29.07.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা এসেছেন তোমাদের জ্ঞান রত্ন দান করতে, মুরলী শোনাতে, তাই তোমরা কখনো মুরলী মিস
কোরো না, মুরলীর প্রতি ভালোবাসা না থাকলে বাবার প্রতি ভালোবাসা থাকবে না"
প্রশ্নঃ -
সব থেকে ভালো
ক্যারেক্টার কেমন হবে, যা তোমরা এই জ্ঞানের দ্বারা ধারণ করো?
উত্তরঃ
ভাইসলেস (নির্বিকারী)
হওয়াই হলো সবথেকে ভালো ক্যারেক্টার । তোমরা এই জ্ঞান পেয়েছো যে, এই সম্পূর্ণ
দুনিয়াই হলো ভিশস (বিকারী), ভিশস অর্থাৎ ক্যারেক্টারলেস। বাবা এসেছেন ভাইসলেস দুনিয়া
স্থাপন করতে । ভাইসলেস দেবতারাই হলেন ক্যারেক্টারযুক্ত (চরিত্রবান) । তাঁরা বাবার
স্মরণেই ক্যারেক্টারের পরিবর্তন করে ।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা,
তোমরা কখনোই এই ঈশ্বরীয় পড়া মিস কোরো না । এই পড়া যদি মিস করো তাহলে পদও মিস হয়ে
যাবে । মিষ্টি - মিষ্টি রুহানী বাচ্চারা কোথায় বাসে আছে? গডলী স্পিরীচুয়্যাল
ইউনিভার্সিটিতে । বাচ্চারা এ কথাও জানে যে, প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর আমরা এই
ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই । তোমরা এ কথাও জানো যে -- বাবা যেমন বাবাও, তেমনই টিচারও
এবং গুরুও । এমনিতে গুরুর মূর্তি আলাদা, বাবার আলাদা আবার শিক্ষকেরও আলাদা হয় । এই
মূর্তি কিন্তু একই কিন্তু তা হয় তিনই, অর্থাৎ বাবাও হন, তিনিই শিক্ষক হন আবার
তিনিই গুরু হন । মানুষের জীবনে এই তিনজনই হলেন প্রধান । বাবা, শিক্ষক এবং গুরু
তিনিই । এই তিন পার্ট প্লে তিনি একাই করেন । এই এক একটি কথা বুঝতে পারলে বাচ্চারা,
তোমাদের খুব খুশী হওয়া উচিত আর এই ত্রিমূর্তি ইউনিভার্সিটিতে অনেককে এনে ভর্তি করা
উচিত । যে যে ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা ভালো হয়, তো সেখানে যারা পড়ে তারা অন্যদেরও
বলে -- এই ইউনিভার্সিটিতে পড়ো, এখানে খুব ভালো জ্ঞান পাওয়া যায়, ক্যারেক্টারেরও
পরিবর্তন হয়ে যায় । বাচ্চারা, তোমাদেরও অন্যদের নিয়ে আসতে হবে । মাতারা মায়েদের এবং
পুরুষ, পুরুষদের বোঝাবে । দেখো, ইনি একাধারে বাবা, টিচার এমনকি গুরুও । এমন মনে
করেও, নাকি না, তা প্রত্যেকেই নিজের মনকে জিজ্ঞেস করো । কখনো কি নিজের আত্মীয়
পরিজনজন - সাথীদের বোঝাও কি যে, ইনি হলেন সুপ্রীম বাবা, সুপ্রীম শিক্ষক আবার
সুপ্রীম গুরুও? বাবা সুপ্রীম দেবী - দেবতা বানান, বাবা তাঁর নিজের মতো বাবা তৈরী
করেন না । বাকি তাঁর যা মহিমা, তিনি তেমনই তৈরী করেন । বাবার কাজ হলো লালন পালন করা,
ভালোবাসা । এমন বাবাকে অবশ্যই স্মরণ করতে হবে । তাঁর মতো আর কেউই হতে পারবে না ।
যদিও বলা হয়, গুরুর থেকে শান্তি পাওয়া যায় কিন্তু ইনি তো বিশ্বের মালিক বানান । তবে
এমনও কেউ বলবে না যে, আমি সমস্ত আত্মাদের বাবা । এ'কথা কেউই জানে না যে, সমস্ত
আত্মাদের বাবা কে হতে পারেন? এক অসীম জগতের বাবা, যাকে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান
ইত্যাদি সবাই অবশ্য গড ফাদারই বলে । তাদের বুদ্ধি অবশ্যই নিরাকারের দিকে চলে যায় ।
এ কথা কে বলেছে? আত্মাই বলে গড ফাদার । তাই অবশ্যই সেই গড ফাদারের সাথেই মিলিত হওয়া
উচিত । কেবল ফাদার বললো আর কখনোই মিলিত হল না, তাহলে তিনি কিভাবে বাবা হতে পারেন?
