30-03-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 30-11-2004 মধুবন


“এখন নিজের আচরণ আর মুখমন্ডল দ্বারা ব্রহ্মা বাবা সমান অব্যক্ত রূপ দেখাও, সাক্ষাৎকার মূর্ত হও”


আজ ভাগ্য বিধাতা বাবা চতুর্দিকে নিজের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান বাচ্চাদের দেখে আনন্দিত হচ্ছেন। সারা কল্পে এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্য কারও হতে পারে না। কল্প কল্পের তোমরা বাচ্চারাই এই ভাগ্যের অধিকার প্রাপ্ত করে থাকো। মনে আছে তোমাদের নিজেদের কল্প কল্পের অধিকারের ভাগ্য? এই ভাগ্য সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্য কেন? কারণ তোমরা সব বাচ্চাকে স্বয়ং ভাগ্যবিধাতা এই শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের দিব্য জন্ম দিয়েছেন। যার জন্মই ভাগ্য বিধাতা দ্বারা হয়েছে, তার থেকে শ্রেষ্ঠ ভাগ্য আর হতেই পারে না। নিজের ভাগ্যের নেশা স্মৃতিতে থাকে? নিজের ভাগ্যের লিস্ট যদি বের করো তো কত বড় সেই লিস্ট? অপ্রাপ্ত কোনো বস্তু নেই তোমাদের ব্রাহ্মণ জীবনে। সবার মনে নিজের ভাগ্যের লিস্ট স্মৃতিতে এসেছে! স্মৃতিতে আনো, এসে গেছে স্মৃতিতে? হৃদয় কোন গীত গায়? বাঃ ভাগ্য বিধাতা! আর বাঃ আমার ভাগ্য! এই শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের বিশেষত্ব এটাই - এক ভগবান দ্বারা তিন সম্বন্ধের প্রাপ্তি; এক দ্বারা একের মধ্যে তিন সম্বন্ধ, যা জীবনে বিশেষ সম্বন্ধ হিসেবে গাওয়া হয়েছে - বাবা, শিক্ষক, সদ্গুরু। কারও এক দ্বারা তিন বিশেষ সম্বন্ধের প্রাপ্তি হয় না। তোমরা গর্বের সঙ্গে বলে থাকো আমাদের বাবাও আছেন, শিক্ষকও আছেন তো সদ্গুরুও আছেন। বাবার দ্বারা সর্ব ভান্ডারের খনি প্রাপ্ত হয়েছে। ভান্ডারের লিস্টও স্মৃতিতে এসেছে। স্মৃতিতে নিয়ে এসো কোন্ কোন্ ভান্ডার বাবার দ্বারা পেয়ে গেছো! পেয়ে গেছো, নাকি পাওয়া বাকি আছে? কী বলবে? তোমরাই বালক তথা মালিক। শিক্ষক দ্বারা শিক্ষা থেকে শ্রেষ্ঠ পদের প্রাপ্তি হয়ে গেছে। বাস্তবেও, যদি দেখা যায় দুনিয়াতেও সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পদ রাজ্য পদ গাওয়া হয়ে থাকে, তো তোমরা তো ডবল রাজা হয়ে গেছ। বর্তমান স্বরাজ্য অধিকারী আর ভবিষ্যতে অনেক জন্ম রাজ্য পদাধিকারী। পঠন-পাঠন এক জন্মের, সেটাও ছোট একটা জন্ম আর পদের প্রাপ্তি অনেক জন্মের, তাছাড়া, রাজ্যও অখন্ড, অটল, নির্বিঘ্ন রাজ্য। এখনও স্বরাজ্য অধিকারী নিশ্চিন্ত বাদশাহ তোমরা, হয়েছো? নিশ্চিন্ত বাদশাহ হয়েছ? যে নিশ্চিন্ত সে হাত উঠাও। নিশ্চিন্ত, একটুও চিন্তা নেই? দেখতে হবে, যখন কোনো পাপেট শো সামনে আসে চিন্তা হয়? হয় না? অল্প চিন্তা, চিন্তন চলে নাকি চলে না? বাস্তবত, শ্রেষ্ঠ ভাগ্য এখন থেকে নিশ্চিন্ত বাদশাহ বানায়। অল্প বিস্তর এই যে পরিস্থিতি আসে তা' ভবিষ্যতের জন্য আরও অনুভাবী, পরিপক্ব করে।

