27.07.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবার মতো দয়ালু হৃদয়বান ও কল্যাণকারী হও, সে-ই বুদ্ধিমান যে নিজেও পুরুষার্থ করে
আর অন্যদের দিয়েও করায়"
প্রশ্নঃ -
তোমরা বাচ্চারা
নিজের পড়াশোনার দ্বারা কোন্ চেকিং করতে পারো, তোমাদের পুরুষার্থ কি?
উত্তরঃ
পড়াশোনা দ্বারা
তোমরা চেকিং করতে পারো যে আমি উত্তম পার্ট প্লে করছি নাকি মধ্যম বা কনিষ্ঠ। সবচেয়ে
উত্তম পার্ট তাদের বলা হবে যারা অন্যদেরকেও উত্তম বানায় অর্থাৎ সার্ভিস করে
ব্রাহ্মণদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তোমাদের পুরুষার্থ হলো পুরানো জুতো ছেড়ে নতুন জুতো
নেওয়া । আত্মা যখন পবিত্র হয় তখন তার নতুন পবিত্র জুতো (শরীর) প্রাপ্ত হয় ।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা দুই
দিক থেকেই উপার্জন করছে। এক দিকে হলো স্মরণের যাত্রার দ্বারা উপার্জন আর অন্য দিকে
হলো ৮৪ -র চক্রের জ্ঞানের স্মরণ করলে উপার্জন। একেই বলা হয় ডবল আমদানি এবং অজ্ঞান
কালে হয় অল্পকালের ক্ষণভঙ্গুর সিঙ্গল আমদানি। এ হলো তোমাদের এই স্মরণের যাত্রার
আমদানি হলো বিশাল। আয়ুও দীর্ঘ হয়ে যায় আর তোমরা পবিত্রও হয়ে যাও। সকল দুঃখ থেকে
মুক্তি পাও। অনেক বিশাল এই আমদানি । সত্যযুগে আয়ু অনেক দীর্ঘ হয়ে যায়। দুঃখের নাম
নেই, কারণ সেখানে রাবণের রাজ্য নেই। অজ্ঞানকালে পড়াশোনার সুখ থাকে অল্পকালের জন্য
আর দ্বিতীয়তঃ পড়াশোনার সুখ, শাস্ত্র অধ্যয়ণ যারা করে, তারা প্রাপ্ত করে। তাদের
ফলোয়ারদের কিছুই লাভ হয় না। তারা ফলোয়ার্সও নয়। কারণ তারা না পোষাক (গেরুয়া বা সাদা
বস্ত্র) পরিবর্তন করে আর না ঘর সংসার ত্যাগ করে। তাহলে ফলোয়ার্স কিভাবে বলা হবে !
সেখানে (স্বর্গে) তো শান্তি, পবিত্রতা সবই থাকে। এখানে অপবিত্রতার জন্য ঘরে - ঘরে
কত অশান্তি হয়। তোমরা মত প্রাপ্ত করো ঈশ্বরের কাছে। এখন তোমরা নিজের পিতাকে স্মরণ
করো। নিজেকে ঈশ্বরীয় গভর্নমেন্ট নিশ্চয় করো। কিন্তু তোমরা হলে গুপ্ত রূপে। হৃদয়ে
কতখানি খুশী অনুভব হওয়া উচিত। এখন আমরা আছি শ্রীমৎ অনুসারে। তাঁর শক্তিতে সতোপ্রধান
হচ্ছি। এখানে তো কোনও রাজ্য ভাগ্য নেওয়ার নেই। আমাদের রাজ্য ভাগ্য হল নতুন দুনিয়ায়।
এখন তোমরা সেই কথা জানতে পেরেছ। এই লক্ষ্মী নারায়ণের ৮৪-র জন্ম কাহিনী তোমরা বলতে
পারো। সে যেমন মানুষ হোক, যতই পড়াতে সক্ষম হলেও, তবুও একজনও এমন নেই যে বলতে পারবে
