30.05.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা এখন শান্তিধাম আর সুখধামে যাওয়ার জন্য ঈশ্বরীয় ধামে বসে আছো, এ হলো সৎ এর
সঙ্গ, যেখানে তোমরা পুরুষোত্তম হয়ে উঠছো"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমরা বাবার থেকেও উঁচু, নীচে নও - তা কিভাবে?
উত্তরঃ
বাবা বলেন -
বাচ্চারা, আমি এই বিশ্বের মালিক হই না, আমি তোমাদের এই বিশ্বের মালিক বানাই,
সেইসঙ্গে এই ব্রহ্মাণ্ডেরও মালিক বানাই । বাচ্চারা, আমি উঁচুর থেকেও উঁচু বাবা
তোমাদের নমস্কার জানাই, যে বাবা তোমাদের এমন বানান, তোমরাও তাঁকে নমস্কার করো ।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি -
মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে নমস্কার । তোমরা রেসপন্সও করো না, বলো - বাবা
নমস্কার, কেননা বাচ্চারা জানে যে, বাবা আমাদের যেমন এই ব্রহ্মাণ্ডের মালিক বানান,
তেমনই এই বিশ্বের মালিকও বানান । বাবা তো কেবল এই ব্রহ্মাণ্ডের মালিক হন, এই
বিশ্বের মালিক হন না । তিনি বাচ্চাদের ব্রহ্মাণ্ড এবং বিশ্ব এই দুইয়েরই মালিক বানান,
তাহলে বলো - কে বড় হলো? বাচ্চারাই তো বড় হলো, তাই তিনি বাচ্চাদের নমস্কার করেন ।
বাবা, তুমিই আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ড এবং বিশ্বের মালিক বানাও, তাই তোমাকেও নমস্কার ।
মুসলমানরাও মালেকম্ সেলাম, সেলাম মালেকম্ বলে থাকে, তাই না । বাচ্চারা, তোমাদের এই
হলো খুশী । যার নিশ্চয় আছে, নিশ্চয় ছাড়া কেউই তো এখানে আসতে পারে না । এখানে যে
আসে, সে জানে যে, আমি কোনো মনুষ্য গুরুর কাছে যাচ্ছি না । আমরা মনুষ্য বাবার কাছে,
মনুষ্য টিচারের কাছে বা মনুষ্য গুরুর কাছে যাই না । তোমরা আসো আত্মিক বাবা, আত্মিক
টিচার, আত্মিক সদ্গুরুর কাছে । জগতে তো সেই সব মানুষ তো অনেকই আছে । এ হলো একই । এই
পরিচয় কেউই জানতো না । ভক্তিমার্গের শাস্ত্রেও আছে যে, রচয়িতা আর রচনাকে কেউই জানে
না । আর এই না জানার কারণে তাদের অনাথ বলা হয় । যে খুব ভালোভাবে পড়াশোনা করে, সেই
বুঝতে পারে যে, আমাদের সকল আত্মার এক বাবা হলেন নিরাকার । তিনি এসেই একাধারে বাবা,
টিচার এবং সদ্গুরু হন । গীতাতে কৃষ্ণের নামের মহিমা করা হয়েছে । গীতা হলো সর্ব
শাস্ত্র শিরোমণি, সর্বোত্তম । গীতাকেই মাতা - পিতা বলা হয়, আর যা শাস্ত্র আছে, তাকে
মাতা - পিতা বলা হবে না । শ্রীমদ্ভগবদগীতা যে মাতা, এমন মহিমা আছে । ভগবানের মুখ
কমল থেকে নিঃসৃত এই গীতার জ্ঞান । বাবা হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ তাহলে অবশ্যই সর্বোচ্চ
মহিমা যে গীতার, সেই হলো রচয়িতা । বাকি সব শাস্ত্র হলো এর পাতা অর্থাৎ রচনা । রচনা
থেকে কোনো উত্তরাধিকার পাওয়া যায় না । যদিও পাওয়া যায়, তাও অল্পকালের জন্য । বাকি
যে সব শাস্ত্র আছে, তা পাঠ করলে অল্পকালের জন্য সুখ পাওয়া যায়, তাও এক জন্মের জন্য
। যা মানুষই মানুষকে পড়ায় । সমস্ত প্রকারের যে সব পড়া আছে, তা অল্পকালের জন্য
মানুষই মানুষকে পড়ায় । অল্পকালের সুখ পায় তারপর অন্য জন্মে অন্য পড়া পড়তে হয় । এখানে