এখন তো সবাই এই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের অনুভাবী হয়ে গেছ তো না! ঘাবড়ে যাও না তো? আরামে সাক্ষী সিটে বসে এই পাপেট শো দেখ, কার্টুন শো দেখ। নেই কিছুই, এটা কার্টুন। এখন মজবুত হয়ে গেছ তো না! মজবুত হয়েছ এখন? নাকি কখনো কখনো ঘাবড়ে যাও? এটা আসে কাগুজে বাঘ হয়ে। হয় কাগজের কিন্তু বাঘ হয়ে আসে। এখন সময় অনুসারে অনুভাবীমূর্ত হয়ে সময়কে, প্রকৃতিকে, মায়াকে চ্যালেঞ্জ করো - এসো, আমি বিজয়ী। বিজয়ীর চ্যালেঞ্জ করো। (মাঝে মাঝে কাশি আসছে) আজ বাজনা (শরীর) সামান্য খারাপ আছে, মিলিত হতে তো হবে তাই না!

বাপদাদার কাছে দুটো গ্রুপ বারবার আসে, কিসের জন্য আসে? দুটো গ্রুপই বাপদাদাকে বলে - আমরা প্রস্তুত। এক - এই সময়, প্রকৃতি আর মায়া। মায়া বুঝে গেছে এবার আমার রাজত্ব চলে যাচ্ছে। আর দ্বিতীয় গ্রুপ হলো - অ্যাডভান্স পার্টি। দুই গ্রুপ ডেট জিজ্ঞাসা করছে। ফরেনে তো এক বছর আগে ডেট ফিক্স করো, তাই না? আর এখানে ৬ মাস আগে? ভারতে তোমরা ফাস্ট যাও, ১৫ দিনেও কোনো প্রোগ্রামের ডেট স্থির হয়ে যায়। সুতরাং সমাপ্তি, সম্পন্ন, বাবা সমান হওয়ার ডেট কোনটা? সেটা বাপদাদাকে জিজ্ঞাসা করে। এই ডেট এখন তোমরা সব ব্রাহ্মণকে ফিক্স করতে হবে। হতে পারে? ডেট ফিক্স হতে পারে? পান্ডব বলো, তোমরা তিনই বলো। (বাপদাদা নির্বৈর ভাই, রমেশ ভাই, বৃজমোহন ভাইকে জিজ্ঞাসা করছেন) ডেট ফিক্স হতে পারে? বলো, হতে পারে? নাকি আকস্মিক ভাবে হবে? ড্রামাতে ফিক্সড আছে, কিন্তু সেটা প্র্যাকটিক্যালি আনতে হবে নাকি না? সেটা কী? বলো। হবে? অকস্মাৎ হবে? যারা বলে ড্রামাকে প্র্যাকটিক্যালি আনার জন্য মনে ডেটের সংকল্প করতে হবে, তারা হাত উঠাও। করতে হবে? এরা হাত তুলছে না। হঠাৎ হবে? তোমরা ডেট ফিক্স করতে পারবে? পিছনের তারা মনে করে নিয়েছে হঠাতই হওয়ার আছে - এটা রাইট। কিন্তু নিজেকে তৈরি করার জন্য অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। বিনা লক্ষ্যে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি ভাব এসে যায়। দেখো, তোমরা যখন ডেট ফিক্স করো তখন তোমাদের সফলতা প্রাপ্ত হয়। যে কোনও প্রোগ্রামের ডেট ফিক্স করো তো, তাই না? হতেই হবে, এই সংকল্প করতে হবে তো না! নাকি না, ড্রামাতে আছে, আপনা থেকেই হয় যাবে? কী মনে করছ? প্রথম সারির তোমরা বলো। প্রেম (দেরাদুন) বলো। করতে হবে, করতে হবে? জয়ন্তী বলো, করতে হবে? সেটা কবে হবে? অন্তে হবে যখন সময় এসে যাবে! সময় সম্পন্ন বানাবে, নাকি তোমরা সময়কে সমীপে নিয়ে আসবে?