তিনি সম্পূর্ণ দুনিয়ার বাচ্চাদের অাশা পূর্ণ করেন । সকলেরই এই কামনা থাকে যে, আমরা
শান্তিধামে যাবো । আত্মার তার ঘরের কথা মনে পড়ে । আত্মা এই রাবণ রাজ্যে পরিশ্রান্ত
হয়ে গেছে । ইংরাজীতেও বলা হয়, ও গড ফাদার, লিবারেট (উদ্ধার) করো । আত্মা তমোপ্রধান
হতে হতে পার্ট প্লে করতে করতে শান্তিধামে চলে যাবে । তারপর প্রথমে সুখধামে আসে ।
এমন নয় যে প্রথমে এসেই ভিশস হয়ে যায় । তা নয় । বাবা বোঝান যে, এ হলো বেশ্যালয়,
রাবণ রাজ্য । একে ঘোর নরক বলা হয় ।
ভারতে বা এই দুনিয়ায় কতো শাস্ত্র, কতো পড়ার পুস্তক রয়েছে, সে সবই ধংস হয়ে যাবে ।
বাবা তোমাদের যে সওগাত দেন, তা কখনোই পুড়ে নষ্ট হওয়ার নয় । এ হলো ধারণ করার । যে
জিনিস কাজের নয় তাকে জ্বালানো হয় । জ্ঞান কোনো শাস্ত্র নয় যা জ্বালানো হবে ।
তোমরা জ্ঞান পাও, যাতে তোমাদের ২১ জন্মের জন্য পদপ্রাপ্তি হয় । এমন নয় যে, এটা
এনার শাস্ত্র তাই জ্বালিয়ে দেওয়া হবে । তা নয়, এই জ্ঞান নিজে থেকেই লোপ হয়ে যায়
। এ কোনো পড়ার বই নয় । জ্ঞান - বিজ্ঞান ভবন নামও আছে কিন্তু ওরা জানেই না যে, এই
নাম কেন দেওয়া হয়েছে, এর অর্থ কি? জ্ঞান - বিজ্ঞানের গুরুত্ব কতো বেশী । জ্ঞান অর্থাৎ
সৃষ্টিচক্রের জ্ঞান, যা তোমরা এখন ধারণ করো । বিজ্ঞানের অর্থ শান্তিধাম । এই
জ্ঞানের মধ্যে দিয়েই তোমরা যাও । এই জ্ঞানের পড়ার আধারে তোমরা আবারও রাজত্ব করো ।
তোমরা বুঝতে পারো, আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বাবা এসে পড়ান । না হলে ভগবানুবাচঃ কথাটি
হারিয়ে যেত । ভগবান কোনো শাস্ত্র পড়ে কখনোই আসেন না । ভগবানের মধ্যে তো জ্ঞান -
বিজ্ঞান দুইই আছে । যিনি যেমন, তিনি তেমনই বানান । এ হলো অনেক সূক্ষ্ম কথা ।
জ্ঞানের থেকে বিজ্ঞান অনেক সূক্ষ্ম । তোমাদের জ্ঞানের ঊর্ধ্বে যেতে হবে । জ্ঞান হলো
স্থূল, আমি পড়াই, আওয়াজ হয় । বিজ্ঞান হলো সূক্ষ্ম, এতে আওয়াজের ঊর্ধ্বে শান্তিতে
যেতে হবে । যে শান্তি পাওয়ার জন্য মানুষ কত উদ্ভ্রান্ত হয় । তারা সন্ন্যাসীদের
কাছে যায় কিন্তু যে জিনিস বাবার কাছে আছে তা দ্বিতীয় আর কারোর থেকে মেলা সম্ভব নয়
। মানুষ হঠযোগ করে, গর্তের মধ্যে বসে যায় কিন্তু এতে কোনো শান্তিই পাওয়া সম্ভব নয়,
এখানে তো পরিশ্রমের কোনো কথাই নেই । এই ঈশ্বরীয় পড়াও খুবই সহজ । সাতদিনের কোর্স
করানো হয় । সাতদিনের কোর্স করে যদিও বা বাইরে চলে যায়, অন্য কোনো কলেজে এমন সম্ভব
নয় । তোমাদের জন্য এই কোর্স হলোই সাতদিনের । সমস্ত কিছুই এখানে বোঝানো হয় কিন্তু
এই সাতদিন কেউ দিতে পারে না । বুদ্ধিযোগ কোথায় না কোথায় চলে যায় । তোমরা তো
ভাট্টিতে ছিলে, কারোর মুখই দেখতে না, কারোর সঙ্গেই কথা বলতে না । বাইরেও বের হতে না
। তপস্যার জন্য সাগরের তীরে গিয়ে বাবার স্মরণে বসতে । ওইসময় এই চক্রকে তোমরা বোঝোনি
