27-10-2024 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 08-10-2002 মধুবন


"আত্মিক ভালোবাসার মূর্তি হয়ে একসাথে শিক্ষা আর সহযোগ দাও" (মধুবন নিবাসী ভাই বোনেদের সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকার)


আজ ভালোবাসার সাগর বাপদাদা তাঁর মাস্টার জ্ঞান সাগর বাচ্চাদের সাথে মিলন উদযাপন করছেন। পরমাত্ম এই ভালবাসা বাচ্চাদের পালনার আধার। যেমন, পরমাত্ম ভালবাসা ব্রাহ্মণ জীবনের আধার, ঠিক তেমনই ব্রাহ্মণ সংগঠনের আধার আত্মিক ভালবাসা। যে আত্মিক ভালবাসা তোমরা বাচ্চারাই অনুভব করতে পারো। আজকের এই বিশ্বের আত্মারা পরমাত্মার এই প্রকৃত, নিঃস্বার্থ, আত্মিক ভালবাসার পিয়াসী। এমন প্রকৃত ভালবাসা তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারা ব্যতীত কারও প্রাপ্ত হতে পারে না। পিপাসু আত্মাদের পিপাসা পূরণকারী নিজেকে সবসময় পরমাত্ম ভালবাসা বা আত্মিক ভালবাসায় সমাহিত হওয়ার অনুভব করো? ভালবাসার দাতা ও দেবতা হয়ে থাকো সদা? চলতে ফিরতে আত্মিক ভালবাসার বৃত্তি, দৃষ্টি, বোল, সম্বন্ধ-সম্পর্ক অর্থাৎ কর্মে অনুভব করো? যেমনই আত্মা হোক কিন্তু তোমরা ব্রাহ্মণের ন্যাচারাল বৃত্তি, ব্রাহ্মণ নেচার তৈরি হয়ে গেছে? তৈরি করতে হয় নাকি তৈরি হয়ে গেছে? ফলো ফাদার, ফলো মাদার। নিজের ব্রাহ্মণ জন্মের আদি সময় স্মরণ করো। বিভিন্ন নেচারের আত্মারা বাবার হয়েছে। ভালবাসার সাগর বাবা তাঁর ভালবাসার সাগরের একই স্বরূপের অনাদি নেচারের দ্বারা তোমাদের নিজের বানিয়ে নিয়েছেন তো না! যদি তোমাদের সকলের ভিন্ন ভিন্ন নেচার দেখতেন তাহলে কী নিজের বানাতে পারতেন! সুতরাং নিজেকে জিজ্ঞাসা করো, আমার ন্যাচারাল নেচার কী? যে কোনও কারওর নেচার দুর্বল; বাস্তবে, ব্রাহ্মণ জীবনের ন্যাচারাল নেচার মাস্টার প্রেমের সাগর। যখন দুনিয়ার লোকেও বলে যে ভালবাসা পাথরকেও জল করতে পারে, তো আত্মিক ভালবাসা, পরমাত্ম ভালবাসা নিয়ে যারা অন্যকে দেয়, তারা ভিন্ন ভিন্ন নেচারকে পরিবর্তন করতে পারবে না? করতে পারে নাকি না? পিছনের তোমরা বলো। যারা মনে করো যে করতে পারো তারা এক হাত উঠাও। বড় করে হাত তোলো, ছোট নয়। (সবাই হাত তুলেছে) আচ্ছা অভিনন্দন। তবুও সারকমস্ট্যান্স আসে। সারকমস্ট্যান্স তো আসতেই হবে। এটা তো ব্রাহ্মণ জীবনের রাস্তার সাইড সিনস্। আর সাইড সিন কখনো একরকম হয় না। কিছু সুন্দরও হয়, কিছু অপ্রিয় বিষয়েরও হয়। কিন্তু ভালবাসা পথিকের কাজ, না কী সাইড সিন বদলানোর ব্যাপার! তো বাপদাদা কী চান? এটা জানায় সবাই বুদ্ধিমান হয়ে গেছ, তাই না!