তো এক নিরাকারী বাবাই আছেন, যিনি ২১ জন্মের জন্য অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন । কোনো
মানুষ তো এমন দিতে পারে না । ওরা তো কপর্দকশূন্য বানিয়ে দেয় । বাবা তোমাদের পাউন্ড
তৈরী করেন । বাবা এখন বসে বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন । তোমার সকলেই তো ঈশ্বরের সন্তান,
তাই না । সর্বব্যাপী বলাতে অর্থ কিছুই বুঝতে পারে নি । সবার মধ্যে যদি পরমাত্মা থাকে
তাহলে সবাই তো বাবা হয়ে গেলো । বাবা-ই বাবা, তাহলে উত্তরাধিকার কোথা থেকে পাওয়া
যাবে? কার দুঃখ কে হরণ করবে? বাবাকেই দুঃখহর্তা এবং সুখকর্তা বলা হয় । বাবাই বাবা,
এর তো কোনো অর্থই হয় না । বাবা বসে বোঝান - এ হলো রাবণ রাজ্য । এও এই নাটকেই নিহিত
আছে তাই চিত্রতেও পরিস্কারভাবে দেখানো হয়েছে ।
বাচ্চারা, তোমাদের
বুদ্ধিতে আছে যে, আমরা এখন পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে রয়েছি । বাবা আমাদের পুরুষোত্তম
বানাতে এসেছেন । যেমন ব্যরিস্টারী, ডাক্তারী ইত্যাদি পড়ে, যাতে পদ পায় । ভাবে এই
বিষয়ে পড়ে আমরা অমুক হবো । এখানে তোমরা সৎ এর সঙ্গে বসে আছো, যার জন্য তোমরা সুখধামে
যাও । সৎ ধামও হলো দুটি - এক হলো সুখধাম, দ্বিতীয় হলো শান্তিধাম । তা হলো ঈশ্বরের
ধাম । বাবা তো রচয়িতা, তাই না । যারা বাবার কাছে বুঝে সতর্ক হয়ে যায় - তাদের
কর্তব্য হলো সার্ভিস করা । বাবা বলবেন - তোমরা এখন বুঝে শুনে সাবধান হয়েছো, তাহলে
শিবের মন্দিরে গিয়ে বোঝাও, তাদের বলো, তোমার এর উপর ফল, ফুল, মাখন, ঘি, আকন্দ ফুল,
গোলাপ ভ্যারাইটি জিনিস কেন চড়াও? কৃষ্ণের মন্দিরে আকন্দের ফুল নিবেদন করা হয় না ।
তাঁকে খুব সুন্দর সুগন্ধিত ফুল নিবেদন করা হয় । শিবকে আকন্দের ফুল আবার গোলাপ ফুলও
নিবেদন করা হয় । এর অর্থ তো কেউই জানে না । এই সময় বাচ্চারা, তোমাদের বাবা পড়ান,
কোনো মানুষ পড়ান না । আর সম্পূর্ণ দুনিয়ায় মানুষ মানুষকে পড়ায় । তোমাদের ভগবান পড়ান
। কোনো মানুষকে কখনোই ভগবান বলা হয় না । লক্ষ্মী - নারায়ণকেও ভগবান নয়, তাঁদের দেবতা
বলা হয় । ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শঙ্করকেও দেবতা বলা হবে ভগবান হলেন এক বাবা, তিনি হলেন
সমস্ত আত্মাদের বাবা । সবাই বলেও থাকে - হে পরমপিতা পরমাত্মা । তাঁর প্রকৃত নাম হলো
শিব, আর বাচ্চারা, তোমরা হলে শালগ্রাম । পণ্ডিতরা যখন রুদ্র যজ্ঞের রচনা করে, তখন
শিবের অনেক বড় লিঙ্গ বানানো হয়, আর ছোটো ছোটো শালগ্রাম বানানো হয় । আত্মাদের
শালগ্রাম বলা হয় । পরমাত্মাকে শিব বলা হয় । তিনিই হলেন সকলের বাবা, আমরা সকলেই
হলাম ভাই - ভাই, বলাও হয় ব্রাদারহুড । বাবার সন্তান আমরা হলাম ভাই - ভাই । তাহলে
ভাই - বোন কিভাবে হলাম? প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ দ্বারা প্রজার রচনা করা হয় । তারা
হলো ব্রাহ্মণ আর ব্রহ্মাণী । আমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান, তাই আমাদের বি .কে বলা
হয় । আচ্ছা, ব্রহ্মাকে কে জন্ম দিয়েছে? ভগবান । ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শঙ্কর - এ সবই
