23.12.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা বাবার কাছে রিফ্রেশ হতে আসো, বাবার সাথে মিলিত হলে ভক্তিমার্গের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়"

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, বাবা তোমাদের কোন্ বিধিতে রিফ্রেশ করেন?

উত্তরঃ  
১) বাবা জ্ঞান শুনিয়ে তোমাদের রিফ্রেশ করে দেন । ২ ) বাচ্চারা, স্মরণের দ্বারাও তোমরা রিফ্রেশ হয়ে যাও । বাস্তবে সত্যযুগ হলো প্রকৃত বিশ্রামপুরী । ওখানে কোনো অপ্রাপ্ত বস্তু নেই, যা প্রাপ্ত করার জন্য পরিশ্রম করতে হয় । ৩ ) শিব বাবার কোলে এলেই তোমরা বাচ্চারা বিশ্রাম পেয়ে যাও । সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় ।

ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে বোঝান, সাথে এই দাদাও বোঝান, কেননা বাবা এই দাদার দ্বারা বসে বোঝান । তোমরা যেমন বোঝো, তেমনই এই দাদাও বোঝেন । দাদাকে ভগবান বলা হয় না, এ হলো ভগবান উবাচঃ । বাবা কি বোঝান? দেহী অভিমানী ভব, কেননা নিজেকে আত্মা মনে না করলে পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করতে পারবে না । এই সময় তো সমস্ত আত্মারাই পতিত । পতিতকেই মনুষ্য বলা হয়, পাবনকে দেবতা বলা হয় । এ খুব সহজ বোঝা এবং বোঝানোর কথা । মানুষই ডাকতে থাকে - হে পতিত পাবন, এসো । দেবী দেবতারা এভাবে কখনোই বলবে না । পতিত পাবন বাবা পতিতদের আহ্বানের কারণেই আসেন । তিনি আত্মাদের পাবন বানান, আবার পাবন দুনিয়াও স্থাপন করেন । আত্মাই বাবাকে ডাকতে থাকে । শরীর তো আর ডাকবে না । পারলৌকিক বাবা, যিনি সদা পাবন, সবাই তাঁকেই স্মরণ করে । এ হলো পুরানো দুনিয়া । বাবা নতুন পাবন দুনিয়া তৈরী করেন । কেউ কেউ তো আবার এমনও আছে, যারা বলে, আমার তো এখানেই অপার সুখ, ধন - সম্পদ তো অনেক আছে । তারা মনে করে, আমাদের জন্য স্বর্গ এখানেই । ওরা তোমাদের কথা কিভাবে মানবে? কলিযুগী দুনিয়াকে স্বর্গ মনে করা - এও অবুঝের মতো । কতো জর্জরিভূত অবস্থা হয়ে গেছে । তাও মানুষ বলে যে, আমরা তো স্বর্গে বসে আছি । বাচ্চারা বোঝাতে না পারলে বাবা তো বলবেন - তোমরা কি পাথর বুদ্ধির নাকি? অন্যদের বোঝাতে পারো না? নিজে যখন পারস বুদ্ধির হবে তখনই তো অন্যদেরও তৈরী করতে পারবে । খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ করতে হবে, এতে লজ্জার কোনো কথা নেই, কিন্তু মানুষের বুদ্ধিতে অর্ধেক কল্পের যে উল্টো মত ভরে আছে, তা কেউ শীঘ্র ভুলে যায় না । যতক্ষণ না বাবাকে যথার্থ রীতিতে চিনেছে, ততক্ষণ সেই শক্তি আসতে পারে না । বাবা বলেন যে, এই বেদ শাস্ত্র ইত্যাদিতে মানুষ কিছুই শুধরায় না । দিনে - দিনে আরো খারাপ হয়ে এসেছে । সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়ে গেছে । একথা কারোরই বুদ্ধিতে নেই যে, আমরাই সতোপ্রধান দেবী - দেবতা ছিলাম, কিভাবে এখন নীচে নেমে এসেছি । কেউ সামান্যতমও জানে না, আবার ৮৪ জন্মের পরিবর্তে তারা সেখানে ৮৪ লাখ জন্ম বলে দিয়েছে, তাহলে তা কিভাবে জানবে? বাবা ব্যতীত জ্ঞানের আলোকদানকারী আর কেউই নেই । সকলেই একে অপরের পিছনে দরজায় দরজায় ধাক্কা খেতেই থাকে । নীচে নামতে নামতে একেবারে তলানিতে এসে গিয়েছে, সব শক্তিই শেষ হয়ে গিয়েছে । বুদ্ধিতেও সেই শক্তি নেই যে, বাবাকে যথার্থ জানতে পারে । বাবা এসেই সকলের বুদ্ধির তালা খুলে দেন । তাই তখন কতো রিফ্রেশ হয় । বাবার কাছে বাচ্চারা রিফ্রেশ হতে আসে । ঘরে তো বিশ্রাম পাওয়া যায়, তাই না । বাবার সাথে মিলিত হলে ভক্তিমার্গের সব পরিশ্রম দূর হয়ে যায় । সত্যযুগকেও বিশ্রামপুরী বলা হয় । ওখানে তোমরা কতো বিশ্রাম পাও । ওখানে কোনো অপ্রাপ্ত বস্তু নেই, যার জন্য তোমাদের পরিশ্রম করতে হবে । এখানে তো বাবাও রিফ্রেশ করেন আর দাদাও রিফ্রেশ করেন । শিব বাবার কোলে এলে