29.09.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা এসেছেন তোমাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রদান করতে, যাতে তোমরা এই সৃষ্টির আদি -
মধ্য এবং অন্তকে জানতে পারো"
প্রশ্নঃ -
সিংহের মতো
শক্তিধারীরা কোন্ বিষয়কে সাহসের সঙ্গে বোঝাতে পারে?
উত্তরঃ
অন্য ধর্মের
মানুষদের এই কথা বোঝাতে হবে যে, তোমরা নিজেদের পরমাত্মা নয়, আত্মা মনে করো । নিজেকে
আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, তাহলেই বিকর্ম বিনাশ হবে, আর তোমরা মুক্তিধামে চলে
যাবে । নিজেকে পরমাত্মা মনে করলে বিকর্ম বিনাশ হতে পারবে না । এই কথা সিংহবাহিনী
শক্তিধারীরাই সাহসের সঙ্গে বোঝাতে পারবে । এই বোঝানোর অভ্যাসেরও প্রয়োজন ।
গীতঃ-
নেত্রহীনকে পথ
দেখাও...
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা
অনুভব করছে যে - এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় অনেক সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় । ভক্তিমার্গে
দ্বারে - দ্বারে ধাক্কা খেতে হয় । অনেক প্রকারের জপ - তপ - যজ্ঞ করে, শাস্ত্র
ইত্যাদি পাঠ করে, যেই কারণেই ব্রহ্মার রাত বলা হয় । অর্ধেক কল্প হলো রাত, আর
অর্ধেক কল্প হল দিন । ব্রহ্মা তো আর একা থাকবে না, তাই না । প্রজাপিতা ব্রহ্মা যখন
আছে, তাহলে তাঁর সন্তান কুমার - কুমারীরাও অবশ্যই থাকবে, কিন্তু মানুষ তা জানে না ।
বাবাই তাঁর বাচ্চাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র দান করেছেন, যার দ্বারা তোমরা এই সৃষ্টির
আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান পেয়েছো । তোমরা পূর্ব কল্পেও ব্রাহ্মণ ছিলে আর দেবতাও
হয়েছিলে, যা তোমরা হয়েছিলে, তাই আবার হতে চলেছো । তোমরা হলে আদি - সনাতন দেবী -
দেবতা ধর্মের । তোমরাই পূজ্য এবং পূজারী হও । ইংরাজীতে পূজ্যকে ওয়ার্শিপওয়ার্দি আর
পূজারীকে ওয়ার্শিপার বলা হয় । ভারতই অর্ধেক কল্প পূজারী হয় । আত্মা স্বীকার করে
যে, আমরাই পূজ্য ছিলাম আবার আমরাই পূজারী হয়েছি । পূজ্য থেকে পূজারী আবারও পূজ্য হয়
। বাবা তো আর পূজ্য বা পূজারী হন না । তোমরা বলবে, আমরা পূজ্য - পবিত্র দেবী - দেবতা
ছিলাম, আবার ৮৪ জন্ম পরে সম্পূর্ণ পতিত পূজারী হয়ে যাই । এখন ভারতবাসী, যারা আদি
সনাতন দেবী - দেবতা ধর্মের ছিলো তারা নিজের ধর্ম সম্বন্ধে কিছুই জানে না । তোমাদের
এই কথা সর্ব ধর্মের মানুষ বুঝবে না, যারা এই ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে চলে গেছে, তারাই
আবার ফিরে আসবে । এমন অনেকেই তো অন্য ধর্মে চলে গেছে । বাবা বলেন যে, যারা শিব আর
অন্য দেবতাদের পূজারী, তাদের পক্ষে সহজ । অন্য ধর্মের যারা তারা অনেক প্রশ্ন
জিজ্ঞেস করবে কিন্তু যারা পরিবর্তিত হয়ে গেছে, তাদেরকে এই জ্ঞান স্পর্শ করবে । তারা
এসেই বোঝার চেষ্টা করবে । না হলে অন্যরা মানবে না । আর্য সমাজ থেকেও অনেকেই এসেছে ।
শিখরাও অনেকেই এসেছে । যারা আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের, যারা পরিবর্তিত হয়ে গেছে,
তাদের নিজের ধর্মে অবশ্যই ফিরে আসতে হবে । বৃক্ষের ঝাড়ের মধ্যেও আলাদা - আলাদা
