাপ্ত হয়না। বাবা আসেন তোমাদের নর থেকে নারায়ণ করে তোলার জন্য । এখন এই
পুরানো দুনিয়াতে কোনও মানসিক শান্তি নেই । শান্তি আছে শান্তিধাম আর সুখধামে । এখানে
তো ঘরে-ঘরে অশান্তি, মারামারি । বাবা বলেন এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়াকে ভুলে যাও।
মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, আমি তোমাদের জন্য স্বর্গ স্থাপনা করতে এসেছি। এই নরকে তোমরা
পতিত হয়ে পড়ে আছ। এখন স্বর্গে যেতে হবে । বাবা আর স্বর্গকে স্মরণ কর তবেই অন্তিমে
স্থিতি অনুযায়ী গতি হবে । বিবাহ ইত্যাদি যে কোনও অনুষ্ঠানে যাও কিন্তু বাবাকে স্মরণ
করো । সম্পূর্ণ নলেজ বুদ্ধিতে থাকা উচিত । ঘরে থাকো, সন্তান এবং পরিবারের দায়িত্ব
পালন করো কিন্তু বুদ্ধিতে রেখো যে - বাবার আদেশ, আমাকে স্মরণ করো । ঘর পরিবার ছাড়তে
হবে না । তাহলে বাচ্চাদের দায়িত্ব কে নেবে? ভক্তরাও ঘরে থাকে, গৃহস্থ ব্যবহারে থাকে
তবুও তাদের ভক্ত বলা হয় কেননা ভক্তিও করে, ঘরে বাইরে উভয় দিকই সামলায়। বিকারে যায়
তবুও গুরু বলে থাকে যদি কৃষ্ণকে স্মরণ করো তবে তার মতো সন্তান হবে । এইসব ব্যপারে
এখন বাচ্চারা তোমাদের যাওয়া উচিত নয়। কেননা তোমাদের এখন সত্যযুগে যাওয়ার কথা শোনানো
হচ্ছে, যার স্থাপনা কার্য চলছে । বৈকুন্ঠের স্থাপনা কৃষ্ণ করে না, কৃষ্ণ তো
সেখানকার মালিক । বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকারী প্রাপ্ত করেছে। সঙ্গমের
সময়েই গীতার ভগবান আসেন । কৃষ্ণ ভগবান নন। ইনিও ঈশ্বরীয় পড়াশোনা করছেন। গীতা শোনান
বাবা আর বাচ্চারা শোনে। ভক্তি মার্গে ওরা বাবার পরিবর্তে বাচ্চার (কৃষ্ণ) নাম লিখে
দিয়েছে। বাবাকে ভুলে যাওয়ার জন্য গীতাও খন্ডন হয়ে গেছে । খন্ডন করা গীতা পড়ে কি হবে
। বাবা তো রাজযোগ শিখিয়েছেন যার দ্বারা কৃষ্ণ সত্যযুগের মালিক হয়েছে । ভক্তি মার্গে
সত্য নারায়ণের কথা শুনলে কি কেউ স্বর্গের মালিক হতে পারবে? না একে কেউ মন দিয়ে শোনে,
ওতে কোনও লাভ হয়না। সাধু-সন্তরা নিজ-নিজ মন্ত্র দেয়, ফটো দেয়। এখানে ওসব কোনও
ব্যাপার নেই। অন্য কোনও সৎসঙ্গে গেলে বলবে এ অমুক স্বামীর কথা। কিসের কথা?