যে এসো আমরা লক্ষ্মী নারায়ণের ৮৪ জন্মের কাহিনী শোনাই। তোমাদের বুদ্ধিতে এখন স্মরণ
থাকে, বিচার সাগর মন্থনও কর।
এখন তোমরা হলে জ্ঞান সূর্যবংশী। তারপরে সত্যযুগে বলা হবে বিষ্ণু বংশী। জ্ঞান সূর্য
প্রকট হয়েছেন.....এই সময় তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করছো, তাই না। জ্ঞানের দ্বারাই সদগতি
হয়। অর্ধকল্প জ্ঞান চলে, তার পরের অর্ধকল্প অজ্ঞান হয়ে যায়। এও ড্রামাতে নির্ধারিত
রয়েছে। তোমরা এখন বুদ্ধিমান হয়েছো। যত তোমরা বুদ্ধিমান হও অন্যদেরও নিজের মতন করার
পুরুষার্থ করো। তোমাদের বাবা হলেন দয়ালু, কল্যাণকারী অতএব বাচ্চাদেরও এমন হতে হবে।
বাচ্চারা কল্যাণকারী না হলে তাদের কি বলা হবে? গাওয়াও হয় - " সাহসী বাচ্চাদের ঈশ্বর
পিতার সহায়তা প্রাপ্ত হয় " (হিম্মতে বচ্চে, মদদে বাপ) । এও নিশ্চয়ই চাই। তা নাহলে
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে কিভাবে। সার্ভিস অনুযায়ী তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, তোমরা
হলে ঈশ্বরীয় মিশন, তাইনা। যেমন খ্রীষ্টান মিশন, ইসলামী মিশন হয়, তারা নিজেদের
ধর্মের বৃদ্ধি করে। তোমরা নিজের ব্রাহ্মণ ধর্ম ও দৈবী ধর্মের বৃদ্ধি করো। ড্রামা
অনুসারে তোমরা বাচ্চারা অবশ্যই সহযোগী হবে। কল্প পূর্বে যা পার্ট প্লে করেছিলে সেসব
অবশ্যই প্লে করবে। তোমরা দেখছো প্রত্যেকে নিজের উত্তম, মধ্যম, কনিষ্ঠ পার্ট প্লে
করছে। সবচেয়ে উত্তম পার্ট সে প্লে করে, যে অন্যদের উত্তম বানায়। অতএব সকলকে বাবার
পরিচয় দিতে হবে এবং আদি মধ্য অন্তের রহস্য বোঝাতে হবে। ঋষি-মুনিরা নেতি-নেতি বলে
গেছে। তারপরে বলে দিয়েছে ঈশ্বর সর্বব্যাপী, আর কিছু জানা নেই। ড্রামা অনুসারে
আত্মার বুদ্ধিও তমোপ্রধান হয়। শরীরের বুদ্ধি বলা হবে না। আত্মাতেই মন-বুদ্ধি আছে।
এই কথা ভালো ভাবে বুঝে বাচ্চাদের চিন্তন করতে হবে। তারপরে বোঝাতে হবে। তারা শাস্ত্র
ইত্যাদি শোনাবার জন্য দোকান খুলে বসে আছে। তোমাদেরও এ হলো দোকান। বড় বড় শহরে বড়
দোকান চাই। যে বাচ্চারা তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন হয়, তাদের কাছে অনেক খাজানা থাকে।
এত খাজানা না থাকলে অন্যদের দেবে কিভাবে ! নম্বর অনুযায়ী ধারণা হয় । বাচ্চাদের ভালো
ভাবে ধারণা করা উচিত, যাতে অন্যদের বোঝাতে পারে। বাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধীকার
প্রাপ্ত করা কোনো বিরাট কথা নয়, সেকেন্ডের ব্যাপার । তোমরা আত্মারা বাবার পরিচয়
পেয়েছ সুতরাং তোমরা অসীম জগতের মালিক হয়েছ। মালিকও হয় নম্বর অনুসারে । রাজাও মালিক
তো প্রজাও বলবে আমরাও মালিক। এখানেও সবাই বলে তাইনা আমাদের ভারত। তোমরাও বল শ্রীমৎ
অনুসারে আমরা নিজের স্বর্গ স্থাপন করছি, তারপর স্বর্গেও রাজধানী আছে। অনেক রকমের
লেবেল আছে। পুরুষার্থ করা উচিত উঁচু পদ প্রাপ্তির জন্যে। বাবা বলেন এখন পুরুষার্থ
করে যত উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে এবং তা কল্প-কল্পান্তরের জন্য হবে। পরীক্ষায় কারো
মার্ক্স কম হলে হার্ট ফেল হয়ে যায়। আর এ হলো অসীম জগতের কথা। পুরো পুরুষার্থ না করলে
মন খারাপও হবে, দন্ডও ভোগ করতে হবে। সেই সময় কিবা করতে পারবে। কিছুই না। আত্মা কি
করবে ! তারা তো জীবঘাত করে, ডুবে মরে। এতে ঘাত ইত্যাদির কথা নেই। আত্মাকে কখনও ঘাত
করা যায় না, আত্মা তো অবিনাশী। বাকি শরীরকে ঘাত করা যায়, যার দ্বারা পার্ট প্লে কর।
এখন তোমরা পুরুষার্থ করছো, এই পুরানো জুতো বা পুরানো দেহ ত্যাগ করে আমরা নতুন দৈবী
দেহ প্রাপ্ত করি। এই কথাটিকে বলে? আত্মা। যেমন ছোট বাচ্চারা বলে না যে - আমাদের
নতুন পোশাক দাও। আমরা আত্মা, আমাদেরও নতুন পোশাক (দেহরূপী) চাই। বাবা বলেন তোমাদের
আত্মা নতুন স্বরূপে পরিণত হলে তো নতুন শরীরের প্রয়োজন, তবেই তো শোভনীয় হবে। আত্মা
পবিত্র হলে ৫ তত্ত্বও নতুন হয়ে যায়। ৫ তত্ত্বের দ্বারা-ই শরীর তৈরি হয়। যখন আত্মা
সতোপ্রধান হয় তখন শরীরও সতোপ্রধান প্রাপ্ত হয়। আত্মা তমোপ্রধান তো শরীরও তমোপ্রধান।
এখন দুনিয়ার সকল দেহধারী তমোপ্রধান হয়েছে, দিন দিন দুনিয়া পুরানো হয়ে যাচ্ছে, পতনের
দিকে এগিয়ে চলেছে। নতুন থেকে পুরানো তো সব জিনিসই হয়। পুরানো হয়ে তারপরে ডেস্ট্রয়
হয় (নষ্ট হয়)। এইখানে তো সম্পূর্ণ সৃষ্টির কথা রয়েছে। নতুন দুনিয়াকে সত্যযুগ, পুরানো
দুনিয়াকে কলিযুগ বলা হয়। বাকি এই সঙ্গম যুগের কথা তো কারো জানা নেই। তোমরাই জানো এই
পুরানো দুনিয়া পরিবর্তন হবে।
এখন অসীম জগতের বাবা যিনি হলেন পিতা, শিক্ষক এবং গুরু, তাঁর আদেশ হলো পবিত্র হও।
কাম বিকার হলো মহা শত্রু, সেই বিকারকে জয় করে জগৎজিত হও। জগৎজিত অর্থাৎ বিষ্ণুবংশী
হও। সেই একটাই কথা। এই কথা গুলির অর্থ তোমরা জানো। বাচ্চারা জানে আমাদের যিনি