বিভাগ আছে । তারা আবার নম্বরের ক্রমানুসারে আসবে । শাখাপ্রশাখাও বের হতে থাকবে ।
তারা পবিত্র হওয়ার কারণে তাদের প্রভাব সুন্দর হয় । এখন দেবী - দেবতা ধর্মের ভিত্তি
নেই, তা আবারও তৈরী করতে হয় । ভাই - বোন তো অবশ্যই হতে হবে । আমরা এক বাবার সন্তান
সমস্ত আত্মারা ভাই - ভাই । তারপর শরীরে ভাই - বোন হই । এখন যখন নতুন সৃষ্টির স্থাপনা
হচ্ছে, তাই প্রথমের দিকে থাকে ব্রাহ্মণ । নতুন সৃষ্টির স্থাপনাতে প্রজাপিতা
ব্রহ্মাকে তো অবশ্যই প্রয়োজন । ব্রহ্মার দ্বারাই ব্রাহ্মণ সৃষ্টি হবে । একে রুদ্র
জ্ঞান যজ্ঞও বলা হয়, এতে অবশ্যই ব্রাহ্মণের প্রয়োজন । প্রজাপিতা ব্রহ্মার
সন্তানদের অবশ্যই প্রয়োজন । তিনি হলেন গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার । ব্রাহ্মণরা
হলেন প্রথম নম্বরের শিখাধারী । আদম বিবি, আদম - ইভকে তো মানাও হয় । এই সময় তোমরা
পূজারী থেকে পূজ্য তৈরী হচ্ছো । তোমাদের সবথেকে সুন্দর স্মরণিকা হলো দিলওয়ারা
মন্দির । নীচে তপস্যায় বসে আছে, ওপরে রাজত্ব, আর এখানে তোমরা চৈতন্য রূপে বসে আছো ।
এই মন্দিরও ধংস হয়ে যাবে, আবারও ভক্তিমার্গে তৈরী হবে ।
তোমরা জানো যে, এখন
আমরা রাজযোগ শিখছি, তারপর আমরা নতুন দুনিয়াতে যাবো । ওইসব হলো জড় মন্দির আর তোমরা
চৈতন্যে বসে আছো । মুখ্য মন্দির সঠিক বানানো হয়েছে । না হলে স্বর্গকে কোথায় দেখাবে,
তাই উপরে স্বর্গকে দেখানো হয় । এর উপর তোমরা খুব ভালোভাবে বোঝাতে পারো ।, বলো,
ভারতই স্বর্গ ছিলো, এখন এই ভারত আবার নরক হয়ে গেছে । এই ধর্মের যারা, তারা চট করে
বুঝতে পারবে । হিন্দুদের মধ্যেও দেখবে, অনেক প্রকার ধর্মে গিয়ে পড়েছে । তোমাদের
সেখান থেকে বের হতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় । বাবা বুঝিয়েছেন যে, নিজেকে আত্মা মনে
করে আমাকে (মামেকম্) স্মরণ করো, আর কোনো কথা বলাই উচিত নয় । যার এমন অভ্যাস নেই,
তার তো কথা বলাই উচিত নয় । না হলে তারা বি.কের নাম বদনাম করে দেবে । যদি অন্য
ধর্মের কেউ হয়, তাহলে তাদের বোঝানো উচিত যে, তোমরা যদি মুক্তিধামে যেতে চাও, তাহলে
নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো । নিজেকে পরমাত্মা মনে করো না । নিজেকে আত্মা
মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে তোমরা জন্ম - জন্মান্তরের পাপ থেকে মুক্ত হবে আর
মুক্তিধামে চলে যাবে । তোমাদের জন্য এই 'মনমনাভব' মন্ত্রই যথেষ্ট, কিন্তু এইভাবে
বোঝানোর জন্যও সাহসের প্রয়োজন । সিংহবাহিনী শক্তিরাই এই সেবা করতে পারে ।
সন্ন্যাসীরা বাইরে গিয়ে বিলেতের মানুষদের নিয়ে আসে যে, চলো তোমাদের আধ্যাত্মিক
জ্ঞান প্রদান করি । এখন তারা তো আর বাবাকে জানে না । ব্রহ্মকে ভগবান মনে করে বলতেন,
একে স্মরণ করো । ব্যস, এমন মন্ত্র দিয়ে দিতো যেন কোনো পাখিকে খাঁচায় বন্ধ করে দিতো
। তাই এমন বোঝানোতেই সময় লাগে । বাবা বলেছেন যে - প্রত্যেক চিত্রের উপরে যেন লেখা
থাকে - শিব ভগবান উবাচঃ ।
তোমরা জানো যে, এই
দুনিয়াতে ধণী (বাবা) ছাড়া সকলেই অনাথ । তারা ডাকতে থাকে - তুমিই মাতা - পিতা...