বেদান্তের কথা, গীতার কথা, ভাগবতের কথা । এখন তোমরা বাচ্চারা জান আমাদের শিক্ষা
প্রদানকারী কোনও দেহধারী নন, না কোনো শাস্ত্র ইত্যাদি পড়েছেন । শিববাবা কোনও
শাস্ত্র পড়েছেন কি? পড়ে মানুষ । শিববাবা বলেন - আমি গীতা ইত্যাদি কিছুই পড়িনি এই রথ
যার মধ্যে বসে আছি, তিনি পড়েছেন, আমি পড়িনি। আমার মধ্যে তো সম্পূর্ণ সৃষ্টি চক্রের
আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান আছে । ব্রহ্মা রোজ গীতা পড়তেন, তোতার মতো কণ্ঠস্থ করে নিতেন,
যখন বাবা প্রবেশ করলেন গীতা ছেড়ে দিলেন, কেননা বুদ্ধিতে এসে গেছে শিববাবা শোনাচ্ছেন
।
বাবা বলেন আমি
তোমাদের স্বর্গের বাদশাহী দিয়ে থাকি সুতরাং এই পুরানো দুনিয়ার প্রতি মমত্ব মেটাও।
শুধুমাত্র মামেকম্ স্মরণ করো । এই পরিশ্রমটুকুই করতে হবে । প্রকৃত প্রেমিকের প্রতি
প্রেমিকার স্মরণ প্রতি মূহূর্তে হয়ে থাকে । এখন বাবার স্মরণও এইরকম স্থায়ী হওয়া
উচিত । পারলৌকিক বাবা বলেন - বাচ্চারা, আমাকে স্মরণ করো আর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে
স্মরণ করো । এর মধ্যে কোনও আওয়াজ করা, শঙ্খ বাজানোর প্রয়োজন নেই । ভালো ভালো গান
তৈরী হলেও তা বাজানো হয়, যার অর্থও তোমাদের বোঝানো হয়ে থাকে । গান রচয়িতা নিজেও কিছু
জানেনা । মীরা ভক্ত ছিল, তোমরা তো জ্ঞানী । বাচ্চাকে দিয়ে যখন কোনো কাজ ঠিকমতো হয়না
তখন বাবা বলেন তুমি তো ঠিক যেন ভক্ত । সেও তখন বুঝে নেয় বাবা এমন কথা কেন আমাকে
বললেন? বাবা বোঝান - বাচ্চারা, এখন বাবাকে স্মরণ করো, পয়গম্বর হও (ঈশ্বর প্রেরিত
দূত), ম্যাসেঞ্জার হও, সবাইকে এটাই প্রচার করো যে, বাবা আর অবিনাশী উত্তরাধিকারের
কথা স্মরণ করলে জন্ম-জন্মান্তরের সমস্ত পাপ ভস্মীভূত হয়ে যাবে ।এখন ঘরে ফিরে যাওয়ার
সময় । ভগবান একজনই নিরাকার, ওনার নিজের শরীর নেই । বাবাই বসে নিজের পরিচয় দিয়ে
থাকেন । মনমনাভব'র মন্ত্র দেন । সাধু সন্ন্যাসীরা এমনটা কখনও বলবে না যে বিনাশ হবে,
সুতরাং বাবাকে স্মরণ করো । বাবা ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের স্মরণ করিয়ে দেন । স্মরণে হেল্থ,
আর ঈশ্বরীয় পড়াশোনায় ওয়েল্থ প্রাপ্ত হবে । তোমরা কালকে জয় করে থাক । সত্যযুগে কখনও
অকালমৃত্যু হয়না। দেবতারা কালের উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে সক্ষম হয়। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
এমন কোনও কর্ম করা উচিত নয় যাতে বাবার দ্বারা ভক্ত টাইটেল প্রাপ্ত হয় । পয়গম্বর হয়ে
সবাইকে বাবা আর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করার প্রচার করতে হবে ।
২ ) এই পুরানো
দুনিয়াতে কোনও শান্তি নেই, এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়াকে ভুলে যেতে হবে । ঘরকে স্মরণ করার
সাথে-সাথে পবিত্র হওয়ার জন্য বাবাকেও স্মরণ করতে হবে।
বরদান:-
প্রবৃত্তিতে থেকেও পর-বৃত্তিতে থাকা নিরন্তর যোগী ভব
নিরন্তর যোগী হওয়ার
সহজ সাধন হলো - প্রবৃত্তিতে থেকেও পর-বৃত্তিতে থাকা। পর-বৃত্তি অর্থাৎ আত্মিক রূপ।
যারা আত্মিক রূপে স্থিত থাকে তারা সদা ডিট্যাচ এবং বাবার প্রিয় হয়ে যায়। তারা যখন
কিছু কাজ করবে তখন অনুভব হবে যেন কাজ করছে না, খেলা করছে। তো প্রবৃত্তিতে থেকে
আত্মিক রূপে থাকলে সবকিছু খেলার মতো সহজ অনুভব হবে। বন্ধন মনে হবে না। কেবল স্নেহ
আর সহযোগের সাথে শক্তির অ্যাডিশন করো তাহলে হাইজাম্প লাগাতে পারবে।
স্লোগান:-
বুদ্ধির সূক্ষ্মতা বা আত্মার হালকা-ভাবই হলো ব্রাহ্মণ জীবনের পার্সোনালিটি।
অব্যক্ত ঈশারা :-
সত্যতা আর সভ্যতারূপী কালচারকে ধারণ করো
সাহসী শক্তিদের সহায়তা
করেন সর্বশক্তিমান। বাঘিনীরা কখনও কাউকে ভয় পায় না, তারা নির্ভয় থাকে। “না জানি কি
হবে” - এটাও হলো ভয় তাই না! সত্যতার শক্তি স্বরূপ হয়ে নেশার সাথে বলো, নেশার সাথে
দেখো। আমরা হলাম অলমাইটি গভর্নমেন্টের অনুচর, এই স্মৃতিতে থেকে অযথার্থকে যথার্থ
করতে হবে। সত্যকে প্রসিদ্ধ করতে হবে, লুকাতে হবে না! কিন্তু সত্যতার সাথে বাণীতে
মধুরতা আর সভ্যতাও হলো আবশ্যক।