26.04.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ, তোমরা এখন ঈশ্বরের কোলে এসেছো, তোমরা মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হও তাই তোমাদের দৈবী-গুণও চাই"

প্রশ্নঃ -
কোন্ বিষয়ে ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের নিজেদের উপরে অনেক-অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় এবং কেন?

উত্তরঃ  
সারাদিনের দৈনন্দিন-কার্যে যেন কোনও পাপকর্ম না হয় তার প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ তোমাদের সম্মুখে বাবা ধর্মরাজ রূপে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। চেক করো যে, কাউকে দুঃখ দাও নি তো? শ্রীমতানুযায়ী কত শতাংশ চলো? রাবণের মতানুসারে চলো না তো? কারণ বাবার হয়ে যাওয়ার পরও (সমর্পিত) যদি বিকর্ম হয় তবে একের (একটি পাপের) শতগুণ (সাজা) হয়ে যায়।

ওম্ শান্তি ।
ভগবানুবাচ। এ কথা তো তোমাদের বোঝানো হয়েছে যে, কোনো মানুষ বা দেবতাকে ভগবান বলা যেতে পারে না। যখন যেখানে বসে তখন বুদ্ধিতে একথা থাকে যে, আমরা হলাম সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ। একথাও কারোর স্মরণে থাকে না। সত্যি-সত্যিই নিজেদের ব্রাহ্মণ মনে করে, এমনও নয়। ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের আবার দৈবী-গুণও ধারণ করতে হবে। আমরা হলাম সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ, আমরা শিববাবার মাধ্যমে উত্তম পুরুষে(পুরুষোত্তম) পরিণত হচ্ছি। এও সকলের স্মরণে থাকে না। প্রতিমুহূর্তে একথা ভুলে যায় যে, আমরা হলাম পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ। একথা বুদ্ধিতে থাকলেও মহান সৌভাগ্য। সর্বদা নম্বরের ক্রমানুসারে তো হয়ই। সকলেই পুরুষার্থী, তাদের নিজের নিজের বুদ্ধি অনুসারে। এখন তোমরা হলে সঙ্গমযুগীয়। তোমরা পুরুষোত্তম হতে চলেছো। তোমরা জানো যে, আমরা পুরুষোত্তম তখনই হবো যখন আব্বা-কে অর্থাৎ মোস্ট বিলাভেড স্মরণ করবো। স্মরণের দ্বারাই পাপ বিনাশ হবে। যদি কেউ পাপ করে তখন তার শতগুণ হিসাব-পত্র যুক্ত হয়ে যায়। পূর্বে পাপ করলে তখন তাদের ১০ শতাংশ (হিসাব-পত্র) যুক্ত হতো। এখন শতগুণ যুক্ত হয় কারণ ঈশ্বরের কোলে এসেও পুনরায় পাপ করে, তাই না! বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের পুরুষোত্তম অর্থাৎ দেবতা বানানোর জন্য পড়ান। যাদের এ'কথা নিশ্চিতভাবে স্মরণে থাকে তারা অলৌকিক সার্ভিসও অধিকমাত্রায় করতে থাকবে। সদা প্রফুল্লিত থাকার জন্য অন্যদেরও পথ বলে দিতে হবে। কোথাও যদি যেতেও হয়, বুদ্ধিতে যেন একথা স্মরণে থাকে যে আমরা সঙ্গমযুগে রয়েছি। এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। ওরা পুরুষোত্তম মাস বা বছর বলে। তোমরা বলো, আমরা পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ। এ (কথা) ভালভাবে বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে যে - এখন আমরা পুরুষোত্তম হওয়ার যাত্রায় রয়েছি। একথা স্মরণে থাকলে সেটাও মন্মনাভব-ই হয়ে যায়। তোমরা পুরুষোত্তম হতে চলেছো, পুরুষার্থানুসারে এবং কর্মানুসারে। দৈবী-গুণও চাই আর শ্রীমতানুসারেও চলতে হবে। নিজ-মতানুসারে তো সব মানুষই চলে। তা হলোই রাবণের মত। এমনও নয় যে, তোমরা সকলেই শ্রীমতানুসারে চলো। অনেকেই আছে যারা রাবণের মতানুসারে চলে। শ্রীমতানুসারে কেউ এত শতাংশ তো কেউ এত শতাংশ চলে। কেউ আবার দুই শতাংশও (শ্রীমতানুসারে) চলে। যদিও এখানে বসে রয়েছে তথাপি শিববাবার স্মরণে থাকে না। কোথাও-না-কোথাও বুদ্ধিযোগ বিচরণ করতে থাকবে। প্রত্যহ নিজেকে দেখতে হবে যে, আজ কোনো পাপকর্ম করিনি তো? কাউকে দুঃখ দিই নি তো? নিজের উপরে অনেক সতর্কতা রাখতে হয় কারণ ধর্মরাজও তো দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তাই না! এখনকার সময়টাই হলো হিসেব-নিকেশ চুক্ত করার। সাজাভোগও করতে হয়। বাচ্চারা জানে যে, আমরা হলাম জন্ম-জন্মান্তরের পাপী। কোথাও কোনো মন্দিরে অথবা গুরুর কাছে বা কোন ইষ্টদেবতার কাছে যাই তখন তারা বলে, আমরা জন্ম-জন্মান্তরের পাপী, আমাদের রক্ষা করো, দয়া করো। সত্যযুগে কখনো মুখে এমন শব্দ উচ্চারিত হয় না। কেউ সত্য বলে, কেউ মিথ্যা বলে। এখানেও তেমনই। বাবা সর্বদা বলেন, নিজের জীবন-কাহিনী বাবাকে লিখে পাঠাও। কেউ তো সম্পূর্ণ সত্যিকথা লেখে, কেউ লুকিয়েও রাখে। লজ্জাবোধ করে। এ তো জানে যে - খারাপ কর্ম করলে তার ফলও খারাপ পেতে হবে। সে তো হলো অল্পসময়ের কথা। এ হলো অনেক সময়ের কথা। খারাপ কর্ম করলে তখন শাস্তিভোগও করতে হবে তাহলে স্বর্গেও অনেক পরে আসবে। এখন সবকিছু জানতে পারা যায় যে, কারা-কারা পুরুষোত্তম হবে। ওটা হলো পুরুষোত্তম দৈবী-রাজ্য। তোমরা উত্তম থেকে উত্তম পুরুষ হয়ে যাও, তাই না! আর কোনো স্থানে এমন মহিমা করবে না। মানুষ দেবতাদের গুণকেও জানে না। যদিও মহিমা-কীর্তনও করে কিন্তু তোতাপাখির মতন তাই বাবাও বলেন - ভক্তদের বোঝাও। ভক্তরা যখন নিজেদের নীচ, পাপী বলে তখন তাদের জিজ্ঞাসা করো যে, যখন তোমরা শান্তিধামে ছিলে তখন সেখানে পাপ করতে? সেখানে সকল আত্মারাই পবিত্র থাকে। এখানে অপবিত্র হয়ে গেছে কারণ দুনিয়াই তমোপ্রধান। নতুন দুনিয়ায় তো পবিত্র থাকে। অপবিত্র বানায় রাবণ।