আচ্ছা, এর অর্থ কি? এমনই বলতে থাকে - তোমার কৃপায় আমরা সুখ লাভ করবো । বাবা এখন
তোমাদের স্বর্গ সুখের জন্য পড়াচ্ছেন, যার জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছো । যা তোমরা করবে,
তাই পাবে । এই সময় তো সকলেই পতিত । পবিত্র দুনিয়া তো একমাত্র স্বর্গই, এখানে কোনো
সতোপ্রধানই থাকতে পারে না । সত্যযুগে যারা সতোপ্রধান ছিলো, তারাই তমোপ্রধান - পতিত
হয়ে যায় । খ্রাইস্টের পিছনে যে অনেক ধর্মের মানুষ আসে, তারা তো প্রথম সতোপ্রধান
থাকবে, তাই না । যখন লাখের আন্দাজে হয়ে যায়, তখন বাদশাহী নেওয়ার জন্য লস্কর তৈরী
হয়ে যায় । তাদের যেমন সুখও কম, দুঃখও কম । তোমাদের মতো সুখ তো আর কেউই পেতে পারবে
না । তোমরা এখন তৈরী হচ্ছো, সুখধামে আসার জন্য । বাকি সব ধর্মের মানুষরা তো আর
স্বর্গে যাবেই না । ভারত যখন স্বর্গ ছিলো, তখন তার মতো পবিত্র খণ্ড আর কোথাও ছিলো
না । বাবা যখন আসেন, তখনই ঈশ্বরীয় রাজ্য স্থাপন হয় । ওখানে লড়াই ইত্যাদির কোনো
কথাই নেই । লড়াই - ঝগড়া তো অনেক পরে শুরু হয় । ভারতবাসী এতো লড়াই করেনি । নিজেদের
মধ্যে আপস করে অল্প লড়াই করে আলাদা হয়ে গেছে । দ্বাপর যুগ থেকে একে অপরের সঙ্গে
লড়াই - ঝগড়া শুরু হয়েছে । এই চিত্র ইত্যাদি বানানোতেও অনেক বুদ্ধির প্রয়োজন । এও
লেখা উচিত যে, ভারত, যা একদিন স্বর্গ ছিলো, তা কিভাবে নরকে পরিণত হয়েছে, তোমরা এসে
বোঝো । ভারত একদিন সদগতিতে ছিলো, এখন তা দুর্গতিতে আছে । এখন আবার সদগতি প্রাপ্ত
করার জন্য বাবা জ্ঞান দান করছেন । মানুষের মধ্যে এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান থাকে না । এই
জ্ঞান থাকে পরমপিতা পরমাত্মার মধ্যে । বাবা আত্মাদের এই জ্ঞান দান করেন । বাকি তো
সব মানুষই মানুষকে জ্ঞান দেয় । শাস্ত্রও মানুষই লিখেছে, মানুষই তা পড়েছে । এখানে
তো তোমাদের আত্মাদের পিতা এসে পড়ান, আর আত্মারাই এই পাঠ গ্রহণ করে । আত্মাই তো পাঠ
গ্রহণ করে, তাই না । ওই লেখাপড়া তো মানুষই করে । পরমাত্মার তো শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠ
করার কোনো দরকার নেই । বাবা বলেন যে, এই শাস্ত্র ইত্যাদি থেকে কারোরই সদগতি হতে পারে
না । আমাকে নিজে এসেই সকলকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয় । এখন তো দুনিয়াতে কোটি - কোটি
মানুষ । সত্যযুগে যখন লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব ছিলো, তখন সেখানে নয় লাখ মানুষ ছিলো
। ওখানে অনেক ছোটো ঝাড় হবে । তাহলে চিন্তা করে দেখো, এতো সব আত্মা কোথায় গেলো?