পড়াচ্ছেন তিনি হলেন বাবা। প্ৰথমে তো এই কথায় পাক্কা নিশ্চয় থাকা চাই। বাচ্চারা বড়
হলে পিতাকে স্মরণ করতে হয়। তারপরে শিক্ষককে, শেষে গুরুকে স্মরণ করতে হয়। ভিন্ন
ভিন্ন সময়ে তিনজনকে স্মরণ করবে। এখানে তো তিনজন একত্রে এক সময়ে তোমাদের কাছে
উপস্থিত হয়েছেন। পিতা, শিক্ষক, গুরু একজন-ই। তারা বাণপ্রস্থের অর্থও বোঝে না।
বাণপ্রস্থে যেতে হবে, তাই তারা ভাবে গুরুর করা উচিত। ৬০ বছর বাদে গুরুর কাছে
দীক্ষিত হয়। এই নিয়ম এখনই ক্রিয়েট হয়েছে। বাবা বলেন - ব্রহ্মার অনেক জন্মের অন্তিম
সময়ে বাণপ্রস্থ অবস্থায় আমি এনার সদগুরু হয়েছি। ব্রহ্মাবাবাও বলেন ৬০ বছর বাদে
সদগুরুর কাছে দীক্ষিত হয়েছি যখন নির্বাণধাম যাওয়ার সময় হয়েছে। বাবা আসেন সবাইকে
নির্বাণধাম নিয়ে যেতে। মুক্তিধামে গিয়ে পার্ট প্লে করতে আসতে হয়। বাণপ্রস্থ অবস্থা
তো অনেকের আছে, তখন তারা গুরু করে। আজকাল তো ছোট বাচ্চাদেরও গুরুর কাছে দীক্ষা দিয়ে
দেওয়া হয়। তাহলেই গুরুর দক্ষিণা প্রাপ্ত হবে। খ্রীষ্টানরা খ্রীষ্টান ধর্মে
পরিবর্তন করানোর জন্য কোলে তুলে দেয়। কিন্তু তারা কেউ নির্বাণ ধামে যায় না। এই সব
রহস্য বাবা বোঝান, ঈশ্বরের অন্ত তো ঈশ্বর নিজেই বলে দেবেন। আরম্ভ থেকে বলে দিয়েছেন।
নিজের অন্তও বলেন এবং সৃষ্টির জ্ঞানও দেন। ঈশ্বর নিজে এসে আদি সনাতন দেবী-দেবতা
অর্থাৎ স্বর্গের স্থাপনা করেন, সেই থেকে এর ভারত নামটি চলে আসছে। গীতায় শুধু
কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দিয়েছে। এও ড্রামা, হার ও জিতের খেলা।
এতে হার কিভাবে হয়, এই কথা বাবা ব্যতীত কেউ বলে দিতে পারে না। লক্ষ্মী-নারায়ণও জানে
না যে আমাদের পুনরায় হার হবে। এই কথা তো শুধু তোমরা ব্রাহ্মণরা জানো। শূদ্ররাও জানে
না। বাবা স্বয়ং এসে তোমাদের ব্রাহ্মণ থেকে দেবতায় পরিণত করেন। "আমি-ই সেই" (হম-সো)
এই কথাটির অর্থ একেবারেই আলাদা। ওম্ শব্দের অর্থ আলাদা। মানুষ তো অর্থ না বুঝে ই বলে
দেয়। এখন তোমরা জানো কিভাবে নীচে নামা হয় তারপরে আবার উপরে ওঠা হয়। এই জ্ঞান এখন
তোমরা বাচ্চারা প্রাপ্ত কর। ড্রামা অনুযায়ী পুনরায় কল্পের শেষে বাবা স্বয়ং এসে বলে
দেবেন। সকল ধর্ম স্থাপকগণ এসে নিজের ধর্ম সময় অনুযায়ী স্থাপন করবেন। নম্বর অনুসারে
পুরুষার্থ অনুযায়ী বলা হবে না। নম্বর অনুসারে সময় অনুযায়ী এসে নিজের-নিজের ধর্ম
স্থাপন করে। এই কথা একমাত্র বাবা-ই বোঝান, আমি কিভাবে ব্রাহ্মণ তারপরে সূর্যবংশী,
