31.07.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা নিজেদের টাইম ওয়েস্ট করবে না, মনে মনে জ্ঞানের মন্থন করতে থাকো, তাহলে
নিদ্রাজিত হয়ে যাবে, ক্লান্তি আসবে না"
প্রশ্নঃ -
তোমরা বাচ্চারা
বাবার কাছে সমর্পণ (ফিদা হয়েছো) করেছো কেন ? সমর্পিত হওয়ার অর্থ কি?
উত্তরঃ
সমর্পিত হওয়া
অর্থাৎ বাবার স্মরণে সমাহিত হয়ে যাওয়া । যখন স্মরণে সমাহিতত হয়ে যাও তখন আত্মা
রূপী ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়। আত্মা রূপী ব্যাটারি নিরাকার পিতার সঙ্গে যুক্ত হলেই
ব্যাটারি চার্জড হয়, বিকর্ম বিনাশ হয়। পুণ্য জমা হয় ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা
(রূহানী বাবা) বসে আত্মা রূপী বাচ্চাদের (রূহানী বাচ্চাদের) বোঝাচ্ছেন, এখন এখানে
তোমরা শরীর সহ অর্থাৎ দেহধারী হয়ে বসে আছো। জানো যে এই শরীর হলো মৃত্যু লোকে অন্তিম
শরীর। তারপরে কি হবে? তারপরে বাবার সঙ্গে শান্তিধামে একত্রিত হবে। এই শরীরটি থাকবে
না তারপরে স্বর্গে আসবে তাও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে, সবাই তো একসাথে আসবে
না। এই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। যেমন বাবা হলেন শান্তির সাগর, সুখের সাগর, বাচ্চাদেরও
এমন শান্তির, সুখের সাগর বানাচ্ছেন এর পরে শান্তিধামে গিয়ে বিরাজমান হতে হবে। অতএব
বাবাকে, নিজের ঘর পরমধামকে এবং সুখধামকে স্মরণ করতে হবে। এখানে তোমরা যত এই অবস্থায়
স্থির হয়ে বসো, তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পাপ ভস্ম হয়, একেই বলা হয় যোগাগ্নি।
সন্ন্যাসীরা সর্ব শক্তিমানের সঙ্গে যোগ যুক্ত হয় না। সন্ন্যাসীরা বাস স্থান অর্থাৎ
ব্রহ্মের সঙ্গে যোগ যুক্ত হয়। তারা হলো তত্ত্ব যোগী, ব্রহ্ম বা তত্ত্বের সাথে যোগ
যুক্তকারী। এখানে জীবাত্মাদের খেলা হয়, সেখানে সুইট হোমে শুধুমাত্র আত্মারা বাস করে।
সেই সুইট হোমে অর্থাৎ পরমধামে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ দুনিয়া পুরুষার্থ করে।
সন্ন্যাসীরাও বলে আমরা যেন ব্রহ্মে বিলীন হই। এমন বলে না আমরা গিয়ে ব্রহ্মে বাস করি।
এই কথা তো তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝেছো। ভক্তি মার্গে কত পরস্পর বিরোধী কথা শুনতে থাকে
। এখানে তো বাবা এসে মাত্র শুধু দুটি শব্দ বোঝান। যেমন মন্ত্র জপ হয় । কেউ গুরুকে
স্মরণ করে, কেউ অন্য কাউকে স্মরণ করে, স্টুডেন্ট টিচারকে স্মরণ করে। এখন বাচ্চারা
তোমাদের শুধুমাত্র শিব পিতা ও পরমধাম স্মরণে আছে। বাবার কাছে তোমরা উত্তরাধিকার
প্রাপ্ত করো শান্তিধাম ও সুখধামের। সেটাই স্মরণে থাকে। মুখে কিছু বলতে হবে না।
তোমাদের বুদ্ধিতে আছে শান্তিধামের পরে হল সুখধাম। আমরা প্রথমে মুক্তিতে তারপরে
জীবনমুক্তিতে যাব। মুক্তি-জীবনমুক্তি দাতা হলেন একমাত্র বাবা। বাবা বাচ্চাদের বার
বার বোঝান - টাইম ওয়েস্ট করা উচিত নয়। জন্ম-জমান্তরের পাপের বোঝা মাথায় রয়েছে ।
এই জন্মের পাপ কর্মের কথা তো স্মৃতিতে রয়েছে । সত্যযুগে এইরূপ কিছু হয় না। এখানে
বাচ্চারা জানে জন্ম-জন্মান্তরের পাপের বোঝা রয়েছে । এক নম্বরে হলো কাম বিকারের
বিকর্ম, যে বিকর্ম জন্ম-জন্মান্তর করে এসেছো আর বাবার অনেক নিন্দাও করেছো । বাবা
যিনি সকলকে সদগতি দেন, তাঁরও অনেক নিন্দা করেছো। এইসব কথা বুদ্ধিতে রাখতে হবে। এখন
যত পারো বাবাকে স্মরণ করার পুরুষার্থ করতে হবে। বাস্তবে বাঃ সদ্গুরু (সবই সদ্গুরুর
চমৎকারিত্ব) বলা হয়, গুরু নয়। বাঃ গুরু -এই কথার কোনও অর্থ নেই। বাঃ সদ্গুরু!
মুক্তি-জীবনমুক্তি তিনিই প্রদান করেন, তাই না। জাগতিক গুরু তো অনেক অনেক রয়েছে ।
ইনি হলেন একমাত্র সদ্গুরু । তোমরা গুরু তো অনেক করেছো। প্রতি জন্মে ২-৪ টে করে গুরু
করা হয়। গুরু করেও অন্য অন্য স্থানে যায়। হয়তো আশা থাকে এর চেয়ে ভালো পথ প্রাপ্ত হবে,
ট্রায়াল করতú