বাপদাদা দেখেছেন যে স্মৃতিতে জ্ঞানও থাকে, নেশাও থাকে, নিশ্চয়ও থাকে, কিন্তু এখন অ্যাডিশন দরকার - আচরণ আর মুখমন্ডল দ্বারা যেন দৃশ্যমান হয়। বুদ্ধিতে তোমাদের সব স্মৃতি বজায় থাকে, বোধেও আসে, কিন্তু এখন স্বরূপে আসতে দাও। সাধারণ ভাবেও, কোনো বড় অক্যুপেশনের যদি কেউ থাকে কিংবা কোনো ধনাঢ্য ব্যক্তির বাচ্চা এডুকেটেড হয় তবে তার হাবভাব থেকে বোঝা যায় যে এ একটা- কিছু। তার কিছু না কিছু স্বাতন্ত্র্য দৃষ্টিগোচর হয়। তো এত বড় ভাগ্য, উত্তরাধিকারও আছে, পঠন-পাঠন আর পদও আছে। স্বরাজ্য তো এখনও আছে, তাই না! প্রাপ্তিও সবই আছে, কিন্তু আচরণ আর মুখমন্ডল দ্বারা ভাগ্যের নক্ষত্র ললাটভাগে যেন ঝলমলে রূপে দেখা যায়, সেটা এখন অ্যাডিশন দরকার। এখন তোমরা সব শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা দ্বারা লোকের এই অনুভব হতে হবে, দরকার নয়, হতে হবে যে এঁরা আমাদের ইষ্টদেব, ইষ্টদেবী। এঁরা আমাদের। যেমন তোমরা ব্রহ্মা বাবার মধ্যে দেখেছো - সাধারণ তনে থেকেও শুরুর সময়তেও ব্রহ্মা বাবার মধ্যে কী দেখা যেত, কৃষ্ণ দেখা যেত, তাই তো না? তোমরা যারা শুরুর সময়ের তাদের অনুভব রয়েছে তো না! তো শুরুর সময়তে যেমন ব্রহ্মা বাবা দ্বারা কৃষ্ণ দৃশ্যমান হতেন ঠিক তেমনই লাস্টে কী দৃষ্টিগোচর হতো? অব্যক্ত রূপ দৃশ্যমান হতো, তাই তো না! আচার- আচরণে, মুখমন্ডলে দেখা গেছে না! এখন বাপদাদা বিশেষ নিমিত্ত বাচ্চাদের এই হোম ওয়ার্ক দিচ্ছেন যে এখন ব্রহ্মা বাবা সমান যেন অব্যক্ত রূপ দৃশ্যমান হয়। আচরণ আর মুখ দ্বারা মালার ন্যূনতম ১০৮ দানা যেন দৃশ্যমান হয়। বাপদাদা নাম চান না, নাম বলেন না ১০৮ কা'রা, কিন্তু তাদের আচার-আচরণ এবং মুখমন্ডলে আপনা থেকেই প্রত্যক্ষ হোক। এই হোম ওয়ার্ক বাপদাদা নিমিত্ত বাচ্চাদের বিশেষভাবে দিচ্ছেন। হতে পারে? আচ্ছা কত সময় দরকার? এমন মনে ক'রো না যারা পরে এসেছ, তোমাদের কেউ কেউ মনে করো আমার তো অল্প কয়েক বছরই হয়েছে!এটা টাইমের বিষয় নয়। যে কেউই লাস্ট সো ফাস্ট আর ফাস্ট সো ফার্স্ট যেতে পারে, এটাও বাপদাদার চ্যালেঞ্জ, করতে পারো। যে কেউই করতে পারো। লাস্টের যে সেও করতে পারে। শুধু লক্ষ্য পাক্কা রাখো - করতেই হবে, হতেই হবে।

ডবল ফরেনার্স হাত তোলো। তো ডবল ফরেনার্স কী করবে? ডবল চান্স নেবে তো না! বাপদাদা নাম অ্যানাউন্স করবেন না, কিন্তু তাদের মুখমন্ডল প্রত্যক্ষ করাবে - ইনিই সেই! সাহস আছে তোমাদের? প্রথম লাইনে যারা তাদেরকে বাপদাদা দেখছেন। আছে, সাহস আছে? যদি সাহস থাকে তবে হাত উঠাও। সাহস থাকলে তবেই। পিছনের তোমরাও উঠাতে পারো। যে উদ্যোগ নেবে সেই অর্জুন। আচ্ছা - তোমরা কী কী পুরুষার্থ করছো, কে কে করছো সেই রেজাল্ট দেখার জন্য বাপদাদা ৬ মাস দিচ্ছেন। ৬ মাসের রেজাল্ট দেখবেন তারপরে ফাইনাল করবেন। ঠিক আছে? কারণ দেখা যায় যে এখন সময় দ্রুত গতিতে যাচ্ছে, রচনার দ্রুত গতিতে যাওয়া উচিত নয়, রচয়িতার তেজগতি হওয়া উচিত। এখন একটু ফাস্ট করো, এখন ওড়ো। চলছি নয়, উড়ছি। জবাবে খুব ভালো প্রত্যুত্তর দাও, আমরাই তো হই তাই না! আর কে হবে! বাপদাদা খুশি হন। কিন্তু এখন মানুষজন (আত্মারা) কিছু দেখতে চায়। বাপদাদার স্মরণে আছে শুরুর সময়ে যখন তোমরা বাচ্চারা সেবাতে বের হয়েছিলে তখন বাচ্চাদের দ্বারাও সাক্ষাৎকার হতো, এখন সেবা আর স্বরূপ দু' দিকেই অ্যাটেনশন দরকার। তো কী শুনলে! এখন সাক্ষাৎকার মূর্ত হও। আচ্ছা।