আজ মধুবন নিবাসীদের বিশেষ চান্স প্রাপ্ত হয়েছে। গোল্ডেন চান্স, তাই তো না! আচ্ছা। এই গোল্ডেন চান্সের রিটার্ন কী? বড়ই উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে চান্স নিয়েছে। বাস্তবে, যারা নিচে বসে আছে তারাও মধুবন নিবাসী। (মধুবন নিবাসী ভাই বোনেদের সাথে অন্য সবাই পান্ডব ভবনে মুরলী শুনছে) কিন্তু আজ বাবা মিলনের চান্স শুধু গ্রুপ গ্রুপ করে। যখন তোমরা একসাথে একত্রিত হও তোমাদের দূরে দূরে দেখায়। সেইজন্য ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। কার্যত, তোমরা সবাই মধুবন নিবাসী। যারা সেন্টারে থাকো তাদের পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস মধুবনই তো না! সুতরাং ব্রাহ্মণ অর্থাৎ পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস মধুবন। ঘর মধুবন, বাকি সব সেবা স্থান। সুতরাং যারা নিচে রয়েছো তারা এমন মনে ক'রো না যে, আজ আমাদের মধুবন নিবাসীদের থেকে বের করে দিয়েছে। না, তোমরা সবাই মধুবন নিবাসী। বাপদাদা শুধু তোমাদের সামনে দেখতে চান। তো ছোট গ্রুপের মধ্যে তিনি তোমাদের দেখতে পারেন। এখন দেখ, পিছনে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদেরকেও এত স্পষ্টভাবে দেখা যায় না, এরা যারা কাছে রয়েছে তাদের স্পষ্ট দেখা যায়। যেমনই হোক, যারা পিছনে তারা হৃদয় থেকে দূরে নয়। তো বাপদাদা এটাই চান যে বর্তমান সময় অনুসারে লাভ আর ল' এর ব্যালেন্স রাখতে হবে, কিন্তু ল' আর লাভ এর ব্যালেন্স মিলে যেন শুধু ল' না মনে হয়। ল' এর মধ্যেও যেন লাভ উপলব্ধি হয়। যেমন সাকার স্বরূপে বাবাকে দেখেছ। ল' এর সাথে এত লাভ দিয়েছেন যার জন্য প্রত্যেকের মুখ থেকে এটাই বের হয় যে বাবা আমাকে ভালোবাসেন। তিনি আমার বাবা। ল' অবশ্যই গ্রহণ করো, কিন্তু ল' এর সাথে লাভও দাও। শুধু ল' নয়। শুধু ল' দ্বারা কোথাও কোথাও আত্মারা হীনবল হওয়ার কারণে হতাশ হয়ে যায়। যখন তুমি নিজে আত্মিক ভালোবাসার মূর্তি হবে তখন অন্যের ভালোবাসার, (আত্মিক ভালোবাসা, অন্য ভালবাসা নয়) আত্মিক ভালোবাসা অর্থাৎ তাদের সব সমস্যার সমাধান করতে সহযোগী হওয়া। শুধু শিক্ষা দেওয়া নয়, শিক্ষা আর সহযোগ একসাথে দেওয়া - এটা হলো আত্মিক ভালোবাসার মূর্তি হওয়া। তো আজ বাপদাদা বিশেষভাবে সব ব্রাহ্মণ আত্মাকে, হয় তারা দেশের অথবা বিদেশের, চতুর্দিকের সব বাচ্চাকে এটা বিশেষভাবে আন্ডারলাইন করান - আত্মিক ভালোবাসার মূর্তি হও। অন্য আত্মাদের আত্মিক ভালোবাসার পিপাসা মেটাতে দাতা-দেবতা হও। ঠিক আছে তো না! আচ্ছা।

(পরে বাপদাদা মধুবন নিবাসীদের সাথে চিটচ্যাট করেছেন তথা নজর দ্বারা সবাইকে সর্বতোভাবে তৃপ্ত করতে করতে দৃষ্টি দিয়েছেন)।

হসপিটাল, আবু নিবাসী তথা পার্টিদের সাথে অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎকার -

সবাই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করো? সারা বিশ্বে সবচেয়ে বড়'র থেকে বড় ভাগ্য কার? প্রত্যেকে কি মনে করো যে সবচেয়ে বড় হতে বড় ভাগ্য আমার! প্রত্যেকে এমন মনে করো? যখন তোমরা সৌভাগ্যবান তাহলে খুশি থাকো? সদা খুশি থাকো? কখনো কখনো নয় তো না! যখন বাপদাদা ভাগ্যের নক্ষত্র উদ্ভাসিত করে দিয়েছেন তখন দীপ্তিমান নক্ষত্রকে দেখে খুশি থাকো? হৃদয়ে সদা খুশির বাজনা বাজে। নিরন্তর বাজে? হৃদয় কোন গীত গায়? "বাঃ আমার শ্রেষ্ঠ ভাগ্য" - এই গীত গাও তোমরা? সারা কল্প তোমাদের ভাগ্যের গায়ন হতে থাকে। অর্ধেক কল্প ভাগ্যের প্রালব্ধ ভোগ করো আর অর্ধেক কল্প তোমাদের ভাগ্যের গায়ন অনেক আত্মা গাইতে থাকে। সবথেকে বিশেষ ব্যাপার হলো এই যে সারা বিশ্বে বাবার পছন্দে কে এসেছে? পছন্দতে তোমরা এসেছো তো না! কত আত্মা আছে! কিন্তু তোমরাই পছন্দ হয়েছো। যাদের ভগবান পছন্দ করে নিয়েছেন, এর থেকে বেশি কী হবে! সুতরাং সদা বাবার সাথে নিজের ভাগ্যও স্মরণে রাখো। ভগবান আর ভাগ্য। সারা কল্পে এমন আত্মা কেউ আছে যার প্রতিদিন স্মরণ-স্নেহ প্রাপ্ত হয়, প্রভু-প্রেম প্রাপ্ত হয়! রোজ স্মরণ-স্নেহ প্রাপ্ত হয় তো না! সর্বাপেক্ষা বেশি প্রিয় কে? তোমরাই প্রিয়, তাই না! তো সদা নিজের ভাগ্যকে স্মরণ করায় ব্যর্থ পালিয়ে যাবে। তাড়াতে হবে না, সহজেই পালিয়ে যাবে।

এখন বর্তমান সময় অনুসারে সঙ্গম যুগের সময়ের মহত্ত্ব বুঝে প্রতি সেকেন্ড নিজের প্রালব্ধ শ্রেষ্ঠ বানাতে থাকো। এক সেকেন্ডও যেন ব্যর্থ না যায়, একেক সেকেন্ডের মহত্ত্ব অনেক বড়। সেকেন্ড যায় না কিন্তু অনেক সময় চলে যায় এবং এই সময় আর পাওয়া যাবে না। স্পষ্ট রূপে সময়ের পরিচয় আছে তো না! স্মৃতিতে থাকে? দেখ, আজ তোমরা সবাই স্পেশ্যাল টাইম পেয়েছ, পেয়েছ না! যদি তোমরা একত্রে আসতে তাহলে দেখাও যেতো না। এখন তো দেখা যাচ্ছে কে কে আছে। তোমরা সবাই বিশেষ আত্মা। শুধু নিজের বিশেষত্ব জেনে বিশেষত্বকে কার্যে প্রয়োগ করো। ড্রামা অনুসারে প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মার কোনো না কোনো বিশেষত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। এমন কেউ নেই যার মধ্যে কোনো বিশেষত্ব নেই। তো নিজের বিশেষত্বকে সদা স্মৃতিতে বজায় রাখো এবং তাকে সেবাতে লাগাও। প্রত্যেকের বিশেষত্ব, উড়তি কলার অতি তীব্র বিধি হয়ে যাবে। সেবাতে নিয়োজিত করো, অভিমানে এসো না কারণ ড্রামা অনুসারে সঙ্গমে সব বিশেষত্ব হলো পরমাত্ম দান। পরমাত্ম দানে অভিমান আসবে না। যেমন প্রসাদ হয়, প্রসাদকে কেউ নিজের বলবে না যে আমার প্রসাদ, প্রভু-প্রসাদ। এই বিশেষত্বও হলো প্রভু প্রসাদ। প্রসাদ শুধু নিজের জন্য ইউজ করা হয় না, বিতরণ করা হয়। বিতরণ করো, তোমরা মহাদানী, বরদানীও। পান্ডবও বরদানী, মহাদানী, শক্তিরাও মহাদানী? দু'-এক ঘণ্টার মহাদানী নয়, খোলা ভান্ডার, তাই তো না! সেইজন্য বাবাকে ভোলা ভান্ডারী বলা হয়, খোলা ভান্ডার রয়েছে তো না! আত্মাদের নিরন্তর ফোঁটায় ফোঁটায় দিতে থাকো, কত বড় লাইন ভিখারীদের! আর তোমাদের কাছে পরিপূর্ণ কত ভান্ডার! অখন্ড ভান্ডার, খুঁটে নেওয়ার কেউ আছে কি? বিতরণে ইকনমি করো না তো? এটা দরাজ হৃদয় থেকে বিতরণ করো। ব্যর্থ নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে ইকনমি করো কিন্তু বিতরণ করায় উন্মুক্ত হৃদয়ে বিতরণ করো।