ব্রহ্মতে বা জলে তো আর লীন হয়ে যায় নি । তারা সব মুক্তিধামে থাকে । প্রত্যেক
আত্মাই অবিনাশী । তাদের মধ্যে অবিনাশী পার্ট ভরা আছে, যা কখনোই মুছে যেতে পারে না ।
আত্মা বিনাশ হয়ে যেতে পারে না । আত্মা তো হলো বিন্দু । বাকি নির্বাণ ইত্যাদিতে
কেউই যায় না, সবাইকে এই অভিনয় করতেই হবে । সকল আত্মারা যখন এসে যায়, তখন আমি এসে
সকলকে ফিরিয়ে নিয়ে যাই । শেষের দিকেই হলো বাবার পার্ট । নতুন দুনিয়ার স্থাপনা
তারপর পুরানো দুনিয়ার বিনাশ । এও ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে । তোমরা আর্য সমাজের
দলকে বোঝাবে, তো তাদের মধ্যে যারা যারা এই দেবতা ধর্মের হবে, তাদের টাচ্ হবে ।
বরাবর এই কথা তো ঠিক যে, পরমাত্মা সর্বব্যাপী কিভাবে হতে পারেন? ভগবান তো বাবা,
তাঁর থেকে অবিনাশী আশীর্বাদ পাওয়া যায় । কোনো আর্য সমাজীও তো তোমাদের কাছে আসে,
তাই না । তাদেরই চারাগাছ বলা হয় । তোমরা সবাইকে বোঝাতে থাকো, তারপর যারা তোমাদের
কুলের হবে তারা এখানে এসে যাবে । ভগবান বাবাই তোমাদের পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দেন
। ভগবান উবাচঃ - মামেকম্ স্মরণ করো । আমিই পতিত - পাবন, আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের
বিকর্ম বিনাশ হবে, আর তোমরা মুক্তিধামে এসে যাবে । এই খবর হলো সর্ব ধর্মের জন্য ।
তোমরা বলো যে, বাবা বলেন - দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে এক আমাকেই স্মরণ করো, তাহলে
তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে । আমি গুজরাটি, আমি অমুক, এখন এইসব ত্যাগ
করো । নিজেকে আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো । এই হলো যোগ অগ্নি । খুব সাবধানে
এই পদক্ষেপ নিতে হবে । সবাই তো বুঝবে না । বাবা বলেন যে - আমিই পতিত পাবন । তোমরা
সকলেই হলে পতিত, নির্বাণধামে পবিত্র হওয়া ছাড়া কেউই যেতে পারে না । এই রচনার আদি -
মধ্য এবং অন্তকেও বুঝতে হবে । সম্পূর্ণ বুঝতে পারলেই উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে । অল্প
ভক্তি করলে অল্প জ্ঞান বুঝতে পারবে । অনেক ভক্তি করলে সম্পূর্ণ জ্ঞান বুঝতে পারবে ।
বাবা যা বোঝান তা ধারণ করতে হবে । বাণপ্রস্থীদের জন্য এ আরো সহজ । তারা গৃহস্থ জীবন
থেকে পৃথক হয়ে যায় । বাণপ্রস্থ অবস্থা ৬০ বছরের পরে হয় । গুরুও তখনই করে । আজকাল
তো ছোটো অবস্থাতেও গুরু করিয়ে দেয় । না হলে প্রথমে বাবা তারপর টিচার তারপর ৬০
বছরের পরে গুরু করা হয় । বাবাই তো হলেন একমাত্র সদগতিদাতা, এই যে অনেক গুরুরা আছেন,
তারা তো সদগতিদাতা ননই । এ তো সব অর্থ উপার্জনের যুক্তি, সৎগুরু হলেন একজনই, যিনি
সকলের সদগতি করান । বাবা বলেন যে, আমি তোমাদের সমস্ত বেদ শাস্ত্রের সার বুঝিয়ে বলি
। এ সবই হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী । সিঁড়ি দিয়ে নামতেই হয় । জ্ঞান, ভক্তি, ভক্তির
পরে হলো বৈরাগ্য । জ্ঞান যখন প্রাপ্ত হয় তখনই ভক্তির প্রতি বৈরাগ্য আসে । এই পুরানো
দুনিয়ার প্রতি তোমাদের বৈরাগ্য হয় । বাকি এই দুনিয়াকে ত্যাগ করে তোমরা কোথায় যাবে?