চন্দ্রবংশী ডিনানেস্টি স্থাপনা করি? এখন তোমরা হলে জ্ঞান সূর্যবংশী, যারা পরে বিষ্ণু
বংশী হও। খুব সাবধানে শব্দ লিখতে হয়, যাতে কেউ ভুল বের করতে না পারে।
তোমরা জানো যে, জ্ঞানের এই এক একটি মহাবাক্য হলো রত্ন, হীরা। বাচ্চাদের মধ্যে
বোঝানোর দক্ষতা খুব রিফাইন হওয়া উচিত। ভুলবশতঃ কোনো শব্দ মুখ থেকে বেরিয়ে গেলে
তৎক্ষণাৎ ঠিক করে নিয়ে বোঝানো উচিত। সবচেয়ে কঠিন ভুল হলো বাবাকে ভুলে যাওয়া। বাবা
আদেশ করেন মামেকম্ স্মরণ করো। এই কথা ভোলা উচিত নয়। বাবা বলেন তোমরা হলে পুরাতন
প্রেয়সী। তোমরা সবাই প্রেয়সী, তোমাদের সবার একমাত্র প্রিয়তম আছে। তারা তো একে অপরের
চেহারা দেখে প্রেমিক-প্রেমিকা হয়। এখানে তো প্রিয়তম একজন-ই। তিনি হলেন একজন, তিনি
নিজের কয়জন প্রেয়সীদের স্মরণ করবেন। অনেকের পক্ষে একজনকে স্মরণ করা তো সহজ কাজ,
একজন অনেককে কিভাবে স্মরণ করবে ! বাবাকে বলে বাবা আমরা আপনাকে স্মরণ করি। আপনি কি
আমাদের স্মরণ করেন? আরে, স্মরণ তো তোমাদের করতে হবে, পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্যে।
আমি কি পতিত হই, যে স্মরণ করব। তোমাদের কাজ হল স্মরণ করা, কারণ পবিত্র হতে হবে। যে
যত স্মরণ করে এবং ভালো ভাবে সার্ভিস করে, তাদেরই ধারণা হয়। স্মরণের যাত্রা খুব কঠিন,
এতেই যুদ্ধ লেগে থাকে। এমন নয় যে তোমরা ৮৪-র চক্র ভুলে যাবে। তোমাদের কান স্বর্ণ
পাত্র সম হওয়া উচিত। তোমরা যত স্মরণ করবে ততই ভালো রকম ধারণা হবে, এতেই শক্তি থাকবে,
তাই বলা হয় স্মরণের শক্তি চাই। জ্ঞান হল উপার্জন। স্মরণের দ্বারা সর্ব শক্তি
প্রাপ্ত হয় নম্বর অনুসারে। তলোয়ার ইত্যাদিতেও তীক্ষ্ণ শক্তির পার্থক্য থাকে। ওই সব
হল স্থূল কথা। মূল কথা বাবা একটাই বলেন - অল্ফ-কে (আল্লাহ বা ঈশ্বরকে) স্মরণ করো।
দুনিয়ার বিনাশের জন্যে একটি অ্যাটমিক বম্ব থাকবে আর কিছু নয়, তার জন্য না সেনা
বাহিনী চাই, না ক্যাপ্টেন। আজকাল তো এমন তৈরি হয়েছে যে, দূরে বসে বম্ব ফেলবে। তোমরা
এখানে বসে বসে রাজ্য প্রাপ্ত কর, তারা ঐখানে বসে সবার বিনাশ করবে। তোমাদের জ্ঞান ও
যোগ, তাদের মৃত্যুর সামগ্রী দুটোই সমান হয়ে যায়। এও হল খেলা। অভিনেতা তো সবাই, তাইনা।
ভক্তি মার্গ পূর্ণ হয়েছে, বাবা নিজে এসে নিজের এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের পরিচয় দেন।
এখন বাবা বলেন তোমরা ব্যর্থ কথা শুনো না তাই হিয়ার নো ইভিল... এই চিত্র বানানো হয়েছে।