। এই ঈশ্বরীয় পড়াও বুঝতে না । প্রথমে তো বাবার সঙ্গে যোগের প্রয়োজন । বাবার পরিচয়
জানা দরকার । তারপরে শিক্ষকের প্রয়োজন । প্রথমে তো বাবার সঙ্গে কিভাবে যোগযুক্ত হবে,
এও শিখতে হবে, কেননা এই বাবা হলেন অশরীরী, অন্যরা তো কেউই মানে না । তারা বলে দেয়,
গড ফাদার হলেন সর্বব্যাপী । এই সর্বব্যাপীর জ্ঞানই চলে আসছে । এখন তোমাদের বুদ্ধিতে
এইসব কথা নেই । তোমরা তো স্টুডেন্ট । বাবা বলেন, তোমরা কাজ - কারবার অবশ্যই করো,
গৃহস্থ জীবনে থাকো কিন্তু ক্লাসের পড়া অবশ্যই পড়ো । যদি বলে স্কুলে যাবো না, তাহলে
বাবাও কি করবেন ! আরে, ভগবান তোমাদের ভগবান - ভগবতী বানানোর জন্যই পড়ান । ভগবানুবাচঃ
- আমি তোমাদের রাজার রাজা তৈরী করি । তাহলে তোমরা ভগবানের থেকে রাজযোগ শিখবে না কি?
কে এমন হতে চাইবে না? তাই তোমরা বিষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে
আসো । তোমরা এসে ভাট্টিতে যোগ দাও, যেখানে কেউই তোমাদের দেখতে পায় না, মিলতেও পারে
না । তোমরাও কাউকে দেখতে পাও না । তাহলে কার প্রতি মন লাগাবে । বাচ্চারা নিশ্চিত যে
ভগবান আমাদের পড়ান । তবুও কেউ বাহানা করে যে, অসুখ হয়েছে বা আমাদের এই কাজ আছে ।
বাবা তো অনেক সিফ্টই দিতে পারেন । আজকাল স্কুলেও অনেক সিফ্ট দেওয়া হয় । এখানে তো
খুব বেশী পড়া নেই । কেবল অল্ফ (আল্লা ) আর বে (বাদশাহী ) কে বোঝার জন্য সুন্দর
বুদ্ধির প্রয়োজন । অল্ফ (আল্লা ) বে (বাদশাহী ) কে স্মরণ করো আর সবাইকে বলো ।
ত্রিমূর্তির কথা তো অনেকই বলে কিন্তু ওপরে শিববাবাকে দেখায় না । এরা বোঝেই না যে,
গীতার ভগবান শিব, যাঁর দ্বারা এই জ্ঞান ধারণ করে বিষ্ণু তৈরী হয় । এ তো হলো রাজযোগ,
তাই না । এখন এ হলো অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম, এ কতো সহজ বোঝার মতো কথা । বই ইত্যাদি
তো কিছুই হাতে নেই । কেবল একটি ব্যাজ আছে আর তাতে ত্রিমূর্তির চিত্র আছে । যা দেখিয়ে
বোঝাতে হবে যে, বাবা কিভাবে ব্রহ্মার দ্বারা এই ঈশ্বরীয় পড়া পড়িয়ে বিষ্ণুর সমান
বানান । কেউ কেউ মনে করে, আমরা রাধার মতো হবো । কলস তো মায়েরাই পান । রাধার অনেক
জন্মের অন্তে তিনি কলস পান । এই রহস্য একমাত্র বাবাই বোঝাতে পারেন, অন্য কোনো
মানুষই তা জানে না । সেন্টারে তোমাদের কাছে অনেকেই আসে । কেউ তো একদিন আসে আবার
চারদিন আসে না । তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত, এতদিন তোমরা কি করছিলে? বাবাকে স্মরণ করতে
কি? স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে কি? যারা অনেক দেরী করে আসে তাদের জিজ্ঞাসা করে লিখিয়ে
নেওয়া উচিত । কেউ যদি বদলী হয়েও চলে যায়, তবুও তো তারা অবশ্যই কোনো সেন্টারের,
তারা মন্ত্র তো পেয়েছে - বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর চক্র ঘোরাতে হবে । বাবা তো খুবই