হলো ক্রিয়েশন । সূক্ষ্মবতনেরও রচনা হয়েছে । ব্রহ্মা মুখ কমল থেকে তোমার বাচ্চারা
বেরিয়েছো । তোমাদের ব্রাহ্মণ - ব্রাহ্মণী বলা হয় । তোমার ব্রহ্মার সন্তান ব্রহ্মা
মুখ বংশাবলী । প্রজাপিতা ব্রহ্মা কিভাবে সন্তানের জন্ম দেবেন? অবশ্যই তিনি অ্যাডপ্ট
করবেন। গুরুদের ফলোয়াররা যেমন অ্যাডপ্টেড হয় , তাদের বলা হবে শিষ্য । তাই প্রজাপিতা
ব্রহ্মা সম্পূর্ণ দুনিয়ার পিতা হয়ে গেলেন । তাঁকে বলা হয় গ্রেট - গ্রেট -
গ্র্যান্ড ফাদার । প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে তো এখানেই চাই, তাই না । সূক্ষ্মবতনেও
ব্রহ্মা আছেন । ব্রহ্মা - বিষ্ণু.- শঙ্কর এই নামের মহিমা করা হয়, কিন্তু সূক্ষ্ম
বতনে তো প্রজা থাকেই না । প্রজাপিতা ব্রহ্মা কে, এসব বাবা বসেই বোঝান । ওই
ব্রাহ্মণরাও নিজেদের ব্রহ্মার সন্তান বলে পরিচয় দেন । ব্রহ্মা এখন কোথায় আছেন? তোমরা
বলবে এখানে বসে আছেন, ওরা বলবে, এ অনেক আগে হয়ে গেছে । ওরা তো নিজেদের পূজারী
ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দেয় । তোমরা তো এখন প্র্যাকটিক্যালে আছো । প্রজাপিতা ব্রহ্মার
সন্তান তোমরা নিজেদের মধ্যে ভাই - বোন হয়ে গেছো । ব্রহ্মাকে শিববাবা দত্তক নিয়েছেন
। তিনি বলেন, আমি এই বৃদ্ধ শরীরে প্রবেশ করে তোমাদের রাজযোগ শেখাই । মানুষকে দেবতা
তৈরী করা, এ কোনো মানুষের কাজ নয় । বাবাকেই রচয়িতা বলা হয় । ভারতবাসী এও জানে যে,
শিবজয়ন্তীও পালন করা হয় । শিব হলেন আমাদের বাবা । মানুষ এও জানে না যে, দেবী -
দেবতাদের এই রাজ্য কে দিয়েছিলেন? স্বর্গের রচয়িতা হলেনই পরমাত্মা, যাঁকে পতিত -
পাবন বলা হয় । আত্মা মূল স্বরূপে পবিত্র হয়, তারপর সতঃ, রজঃ এবং তমঃতে আসে ।
এইসময় কলিযুগে সকলেই তমোপ্রধান, সত্যযুগে সতোপ্রধান ছিল । আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর
পূর্বে এই লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্য ছিলো । ২৫০০ বছর দেবতাদের ডিনায়স্টি (রাজত্ব)
চলেছিলো । তাদের সন্তানরাও রাজত্ব করেছিলো । লক্ষ্মী - নারায়ণ দি ফার্স্ট, দ্য
সেকেণ্ড, এমনভাবে চলতে থাকে । মানুষ এইসব বিষয়ে কিছুই জানে না । এই সময় হলো সকলেই
তমোপ্রধান এবং পতিত । এখানে একজন মানুষও পবিত্র থাকতে পারে না । সকলেই ডাকতে থাকে,
হে পতিত পাবন, এসো । তাহলে এ তো পতিত দুনিয়াই হলো তাই না । একেই কলিযুগ বা নরক বলা
হয় । নতুন দুনিয়াকে স্বর্গ, পাবন দুনিয়া বলা হয় । এরপরে আবার কি করে পতিত হয়, এ
কেউই জানে না । ভারতে এমন একজনও মানুষ নেই, যে নিজের ৮৪ জন্মকে জানে । মানুষ
ম্যাক্সিমাম ৮৪ জন্ম নেয় আর মিনিমাম এক জন্ম ।
ভারতকে অবিনাশী খণ্ড
মানা হয়, কেননা এখানেই শিববাবার অবতরণ হয় ভারত খণ্ডের কখনোই বিনাশ সম্ভব নয় । বাকি
যা অনেক খণ্ড আছে, তার বিনাশ হয়ে যাবে । এই সময় আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্ম
প্রায় লোপ হয়ে গেছে । কেউই এখন নিজেদের দেবতা বলে না, কেননা দেবতারা ছিলেন