আজ নতুন নতুন বাচ্চারাও অনেক এসেছে। নিজের স্নেহের শক্তিতে সবাই পৌঁছে গেছ তোমরা, সেইজন্য বাপদাদা নতুন নতুন যে বাচ্চারা সামনে আছে বিশেষভাবে তাদের প্রত্যেককে নাম সহ পদ্মগুন অভিনন্দন জানাচ্ছেন, সেইসঙ্গে বরদাতা বরদান দিচ্ছেন - সদা ব্রাহ্মণ জীবনে বেঁচে থাকো, উড়তে থাকো। আচ্ছা।

সেবার টার্ন পাঞ্জাবের – যারা পাঞ্জাব থেকে তারা ওঠো। খুব ভালো। এই বিধিও ভালই বানানো হয়েছে, প্রতিটা জোনস চান্স পেয়ে যায়। এক তো যজ্ঞ সেবা দ্বারা একেক কদমে পদ্মগুন উপার্জন জমা হয়ে যায়, কেননা তোমাদের মেজরিটি যখন কোনও কর্ম করে তখন যজ্ঞ সেবা স্মরণে থাকে আর যজ্ঞ সেবা স্মরণে আসায় যজ্ঞ রচয়িতা বাবা তো স্মরণে আসেনই। তো সেবাতেও সর্বাধিক বেশি পুণ্যের খাতা জমা করে নেয়। আর প্রকৃত পুরুষার্থী যে বাচ্চারা আছে তারা নিজেদের স্মরণের চার্ট সহজে নিরন্তর বানাতে পারে। কেননা, এখানে এক তো মহারথীদের সঙ্গ রয়েছে, সঙ্গের রঙ সহজে লেগে যেতে পারে। যদি অ্যাটেনশন থাকে তবে এই ৮-১০ দিন যে মিলনমেলা হয় তাতে খুব ভালো প্রগ্রেস করা যায়। কমন রীতিতে সেবার তো এত লাভ নেই, কিন্তু চান্স আছে এক সহজ নিরন্তর যোগী হওয়ার, পুণ্যের খাতা জমা করার, আর বড় থেকে বড় পরিবারের নেশায়, খুশিতে থাকার। তো পাঞ্জাবের তোমরা চান্স পেয়েছ, প্রতিটা জোন চান্স পায় কিন্তু লক্ষ্য রাখো তিন উপায়েই যেন লাভ হয়। পুণ্যের খাতা কত সঞ্চয় করেছ? সহজভাবে স্মরণের কত প্রগ্রেস করেছ? আর সংগঠন কিংবা পরিবারের স্নেহ, কত নৈকট্যের অনুভব করেছ? এই তিন বিষয়ে নিজের রেজাল্ট প্রত্যেকের বের করা উচিত। ড্রামাতে চান্স তো পাওয়া যায় কিন্তু যারা চান্স নেবে তারা চ্যান্সেলর হও। তো পাঞ্জাবের তোমরা হুঁশিয়ার তো না! এটা ভালো। তোমরা ভালো সংখ্যকই এসেছ আর তোমরা উদারচিত্তে সেবারও চান্স পেয়েছ। আগতরাও সংখ্যায় ভালই এসেছে। খুব ভালো। খুব ভালো সংগঠন ।

(আজ দুটো উইং - গ্রাম বিকাশ উইং এবং মহিলা উইং মিটিংয়ের জন্য এসেছে)