সবাই খুশি তোমরা? কখনো কখনো অল্প অল্প খুশি থাকে। কখনো মুড অফ, কখনো মুড খুব খুশি এমন নয় তো না! ফলো ফাদার, বাপদাদা কি মুড অফ করেন? সুতরাং, ফলো ফাদার করছ, তাই না! স্পেশাল ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের জন্য বাপদাদার কাছে টি. ভি. আছে, তার মধ্যে সবার ভিন্ন ভিন্ন মুড উপস্থিত হয়। এটা দেখতে কত মজাদার হবে! যারা সদা মহাদানী হয় তাদের মুড কখনো বদলায় না। তোমরা দাতা তো না! নিরন্তর দিয়ে যাও। দেবতা হওয়া মানে যে দেয়। গ্রহীতা নয়, দেবতা। কত বার দেবতা হয়েছ, অনেকবার হয়েছো তো না! তো দেবতা অর্থাৎ যাদের দেওয়ার সংস্কার আছে। যে যাই দিক না কেন, কিন্তু তোমরা সুখের ধারা, শান্তির ধারা, প্রেমের ধারা দাও। লোকের কাছে আছেই শুধু দুঃখ, অশান্তি, সুতরাং কী দেবে, তারা সেটাই দেবে তো না! আর তোমাদের কাছে কী আছে - সুখ শান্তি। সব ঠিক আছে না! আচ্ছা! মিলন উদযাপন করেছো, এইরকম তো মনে করো না, আমি তো শেষে এসেছি! স্পেশাল এসেছো! তোমরা মধুবনের কাছে থাকছো। মধুবনের ঘেরাও তো ভালোই করেছো।

হসপিটালের ওরাও ভালই সেবা করছে। শান্তিবনেরও অনেক আছে। যারা পার্টির তারা হরানিধি। তোমরা অল্পসংখ্যক সেইজন্য তোমরা হারানিধি। ফরেনারদের ছাড়া শোভাও নেই, সেইজন্য প্রতি গ্রুপের নিজস্ব শোভা বাড়াতে তোমরা এসে যাও। আচ্ছা।