সতোপ্রধান, পবিত্র । এখন তো সকলেই পতিত এবং পূজারী হয়ে গেছে । এও বাবাই বসে বোঝান
। ভগবান উবাচঃ, তাই না ! ভগবান হলেন সকলের বাবা, তিনি একই বার এই ভারতে আসেন । তিনি
কবে আসেন? এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে । এই সঙ্গম যুগকেই পুরুষোত্তম বলা হয় । এই
সঙ্গম যুগ হলো কলিযুগ থেকে সত্যযুগ আর পতিত থেকে পাবন হওয়ার যুগ । কলিযুগে থাকে
পতিত মানুষ, সত্যযুগে থাকে পবিত্র দেবতা, তাই এই যুগকে বলা হয় পুরুষোত্তম সঙ্গম
যুগ, যখন বাবা এসে পতিত থেকে পাবন করেন । তোমরা এখানে এসেছো মানুষ থেকে পুরুষোত্তম
দেবতা হতে । মানুষ তো একথাও জানে না যে, আমরা আত্মারা নির্বাণধামে থাকি । সেখান
থেকেই পার্ট প্লে করতে আসি । এই নাটকের আয়ু হলো ৫ হাজার বছর । আমরা এই অসীম জগতের
নাটকে পার্ট প্লে করি । এখানে সব মানুষই পার্ট ধারণকারী । এই নাটকের চক্র ঘুরতেই
থাকে । কখনোই তা বন্ধ হয় না । এই নাটকে প্রথমের দিকে সত্যযুগে অভিনয় করতে আসে দেবী
- দেবতা । তারপর ত্রেতাতে আসে ক্ষত্রিয় । এই নাটককেও তো জানা চাই, তাই না । এ হলো
কাঁটার জঙ্গল । এখানে সব মানুষই দুঃখী । কলিযুগের পরে আবার সত্যযুগ আসে ।কলিযুগে তো
অনেক মানুষ, সত্যযুগে কতো মানুষ থাকবে? খুবই অল্প । আদি সনাতন সূর্যবংশী দেবী
দেবতাই থাকবে । এই পুরানো দুনিয়ার এখন পরিবর্তন হতে হবে । মনুষ্য সৃষ্টি থেকে আবার
দেবতাদের সৃষ্টি হবে । ভারতে আদি সনাতন দেবী দেবতাদের ধর্ম ছিলো কিন্তু এখন তোমরা
নিজেদের দেবতা বলো না । তোমরা নিজের ধর্মই ভুলে গেছো । এ কেবল ভারতবাসীই, যারা
নিজের ধর্ম ভুলে গেছে, হিন্দুস্থানে থাকার কারণে নিজেদের হিন্দু বলে দেয় । দেবতারা
পবিত্র ছিলো, এরা হলো পতিত, তাই নিজেদের দেবতা বলতে পারে না । তারা দেবতাদের পূজা
করতে থাকে । নিজেদের পাপী - নীচ বলে । বাবা এখন বোঝাচ্ছেন, তোমরাই পূজ্য ছিলে, আবার
তোমরাই পূজারী পতিত হয়েছো । 'আমিই সেই' এই অর্থও তিনি বুঝিয়েছেন । ওরা তো বলে দেয়
আত্মাই পরমাত্মা । এ হলো মিথ্যা মায়া - সত্যযুগে এমন বলবে না । বাবা সত্যখণ্ডের
স্থাপনা করেন, রাবণ করে মিথ্যা খণ্ডের স্থাপনা । আত্মা কি - আর পরমাত্মা কি - এও
বাবা এসেই বোঝান । এও কেউই জানে না । বাবা বলেন, তুমি আত্মা বিন্দু, তোমাদের মধ্যে
৮৪ জন্মের পার্ট নির্ধারিত রয়েছে । আমি আত্মা কেমন - এ কেউই জানে না । আমি
ব্যরিস্টার, আমি অমুক - এ কথা জানে, বাকি আত্মাকে একজনও মানে না । বাবা এসেই পরিচয়
দেন । তোমাদের আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট অবিনাশী ভাবে নির্ধারিত হয়ে আছে, যা
কখনোই বিনাশ হতে পারে না । এই ভারত ছিল গার্ডেন অফ ফ্লাওয়ার । সুখই সুখ ছিলো, এখন
দুঃখই দুঃখ রয়েছে । বাবা এই নলেজ দেন ।
বাচ্চারা, তোমরা
বাবার কাছে এখন নতুন নতুন কথা শোনো । সবথেকে নতুন কথা হলো - তোমাদের এখন মানব থেকে
দেবতা হতে হবে । তোমরা জানো যে, মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পড়া কোনো মানুষ পড়ায় না,
ভগবান পড়ান । সেই ভগবানকে সর্বব্যাপী বলা - এ তো গালি দেওয়া হয়ে গেলো । বাবা এখন