মহিলা উইং ওঠো - এতে মেজরিটি কী টিচার্স? টিচার্স হাত তোলো। ভালো চান্স রয়েছে। সেবার সেবা আর সেবার আগে মেওয়া। সংগঠনের তরফে বাবার সাথে মিলনের মজা নেওয়া। তো সেবা আর মেওয়া দুইই পেয়ে গেছ। এটা ভালো। এখন নতুন কোনো প্ল্যান বানিয়েছ? যেটাই হোক, তা' মহিলাদের হোক কিংবা কোনও বর্গের গ্রুপ, তৈরি হয়ে আছে। তো প্রত্যেক গ্রুপের উচিত তোমাদের আচরণে এবং মুখমন্ডলে কোনো না কোনো বিশেষ কিছু গুণ বা শক্তির প্রত্যক্ষতা প্র্যাকটিক্যালি করানোর উদ্যোগ নেওয়া। তাহলে আমরা, মহিলা গ্রুপ এই গুণ বা শক্তি প্র্যাকটিক্যালি প্রত্যক্ষ রূপে আনব। এইভাবে প্রত্যেক বর্গের তোমাদের উচিত নিজের কোনো না কোনো বিশেষ গুণ বা শক্তি ফিক্স করা এবং এটা নিজেদের মধ্যে চিঠিপত্র করে হোক বা সংগঠিত রূপে হোক নিরন্তর চেক করে যাওয়া, ঠিক যেমন নিজেদের মধ্যে তোমরা সার্ভিসের রেজাল্ট নোট করো না তেমনই। তো সর্বাগ্রে তোমরা করে দেখাও। মহিলা উইং করে দেখাও। ঠিক আছে তো না! প্রতিটা উইংকে নিজেদের কিছু প্ল্যান বানাতে হবে এবং সময় ফিক্স করতে হবে যে এত সময়ে এত পার্সেন্টেজ প্র্যাকটিক্যালি আনতে হবে। তারপরে বাপদাদা যেটা চান - আচরণে এবং চিত্রে যেন আসে, সেটা এসে যাবে। তো এই প্ল্যান বানিয়ে বাপদাদাকে দাও। প্রতিটা উইং কী করবে? সেবার প্ল্যান যেভাবে নোট করো না তোমরা, সেভাবেই এটা করতে হবে। ঠিক আছে তো না! করতে হবে। এটা ভালো, ছোট ছোট সংগঠন চমৎকার করতে পারে। ঠিক আছে! টিচার্স, তোমরা কী মনে করছ? করতে পারবে? তো প্ল্যান বানাও। আচ্ছা। সেবার অভিনন্দন।

গ্রাম বিকাশ উইং – তোমরা যারা গ্রাম বিকাশ থেকে তারা এখনো পর্যন্ত কত গ্রামের পরিবর্তন করেছ? কত গ্রামে করেছ? (৭টা গ্রামে করা হয়েছে, এক গ্রামে ৭৫% পর্যন্ত কাজ হয়েছে। এই মিটিংয়েও প্রোগ্রাম বানানো হয়েছে - "সময়ের কাতর আহ্বান - স্বচ্ছ স্বর্ণালী গ্রামীণ ভারত" এই প্রজেক্টের অন্তর্গত গ্রামের পর গ্রামকে ব্যসন মুক্ত আর স্বচ্ছ বানানোর সেবা হবে) এটা ভালো - প্র্যাকটিক্যাল তো না! এর টোটাল রেজাল্ট যা হয়েছে তা' প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টারের কাছে পৌঁছায়? (এখনও পাঠানো হয়নি) পাঠানো উচিত। কেননা, গ্রামে গ্রামে এই যে প্র্যাকটিক্যালি করছ, সেটা তো গভর্নমেন্টেরই কাজ, কিন্তু তোমরা সহযোগী হচ্ছ, তো রেজাল্ট দেখে ভালো ব'লে স্বীকার করে নেবে। একটা এমন বুলেটিন তৈরি করো যা থেকে গভর্নমেন্টের সব মুখ্য মুখ্য লোকের কাছে যেন সেই বুলেটিন পৌঁছে যায়, পুস্তক নয়, ম্যাগাজিন নয়, শর্টৈ সব তরফের টোটাল রেজাল্ট পাঠানো উচিত। এটা ভালো - অভিনন্দন। আচ্ছা - (মাঝে মাঝে কাশি আসছে) আজ বাজনা (শরীর) শান্তি চায়। আচ্ছা - বাপদাদার কাছে চতুর্দিকের সেবার রেজাল্টও আসতে থাকে এবং আজকাল বিশেষ কোনও কোণা যেন বাকি থেকে না যায় - সবাই যেন সমাচার পেয়ে যায়, এই প্ল্যান যা প্র্যাকটিক্যালি করা হচ্ছে, তার রেজাল্টও ভালো। বাপদাদার কাছে ডবল বিদেশি বাচ্চাদের সমাচার পৌঁছেছে আর যারাই তোমরা মেগা প্রোগ্রাম (ভারতে) করেছ, তিনি তাদের সমাচারও সব পেয়েছেন। চতুর্দিকের সেবার রেজাল্ট সফলতা পূর্বক বের হয়েছে। তো বাচ্চারা যেমন সেবাতে সমাচার দেওয়ার ক্ষেত্রে রেজাল্টে সফলতা প্রাপ্ত করেছে, তেমনই বাণী দ্বারা, সম্পর্ক দ্বারা আর সেইসঙ্গে নিজের মুখমন্ডল দ্বারা ফরিস্তা রূপের সাক্ষাৎকার করিয়ে এগিয়ে চলো।