পূর্বে বানরের চিত্র ছিল, এখন মানুষের বানানো হয়, কারণ চেহারা মানুষের হলেও চরিত্র
তো বানরের, তাই সমান তুলনা করা হয়েছে। এখন তোমরা কার সেনা বাহিনী? শিববাবার। বানর
স্বরূপ থেকে মন্দির স্বরূপ করছেন। কোথাকার কথা কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বানর কি সেতু
নির্মাণ করতে পারে? এসব হলো দন্ত কাহিনী (গল্প কথা) । যদি কখনও কেউ জিজ্ঞাসা করে
তোমরা শাস্ত্র ইত্যাদি বিশ্বাস করো? বলো বাঃ ! এমন কে আছে যে শাস্ত্র ইত্যাদি
বিশ্বাস করে না । আমরা তো সবচেয়ে বেশি মানি। তোমরাও এত শাস্ত্র পাঠ করো না যত আমরা
পড়ি। অর্ধকল্প আমরা-ই পড়েছি। স্বর্গে শাস্ত্র, ভক্তি কিছুই থাকে না। বাবা কত সহজ করে
বোঝান। তবুও নিজ সমান গড়ে তুলতে পারে না। সন্তান ইত্যাদির বন্ধন থাকার দরুন বাইরে
বেরোতে পারে না। একেও বলা হবে ড্রামা। বাবা বলেন এক সপ্তাহ ১৫ দিন কোর্স করে নিজ সম
পরিবর্তন করার কাজে নেমে পড়া উচিত । বড় বড় শহরে, রাজধানী ইত্যাদি স্থানে অনেক বড়
বড় সেবা করা উচিত, তাহলে সংবাদপত্রেও বের হবে। বড় বড় ব্যক্তি নাহলে কারো আওয়াজ
শুনবে না। একজোট হয়ে অনেক বড় সেবা করো, তাহলে অনেকে এগিয়ে আসবে। বাবার ডাইরেকশন তো
পেয়েছো তাইনা ! আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
জ্ঞান এবং যোগের দ্বারা নিজের বুদ্ধিকে রিফাইন বানাতে হবে। বাবাকে ভুলে যাওয়ার ভুল
কখনও করবে না। প্রেয়সী রূপে প্রিয়তমকে স্মরণ করতে হবে।
২) বন্ধন মুক্ত হয়ে
নিজ সম বানানোর সেবা করতে হবে। উচ্চ পদের প্রাপ্তির জন্য পুরুষার্থ করতে হবে।
পুরুষার্থের বিষয়ে কখনও হতাশ হবে না।
বরদান:-
এক
মিনিটের একাগ্র স্থিতির দ্বারা শক্তিশালী অনুভব করা এবং অন্যদেরকে করানো একান্তবাসী
ভব
একান্তবাসী হওয়া অর্থাৎ
যেকোনও একটি শক্তিশালী স্থিতিতে স্থিত হওয়া। বীজরূপ স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও বা লাইট
মাইট হাউসের স্থিতিতে স্থিত হয়ে বিশ্বকে লাইট মাইট দাও অথবা ফরিস্তাভাবের স্থিতির
দ্বারা অন্যদেরকে অব্যক্ত স্থিতির অনুভব করাও। এক সেকেন্ড বা এক মিনিটও যদি এই
স্থিতিতে একাগ্র হয়ে স্থিত হয়ে যাও তো নিজের এবং অন্য আত্মাদের অনেক উপকারে আসবে।
কেবল এর প্র্যাক্টিস চাই।
স্লোগান:-
ব্রহ্মাচারী হল সে যার প্রতিটি সংকল্প, প্রতিটি শব্দে পবিত্রতার ভাইব্রেশন সমাহিত
হয়ে আছে।