সহজ কথা বলেছেন । শব্দ মাত্র দুটোই -- "মনমনাভব" (আমাকে স্মরণ করো) আর আমার অবিনাশী
উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো, এতেই সম্পূর্ণ চক্র এসে যায় । কেউ যখন শরীর ত্যাগ করে,
তখন বলে - অমুকে স্বর্গে গেছে কিন্তু স্বর্গ কি তা কেউই জানে না । তোমরা এখন বুঝতে
পারো যে, সেখানে তো রাজত্ব আছে । সেখানে উঁচু থেকে শুরু করে নিচু পর্যন্ত, বিত্তবান
থেকে শুরু করে গরীব পর্যন্ত সকলেই সুখী থাকে । এখানে হলো দুঃখের দুনিয়া । সেটা হলো
সুখের দুনিয়া । বাবা তো খুবই ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন । দোকানদারি হোক কিম্বা অন্য যে
কোনো পেশার সাথেই যুক্ত থাকুক, ঈশ্বরীয় পড়াশোনার বিষয়ে বাহানা করা ঠিক কথা নয় ।
তারা না এলে তাদের জিজ্ঞেস করা উচিত, তোমরা বাবাকে কতটা স্মরণ করো? স্বদর্শন চক্র
ঘোরাও কি? খাওয়া দাওয়া করো, ঘুরে বেড়াও, এতে কোনো বারণ নেই । এর জন্যও সময় বের করো
। অন্যদেরও কল্যাণ করতে হবে । মনে করো, কেউ কাপড় ধোয়ার কাজ করে, তার কাছে তো বহু
লোক আসে । মুসলমান হোক, পার্সি হোক, হিন্দু হোক, তাকে বলো, তুমি তো স্থূল কাপড় ধুতে
দিতে এসেছো, কিন্তু তোমার এই যে শরীর, এ তো পুরানো ময়লা বস্ত্র, আত্মাও তমোপ্রধান
হয়ে গেছে, একে সতোপ্রধান স্বচ্ছ বানানো প্রয়োজন । এই সম্পূর্ণ দুনিয়া হলো
তমোপ্রধান, পতিত, কলিযুগী এবং পুরানো । এই লক্ষ্য তো তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান
হওয়ার জন্য, তাই না ! এখন করো না করো, বোঝো বা না বোঝো, তোমাদের ইচ্ছা । তোমরা তো
আত্মা, তাই না । আত্মা অবশ্যই পবিত্র হওয়া উচিত । এখন তো তোমাদের আত্মা অপবিত্র হয়ে
গেছে । আত্মা আর শরীর দুইই ময়লা । তাকে পরিষ্কার করার জন্য তোমরা বাবাকে স্মরণ করো,
তাহলে গ্যারেন্টি যে, তোমাদের আত্মা হান্ড্রেট পার্সেন্ট পবিত্র সোনা হয়ে যাবে,
তখন গয়নাও ভালো তৈরী হবে । মানো বা না মানো, তোমাদের ইচ্ছা । এও কতো বড় সেবা ।
ডাক্তারদের কাছে যাও, কলেজে যাও, অনেক বড় - বড় মানুষদের গিয়ে বোঝাও যে,
ক্যারেক্টার খুবই ভালো হওয়া প্রয়োজন । এখানে তো সবাই ক্যারেক্টারহীন । বাবা বলেন,
তোমাদের ভাইসলেস হতে হবে । ভাইসলেস দুনিয়া তো ছিলো, তাই না । এখন হলো ভিশস দুনিয়া,
অর্থাৎ ক্যারেক্টারলেস । তাদের ক্যারেক্টার খুবই খারাপ হয়ে গেছে । ভাইসলেস না হওয়া
পর্যন্ত শুধরাবে না । এখানে মানুষ হলো কামী । এখন ভিশস দুনিয়া থেকে ভাইসলেস
ওয়ার্ল্ড একমাত্র বাবাই স্থাপন করেন । বাকি পুরানো দুনিয়া বিনাশ হয়ে যাবে । এ তো
চক্র, তাই না । এই গোলকের চিত্রের (সৃষ্টি চক্র) উপরে বোঝালে ভালো হবে । এখানে
ভাইসলেস দুনিয়া ছিল, যেখানে দেবী - দেবতারা রাজত্ব করতো । এখন তারা কোথায় গেল?