কতো বিশ্রাম পাওয়া যায় । বিশ্রামের অর্থই হলো শান্তি । মানুষও পরিশ্রান্ত হয়ে বিশ্রামী হয়ে যায় । কেউ কোথাও, কেউ আবার অন্য কোথাও বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তো যায়, তাই না । কিন্তু সেই বিশ্রামে কোনো রিফ্রেশমেন্ট থাকে না । এখানে তো বাবা তোমাদের জ্ঞান শুনিয়ে কতো রিফ্রেশ করেন । বাবার স্মরণে তোমরা কতো রিফ্রেশ হও আর তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধানও হয়ে যাও । তোমরা সতোপ্রধান হওয়ার জন্য এখানে বাবার কাছে আসো । বাবা বলেন - মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, বাবাকে স্মরণ করো । বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন যে, সম্পূর্ণ সৃষ্টির চক্র কিভাবে ঘোরে, সর্ব আত্মারা কোথায় এবং কিভাবে বিশ্রাম পায় । বাচ্চারা, তোমাদের কর্তব্য হলো - সবাইকে বাবার পরিচয় দান করা । বাবা বলেন যে, তোমরা যদি আমাকে স্মরণ করো তাহলে এই উত্তরাধিকারের মালিক হয়ে যাবে । বাবা এই সঙ্গম যুগে নতুন স্বর্গের দুনিয়া রচনা করেন । তোমরা যেখানে গিয়ে মালিক হও । তারপর দ্বাপর যুগে মায়া রাবণের দ্বারা তোমরা শাপিত হও, তখন পবিত্রতা, সুখ, শান্তি, ধন ইত্যাদি সব শেষ হয়ে যায় । কিভাবে তা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যায়,, সেও বাবাই বুঝিয়েছেন । দুঃখধামে তো বিশ্রাম হয়ই না । সুখধামে বিশ্রামই বিশ্রাম । মানুষকে ভক্তি কতো ক্লান্ত করে । জন্ম - জন্মান্তরে ভক্তিতে কতো ক্লান্ত হয়ে যায় । কিভাবে তোমরা একদম কাঙ্গাল হয়ে গেছো, এই সম্পূর্ণ রহস্য বাবা বসে বোঝান । নতুনরা যখন আসে, তখন তাদের কতো বোঝাতে হয় । মানুষ প্রতিটি কথায় কতো চিন্তা করে । মনে করে, এ জাদু না হয় । আরে, তোমরাই বলো, ভগবান জাদুগর । বাবা তাই বলেন, হ্যাঁ, আমি বরাবর জাদুগর, কিন্তু সেই জাদু নয়, যাতে মানুষ ভেড়া,ছাগল হয়ে যাবে । বুদ্ধির দ্বারা বুঝতে হবে যে, কারা এমন ছাগলের মতো । এমনও গায়ন আছে যে... ছাগল কিভাবে স্বর্গীয় সুরের অনুভব করবে ...। এই সময় সমস্ত মানুষই যেন ভেড়া - ছাগলের মতো । এই সমস্ত কথা এখনকারই । এই সময়েরই গায়ন । কল্পের শেষের অবস্থাও মানুষ বুঝতে পারে না । চণ্ডিকা দেবীর কতো বড় মেলার আয়োজন হয় । তিনি কে ছিলেন? বলা হয় যে, তিনি এক দেবী ছিলেন । এমন নাম তো ওখানে থাকেই না । সত্যযুগে কতো সুন্দর নাম হয় । সত্যযুগী সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠাচারী বলা হয় । কলিযুগী সম্প্রদায়কে তো কতো ছিঃ - ছিঃ টাইটেল দেয় । এখনকার মানুষদের শ্রেষ্ঠ বলা যাবে না । দেবতাদের শ্রেষ্ঠ বলা হয় । এমন গায়নও আছে যে... মানুষ থেকে দেবতা হতে সময় লাগে না । মানুষ থেকে দেবতা আর দেবতা থেকে মানুষ কিভাবে হয়, এই রহস্য বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন । সত্যযুগকে ডিটি ওয়ার্ল্ড আর কলিযুগকে হিউম্যান ওয়ার্ল্ড বলা হয় । দিনকে আলোর প্রকাশ আর রাতকে অন্ধকার বলা হয় । জ্ঞান হলো প্রকাশ আর ভক্তি হলো অন্ধকার । অজ্ঞান নিদ্রা বলা হয় তো, তাই না । তোমরাও বুঝতে পারো যে, পূর্বে আমরা কিছুই জানতাম না, তাই 'নেতি - নেতি ( এটাও না ...ওটাও না ) এমন বলে দিতো, অর্থাৎ আমি জানি না । তোমরা এখন বুঝতে পারো - আমরাও তো পূর্বে নাস্তিক ছিলাম । অসীম জগতের পিতাকেই জানতাম না । তিনিই হলেন প্রকৃত অবিনাশী বাবা । তাঁকে সর্ব আত্মার পিতা বলা হয় । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে - আমরা এখন সেই অসীম জগতের পিতার হয়েছি । বাবা বাচ্চাদের গুপ্ত জ্ঞান প্রদান করেন । এই জ্ঞান কোনো মানুষের কাছেই পাওয়া সম্ভব নয় । আত্মাও গুপ্ত, আর এই গুপ্ত জ্ঞান আত্মা ধারণ করে । আত্মাই মুখের দ্বারা জ্ঞান শোনায় । আত্মাই গুপ্ত বাবাকে গুপ্তভাবে স্মরণ করে ।

বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা দেহ অভিমানী হয়ো না । এই দেহ বোধের কারণে আত্মার শক্তি শেষ হয়ে যায় । আত্ম অভিমানী হলে আত্মার শক্তি জমা হয় । বাবা বলেন - তোমাদের এই ড্রামার রহস্যকে খুব ভালোভাবে বুঝে চলতে হবে । এই অবিনাশী ড্রামার রহস্যকে যে খুব ভালোভাবে জানে, সে সদা প্রফুল্লিত থাকে । এই সময় মনুষ্য উপরে যাওয়ার কতো প্রয়াস করে, তারা মনে করে যে, উপরে দুনিয়া আছে । শাস্ত্রে শুনে রেখেছে যে, উপরে দুনিয়া আছে, তাই ওখানে গিয়ে দেখে । ওখানে দুনিয়া বসানোর প্রয়াস করে । দুনিয়া তো অনেকই বসিয়েছে, তাই না । ভারতে কেবল একই আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্ম ছিলো, আর কোনো খন্ড ইত্যাদি ছিলো না । তারপর কতো বসতি তৈরী করা হয়েছে । তোমরা বিচার করে দেখো যে, ভারতের কতো ছোটো অংশে দেবতারা ছিলেন । যমুনার তীরেই পরীস্থান ছিলো, যেখানে লক্ষ্মী - নারায়ণ রাজত্ব করতেন । তখন কতো সুন্দর শোভায়মান সতোপ্রধান দুনিয়া ছিলো । ন্যাচারাল বিউটি ছিলো । আত্মার মধ্যেই সমস্ত চমৎকার থাকে । বাচ্চাদের দেখানো হয়েছে যে, কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় । সম্পূর্ণ মহল রোশনাই হয়ে যায় । তাই বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান, তোমরা এখন সেই পরীস্থানে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো । বাকি এমন নয় যে - নদীর জলে ডুব দিলেই পরী হয়ে যাবে । এসবই মিথ্যা গল্প বলা হয়েছে । লাখ বর্ষ বলে দেওয়ার কারণে সবই সম্পূর্ণ ভুলে গেছে । এখন তোমরা পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে নির্ভুল তৈরী হচ্ছো । বিচার করে দেখা হয় যে - এতো ছোটো আত্মা শরীরের দ্বারা কতো বড় পার্ট প্লে করে, তারপর সেই শরীর থেকে যখন আত্মা নির্গত হয়ে যায়, তখন শরীরের দেখো কি দশা হয়ে যায় । আত্মা পার্ট প্লে করে । এ কতো বড় চিন্তা করে দেখার মতো কথা । সারা দুনিয়ার অ্যাক্টর্স (আত্মারা ) তাদের নিজেদের অ্যাক্ট অনুযায়ীই পার্ট প্লে করে । কিছুই তফাৎ হতে পারে না । সমস্ত অ্যাক্ট হুবহু আবারও রিপিট হচ্ছে । এতে তোমরা সংশয় করতে পারো না । প্রত্যেকের বুদ্ধিতেই তা বোঝাতে পৃথক ভাব হতে পারে কেননা আত্মা তো মন - বুদ্ধি সহিত, তাই না । বাচ্চারা জানে যে, আমাদের স্কলারশিপ গ্রহণ করতে হবে, তাই অন্তরে তারা খুশী হয় । এখানেও অন্দরে প্রবেশ করলেই এইম অবজেক্ট সামনে দেখে, তাহলে খুশী তো অবশ্যই হবে । এখন তোমরা জানো যে, আমরা এইরকম দেবী - দেবতা হওয়ার জন্য এখানে পড়াশোনা করছি । এমন কোনো স্কুল নেই যেখানে পরবর্তী জন্মের এইম অবজেক্টকে দেখা যেতে পারে । তোমরা দেখো যে, আমরা লক্ষ্মী - নারায়ণের মতো তৈরী হচ্ছি । এখন আমরা এই সঙ্গম যুগে আছি, যেখানে এই লক্ষ্মী - নারায়ণের মতো হওয়ার পড়া পড়ছি । এই পাঠ কতো গুপ্ত । এই এইম অবজেক্টকে দেখে কতো খুশী হওয়া উচিত । খুশীর কোনো পারাবার নেই । স্কুল বা পাঠশালা হলে এমন হওয়া উচিত । কতো গুপ্ত অথচ জোরদার পাঠশালা । যত উচ্চ পড়াশোনা, ততই ফেসিলিটি থাকে, কিন্তু এখানে তোমরা মাটিতে বা সিংহাসনে বসে পড়ো । আত্মাদের পড়তে হয়, সে মাটিতে বসেই হোক বা সিংহাসনে, তোমরা কিন্তু খুশীতে লাফাতে থাকো যে আমরা এই পড়া পাস করে এই হবো । বাচ্চারা, বাবা এখন এসে তোমাদের তাঁর পরিচয় প্রদান করেছেন যে, আমি এনার মধ্যে কিভাবে প্রবেশ করে তোমাদের পড়াই । বাবা তো আর দেবতাদের পড়াবেন না । দেবতাদের এই জ্ঞান কোথায়? মানুষ তো দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে থাকে যে, দেবতাদের মধ্যে জ্ঞান নেই কি ! দেবতারাই এই জ্ঞানের দ্বারা দেবতা হন । দেবতা হওয়ার পরে এই জ্ঞানের আর কি প্রয়োজন । লৌকিক পড়ার দ্বারা ব্যারিস্টার হয়ে গেলো, উপার্জনে লেগে গেলো, তখন আর ব্যারিস্টারী পড়বে কি? আচ্ছা !