তোমরা জানো যে, এই দুনিয়াই শেষ হয়ে যাবে, তাই এখন অসীম জগতের এই দুনিয়ার প্রতি
সন্ন্যাস করতে হবে । পবিত্র হওয়া ব্যতীত ঘরে ফিরে যেতে পারবে না । আর এই পবিত্র
হওয়ার জন্য স্মরণের যাত্রার প্রয়োজন । ভারতে রক্তের নদীর পরে আবারও দুধের নদী বইবে
। বিষ্ণুকেও ক্ষীর সাগরে দেখানো হয় । বোঝানো হয় - এই লড়াইয়ের দ্বারা মুক্তি এবং
জীবনমুক্তির গেট খুলে যায় । বাচ্চারা, তোমরা যতো এগোতে থাকবে ততই আওয়াজ বের হতে
থাকবে । এখন লড়াই লাগলো বলে । একটি আগুনের ফুলকি থেকে দেখো কি হয়েছিলো । বুঝতে পারে
যে, লড়াই তো অবশ্যই লাগবে । এই লড়াই চলতেই থাকবে । একে অপরের সাহায্যকারী হয়ে যায়
। তোমাদেরও নতুন দুনিয়ার প্রয়োজন তাই পুরানো দুনিয়ার অবশ্যই বিনাশ হওয়া চাই । আচ্ছা
।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
পুরানো দুনিয়ার এখন অবসান হবে, তাই এই দুনিয়ার প্রতি সন্ন্যাস নিতে হবে । দুনিয়া
ত্যাগ করে কোথাও যেতে হবে না, কিন্তু একে বুদ্ধির দ্বারা ভুলতে হবে ।
২ ) নির্বাণধামে
যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে । এই রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তকে সম্পূর্ণ
বুঝে নতুন দুনিয়াতে উচ্চ পদ লাভ করতে হবে ।
বরদান:-
কোনও
আত্মাকে প্রাপ্তির অনুভূতি করিয়ে যথার্থ সেবাধারী ভব
যথার্থ সেবা ভাব অর্থাৎ
সদা প্রত্যেক আত্মার প্রতি শুভভাবনা, শ্রেষ্ঠ কামনার ভাব। সেবা ভাব অর্থাৎ প্রত্যেক
আত্মাকে ভাবনা অনুসারে ফলপ্রদান করা। সেবা অর্থাৎ কোনও আত্মাকে প্রাপ্তির মেওয়া
অনুভব করানো। এই রকম সেবাতে তপস্যাও সাথে সাথে চলে। যেখানে যথার্থ সেবাভাব আছে
সেখানে তপস্যার ভাব আলাদা থাকে না। যে তপস্যাতে ত্যাগ তপস্যা নেই সেটা হল নামধারী
সেবা, এইজন্য ত্যাগ তপস্যা আর সেবার কম্বাইন্ড রূপ দ্বারা সত্যিকারের যথার্থ
সেবাধারী হও।
স্লোগান:-
নম্রতা
আর ধৈর্য্যতার গুণ ধারণ করো তাহলে ক্রোধাগ্নিও শান্ত হয়ে যাবে।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
লগণের অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে যোগকে জ্বালা রূপ বানাও
এখন নির্ভয় জ্বালামুখী
হয়ে প্রকৃতি আর আত্মাদের অন্তরে যে তমোগুণ আছে, সেগুলিকে ভষ্ম করো। তপস্যা অর্থাৎ
জ্বালা স্বরূপ স্মরণ, এই স্মরণের দ্বারাই মায়া বা প্রকৃতির বিকটরূপ শীতল হয়ে যাবে।
তোমাদের তৃতীয় নেত্র, জ্বালামুখী নেত্র মায়াকে শক্তিহীন করে দেবে।