আত্মার তো বিনাশ হয় না, আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর গ্রহণ করে । দেবী -
দেবতারাও ৮৪ জন্ম নিয়েছিলেন । এখন তোমরা বুদ্ধিমান হয়েছো । আগে তোমরা কিছুই জানতে
না । এখন এই পুরানো দুনিয়া কতো খারাপ হয়ে গেছে, তোমরা ফিল করতে পারো, বাবা যা
বলেছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক । ওটা তো হলোই পবিত্র দুনিয়া । এই দুনিয়া পবিত্র না হওয়ার
কারণে নিজেদের উপর দেবতা নামের পরিবর্তে হিন্দু নাম রেখে দিয়েছে । হিন্দুস্থানে যারা
থাকে তাদের হিন্দু বলে দেয়, মনে করে দেবতারা স্বর্গে থাকে । এখন তোমরা এই চক্রকে
বুঝে গেছো । যারা খুবই সচেতন, তারা খুব ভালোভাবে বোঝে যে, বাবা যেভাবে বোঝান, তেমনই
আবার বসে রিপিট করা উচিত । তোমরা প্রধান প্রধান শব্দ গুলি নোট করতে থাকো । তারপর
অন্যদেরও শোনাও যে, বাবা এই - এই পয়েন্ট গুলি শুনিয়েছেন । বলো, আমি তো গীতার জ্ঞান
শোনাই । এ তো গীতারই যুগ । যুগ যে চারটি, এ কথা সবাই জানে । এ হলো লীপ যুগ । এই
সঙ্গম যুগের কথা কেউই জানে না, তোমরাই জানো যে, এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ । মানুষ
শিব জয়ন্তী পালন করে কিন্তু তিনি কবে এসেছেন, কি করেছেন, এ কথা কেউই জানে না । শিব
জয়ন্তীর পরে হলো কৃষ্ণ জয়ন্তী, তারপর রাম জয়ন্তী । জগদম্বা আর জগৎ পিতার জয়ন্তী তো
কেউ পালন করে না । সকলেই তো নম্বরের ক্রমানুসারে আসে, তাই না । এখন তোমরা এই
সম্পূর্ণ জ্ঞান পাচ্ছো । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
আমাদের বাবা হলেন সুপ্রীম বাবা, সুপ্রীম টিচার, সুপ্রীম সদ্গুরু । এইকথা সবাইকে
শোনাতে হবে । অল্ফ (আল্লা) আর বে (বাদশাহীর) পড়া পড়াতে হবে ।
২) জ্ঞান অর্থাৎ
সৃষ্টিচক্রের নলেজকে ধারণ করে স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে আর বিজ্ঞান অর্থাৎ আওয়াজের
ঊর্ধ্বে শান্তিতে যেতে হবে । সাত দিনের কোর্স করে তারপর যেখানেই থাকো না কেন, এই
ঈশ্বরীয় পড়া পড়তে হবে ।
বরদান:-
সেবাতে
মান মর্যাদার কাঁচা ফল-কে ত্যাগ করে সদা প্রসন্নচিত্ত থাকা অভিমান মুক্ত ভব
রয়্যাল রূপের ইচ্ছার
স্বরূপ হলো নাম, মান আর মর্যাদা (শান) । যারা নাম হওয়ার লোভে সেবা করে, তাদের নাম
অল্পকালের জন্য হয়ে যায় কিন্তু উঁচু পদের ক্ষেত্রে নাম পিছনের সারিতে চলে যায়, কেননা
কাঁচা ফল খেয়ে নেয়। কিছু বাচ্চা চিন্তা করে যে সেবার রেজাল্টে আমি যেন সম্মান পাই।
কিন্তু এটা সম্মান নয়, অভিমান (অহমিকা) । যেখানে অভিমান থাকে সেখানে প্রসন্নতা থাকতে
পারে না, সেইজন্য অভিমান মুক্ত হয়ে সদা প্রসন্নতার অনুভব করো।
স্লোগান:-
পরমাত্ম স্নেহের সুখময় দোলনায় দুলতে থাকো তাহলে দুঃখের ঢেউ আসতে পারবে না।