আজ যারা প্রথম বার এসেছ তারা হাত তোলো। অনেকে এসেছো। খুব ভালো, টু লেট এর বোর্ড লাগার আগেই তোমরা এসে গেছো, ভালো, চান্স নাও। চমৎকার করে দেখাও। সাহস রাখো, বাপদাদার সহায়তা সব বাচ্চার সাথে রয়েছে। আচ্ছা - সাকার রূপে সমুখে বসা চতুর্দিকের বাচ্চাদের এবং নিজের নিজের জায়গায়, দেশে বাবার সাথে মিলন উদযাপনকারী চতুর্দিকের বাচ্চাদের অনেক অনেক সেবার, স্নেহের এবং পুরুষার্থের অভিনন্দন তো বাপদাদা জানাচ্ছেন, কিন্তু পুরুষার্থে তীব্র পুরুষার্থী হয়ে আত্মাদের এখন দুঃখ অশান্তি থেকে রেহাই দিতে আরও তীব্র পুরুষার্থ করো। দুঃখ, অশান্তি, ভ্রষ্টাচার অতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এখন অতির অন্ত করে সবাইকে মুক্তিধামের উত্তরাধিকার বাবার থেকে প্রাপ্ত করাও। এমন সদা দৃঢ় সংকল্পের বাচ্চাদের স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

বরদান:-
নম্রতা আর অথরিটির ব্যালেন্সের দ্বারা বাবাকে প্রত্যক্ষ করিয়ে সদা সেবাধারী ভব

যেখানে ব্যালেন্স থাকে সেখানে চমৎকারিত্ব দৃশ্যমান হয়। যখন তোমরা নম্রতা ও সত্যতার অথরিটির ব্যালেন্স দ্বারা যে কোনো কাউকে বাবার পরিচয় দেবে তখন চমৎকারিত্ব প্রতীয়মান হবে। এই রূপ দ্বারা বাবাকে প্রত্যক্ষ করাতে হবে। তোমাদের বোল স্পষ্ট হোক, তা'তে স্নেহও থাকবে, নম্রতা এবং মধুরতাও থাকবে তথা মহত্ত্ব এবং সত্যতা থাকবে, তবে প্রত্যক্ষতা হবে। ব'লতে ব'লতে মাঝে মাঝে অনুভব করিয়ে চলো যাতে একাগ্রতায় মগ্নমূর্ত অনুভব হবে। এমন স্বরূপ দ্বারা যারা সেবা করে তারাই বিশেষ সেবাধারী হয়।

স্লোগান:-
সময়কালে যদি কোনও সাধন না থাকে তবুও সাধনায় যেন বিঘ্ন না পড়ে।

অব্যক্ত ইশারা :- সত্যতা আর সভ্যতারূপী কালচারকে ধারণ করো কেউ কেউ হয়তো মনে করে, ক্রোধ কোনও বিকার নয়, এটা শস্ত্র। ক্রোধ জ্ঞানী তু আত্মার মহাশত্রু। তোমরা যখন অনেক আত্মার সম্বন্ধ সম্পর্কে আসো তখন তোমাদের ক্রোধ প্রকাশ পায় এবং ক্রোধের প্রকাশ দেখে বাবার নাম অনেক বদনাম হয়ে যায়। যারা বলার তারা এটাই বলে, দেখে নিয়েছি জ্ঞানী তু আত্মা বাচ্চাদের, সেইজন্য এর অংশমাত্রকেও সমাপ্ত করে সভ্যতা পূর্বক ব্যবহার করো।