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ, সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) অবিনাশী ড্রামার রহস্যকে যথার্থ রীতিতে বুঝে প্রফুল্লিত থাকতে হবে । এই ড্রামাতে প্রতিটি অ্যাক্টরের পার্ট তার নিজের - নিজের, যা হুবহু প্লে করে চলেছে ।

২ ) এইম অবজেক্টকে সামনে রেখে খুশীর সাথে লাফ দিতে হবে । বুদ্ধিতে যেন থাকে যে, আমরা এই পড়ার দ্বারা এমন লক্ষ্মী - নারায়ণের মতো হবো ।

বরদান:-
স্মরণ আর সেবার শক্তিশালী আধারের দ্বারা তীব্রগতির সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে মায়াজিৎ ভব ।

ব্রাহ্মণ জীবনের আধার হলো স্মরণ এবং সেবা, এই দুই আধার যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে তীব্রগতির সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকবে । যদি সেবা বেশী হয় আর স্মরণ কমজোর হয় অথবা স্মরণ খুব ভালো হলো আর সেবা ভালো হলো না, তাহলেও তীব্রগতির সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারবে না । স্মরণ আর সেবা দুইয়েতেই তীব্রগতির প্রয়োজন । স্মরণ আর নিঃস্বার্থ সেবা যদি সাথে সাথে থাকে, তাহলেই মায়াজিৎ হওয়া সহজ হবে । প্রতিটি কর্মে কর্মের সমাপ্তির পূর্বেই সদা বিজয় নজরে আসবে ।

স্লোগান:-
এই সংসারকে অলৌকিক খেলা আর পরিস্থিতিকে অলৌকিক খেলনার সমান মনে করে চলো ।