বোঝাচ্ছেন - আমি প্রতি ৫ হাজার বছর পরে এসে এই ভারতকে স্বর্গ বানাই । রাবণ বানায়
নরক । এই কথা দুনিয়ার আর কেউই জানে না । বাবা এসেই তোমাদের মানুষ থেকে দেবতা বানায়
। এমন কথাও আছে যে - "দুর্গন্ধ যুক্ত ময়লা কাপড় পরিস্কার করে....." (মূত পলিথিন
কাপড়ে ধোয়ে) । ওখানে বিকার থাকে না । সে হলো সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া । এখন হলো
বিকারী দুনিয়া । মানুষ ডাকেও - হে পতিত পাবন, এসো । রাবণ আমাদের পতিত বানিয়েছে,
কিন্তু জানেই না যে রাবণ কবে এসেছে, কি হয়েছিলো । রাবণ কতো কাঙ্গাল করে দিয়েছে । ৫
হাজার বছর পূর্বে ভারত কতো বিত্তবান ছিলো । সেখানে সোনা - হীরে - জহরতের মহল ছিলো ।
সেখানে কতো ধন - সম্পদ ছিলো । এখন এখানকার পরিস্থিতি কি ! তাই বাবা ব্যতীত আর কেউই
মুকুটধারী বানাতে পারে না । তোমরা এখন বলো - শিববাবা ভারতকে হেভেন বানান । বাবা এখন
বলছেন - মৃত্যু সামনে উপস্থিত । তোমরা হলে বানপ্রস্থী । এখন তোমাদের ফিরে যেতে হবে
তাই নিজেকে আত্মা মনে করো, মামেকম্ স্মরণ করো, তাহলেই পাপ ভস্ম হয়ে যাবে । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আমরা হলাম ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ, স্বয়ং ভগবান আমাদের মানুষ থেকে দেবতা
হওয়ার পাঠ পড়াচ্ছেন, এই নেশা এবং খুশীতে থাকতে হবে । পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে
পুরুষোত্তম হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে ।
২ ) এখন আমাদের
বাণপ্রস্থ অবস্থা, মৃত্যু সামনে উপস্থিত, আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে - তাই বাবার
স্মরণে সকল পাপ ভস্ম করতে হবে ।
বরদান:-
নলেজরূপী চাবির দ্বারা ভাগ্যের অপরিসীম খাজানা প্রাপ্তকারী মালামাল ভব
সঙ্গম যুগে সকল
বাচ্চাদের ভাগ্য বানানোর জন্য নলেজরূপী চাবি প্রাপ্ত হয়। এই চাবি লাগাও আর যত চাও
তত ভাগ্যের খাজানা নাও। চাবি প্রাপ্ত করলে আর মালামাল হয়ে গেলে। যে যত মালামাল হয়
ততই খুশী স্বতঃ থাকে। এমন অনুভব হয় যে যেন খুশীর ঝরণা অক্ষুণ্ণ অবিনাশী প্রবাহিত
হতেই থাকে। তাদেরকে সর্ব খাজানার দ্বারা ভরপুর মালামাল দেখা যায়। তাদের কাছে কোনও
প্রকারের অপ্রাপ্তি থাকে না।
স্লোগান:-
বাবার
সাথে কানেকশন ঠিক রাখো তাহলে সর্ব শক্তির কারেন্ট আসতেই থাকবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
আত্মিক রয়্যাল্টি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো
যত পবিত্রতা রয়েছে
ততখানিই ব্রাহ্মণ জীবনের পার্সোনালিটি রয়েছে, যদি পবিত্রতা কম তো পার্সোনালিটিও কম।
এই পিওরিটির পার্সোনালিটি সেবাতেও সহজ সফলতা প্রদান করে। কিন্তু যদি একটা বিকারের
অংশ মাত্রও থাকে তাহলে তার অন্যান্য সাথীগুলিও তার সাথে অবশ্যই থাকবে। যেরকম
পবিত্রতার সাথে সুখ-শান্তির গভীর সম্বন্ধ আছে, সেইরকম অপবিত্রতারও পাঁচ বিকারের সাথে
গভীর সম্বন্ধ আছে এইজন্য কোনও বিকারের অংশমাত্রও যেন না থাকে, তখন বলা হবে
পবিত্রতার পার্সোনালিটির দ্বারা সেবা করে থাকা আত্মা।