সেবাধারীদের সাথে অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎকার

সেবার নিমিত্ত সবাই নিজের ভাগ্য বানাও তোমরা, কেননা, এই যজ্ঞ সেবার পুণ্য অনেক বড়। তন দ্বারা তো তোমরা সেবা করো কিন্তু মন দ্বারাও যদি সেবা করতে থাকো, তাহলে ডবল পুণ্য হয়ে যায়। মন্সা সেবা আর তনের। যারাই আসে তারা সেবাধারীরা যা সেবা করছে, বায়ুমন্ডলে তার প্রতিফলন দেখে নিজের লাভ নিয়ে যায়। সুতরাং সেবার সময় সংখ্যায় তোমরা যত আসো, পুণ্য আর শুভাশিস সেই আত্মাদের জন্য জমা হয়ে যায়। এভাবে নিরন্তর সেবা করো, তন দ্বারাও এবং মন দ্বারাও। তোমরা ডবল সেবাধারী নাকি সিঙ্গল? কে তোমরা? ডবল। ডবল করো তোমরা? সেবার প্রত্যক্ষফলও প্রাপ্ত হতে থাকে। যতটা সময় তোমরা এখানে থাকো, এক্সট্রা খুশি লাভ হয়, হয় না! তো প্রত্যক্ষ ফলও খাও, আশীর্বাদও জমা হয়, তোমাদের ভবিষ্যতও তৈরি হয় আর বর্তমানও তৈরি। বাপদাদাও খুশি হন যে বাচ্চারা নিজেদের খুব সহজভাবে প্রালব্ধ শ্রেষ্ঠ বানাচ্ছে। শুধু সেবা, সেবা আর সেবা। অন্য কোনও ব্যাপারে যেও না। সেবা অর্থাৎ জমা করা। যতটা সময় পাচ্ছো ডবল ইনকাম করো। প্রত্যক্ষ ফলও, ভবিষ্যৎও। সেবার চান্সও তোমরা সব আত্মার প্রাপ্ত হয়েছে। সেবাধারীদের জন্য বাপদাদার বিশেষ ভালোবাসা থাকে, কেননা বাপদাদাও বিশ্ব সেবক। তো বাপদাদার সাথে তোমরা সমান হয়ে গেছো, তাই না! মনকে বিজি রাখো নাকি খালি রাখো? মধুবন অর্থাৎ স্মরণ আর সেবা। ঘুরতে-ফিরতে মন যেন স্মরণে কিংবা সেবাতে বিজি থাকে। সবাই খুশি থাকো? কখনো কখনোর তো নও না? তোমরা তারা, যারা সদা খুশিতে থাকে। তোমাদের খুশিকে দেখে অন্যেরাও খুশি হয়ে যায়। সেবাধারীদেরও টার্ন প্রাপ্ত হয়েছে, খুশি তো না! বিশেষ টার্ন প্রাপ্ত হয়েছে, হয়েছে না? মধুবন নিবাসীদের নিমিত্ত তোমরাও গোল্ডেন চান্স পেয়েছো। স্বয়ং সদা স্বমানে থেকে উড়তে থাকো। স্বমান কখনো ছেড়ো না, হতে পারে ঝাঁট দিচ্ছো, কিন্তু তোমাদের স্বমান কী? বিশ্বের সর্ব আত্মার মধ্যে আমি শ্রেষ্ঠ আত্মা। তো নিজের আধ্যাত্মিক স্বমান কোনও কাজ করতে গিয়ে ভোলা উচিত নয়। নেশা থাকে তো না, অধ্যাত্ম নেশা। আমি কা'র হয়েছি! ভাগ্য স্মরণে থাকে, থাকে তো না? ভুলে যাও না তো? যতটা সময় সেবার জন্য পাও সেই সময়টুকুর এক এক সেকেন্ড সফল করো। ব্যর্থ যেন না যায়, সাধারণও নয়। অধ্যাত্ম নেশায়, অধ্যাত্ম প্রাপ্তিতে যেন সময় অতিবাহিত হয়। এমন লক্ষ্য রাখো তো না! আচ্ছা, ওম্ শান্তি।

বরদান:-
স্নেহের উড়ান দ্বারা সমীপ হওয়ার অনুভব করে স্নেহীমূর্ত ভব

সব বাচ্চার মধ্যে স্নেহ সমাহিত হয়ে আছে, স্নেহের শক্তির দ্বারা সবাই সামনে উড়ে চলেছে। স্নেহের উড়ান তন বা মন থেকে, হৃদয় থেকে বাবার সমীপে নিয়ে আসে। যদি বা, জ্ঞান যোগ ধারণায় সবাই যথাশক্তি নম্বরক্রমে আছে, কিন্তু স্নেহে সবাই নম্বর ওয়ান। এই স্নেহই ব্রাহ্মণ জীবন প্রদান করার মূল আধার। স্নেহের অর্থ পাশে থাকা, পাশ হওয়া এবং প্রতিটা পরিস্থিতিতে খুব সহজে পাশ করা।

স্লোগান:-
নিজের নজরে বাবাকে সমাহিত করে নাও, তবে মায়ার নজর থেকে বেঁচে যাবে।