এইসময় বিশেষ করে ভারতে আর সাধারণভাবে সমগ্র দুনিয়ায় রাবণের রাজ্য রয়েছে। যেমন রাজা-রানী তেমন প্রজা। হাইয়েস্ট, লোয়েস্ট। এখানে সকলেই পতিত। বাবা বলেন, আমি তোমাদের পবিত্র করে যাই, পুনরায় কে তোমাদের অপবিত্র করে দেয়? রাবণ। এখন পুনরায় তোমরা আমার মতানুসারে পবিত্র হতে চলেছো, পুনরায় আধাকল্প পরে রাবণের মতানুসারে অপবিত্র হবে অর্থাৎ দেহ-অভিমানে এসে বিকারের বশবর্তী হয়ে যাও। একে রাবণের মত বলা হয়। ভারত পবিত্র ছিল আর এখন অপবিত্র হয়ে গেছে, পুনরায় পবিত্র হতে হবে। পবিত্র হওয়ার জন্য পতিত-পাবন পিতাকে আসতে হয়। দেখো, এইসময় কত অসংখ্য মানুষ রয়েছে। কাল কত হবে। লড়াই হবে, মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কাল এতসব কোথায় যাবে। সকলের শরীর এবং এই পুরনো দুনিয়া বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে যায়। এই রহস্য এখন তোমাদের বুদ্ধিতে এসেছে - পুরুষার্থ নম্বরের ক্রমানুসারে। আমরা কার সম্মুখে বসে রয়েছি, তাও অনেকে বোঝে না। তারা অতি স্বল্পপদের অধিকারী হবে। ড্রামানুসারে আর করতেই বা কি পারে, ভাগ্যে নেই। এখন বাচ্চাদের সার্ভিস করতে হবে, বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তোমরা হলে সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ, তোমাদের বাবার মতন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর হতে হবে। যিনি এমন তৈরী করেন, সেই পিতাকে পেয়েছো, তাই না। দেবতাদের মহিমার গায়ন করা হয় - সর্বগুণসম্পন্ন... এখন এমন গুণসম্পন্ন তো কেউ নেই। সদা নিজেকে প্রশ্ন করো যে - আমরা উচ্চপদ প্রাপ্ত করার মতন কতটা যোগ্য হয়েছি? সঙ্গমযুগকে সঠিকভাবে স্মরণ করো। আমরা হলাম সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ, যারা পুরুষোত্তম হতে চলেছি। শ্রীকৃষ্ণ তো নতুন দুনিয়ার পুরুষোত্তম, তাই না! বাচ্চারা জানে যে আমরা বাবার সম্মুখে বসে রয়েছি, তাই আরো অধিকমাত্রায় পড়াশোনা করা উচিত। পড়াতেও হবে। না পড়ালে এটাই প্রমাণিত হয় যে (নিজে) পড়েও না। বুদ্ধিতে বসে না। ৫ শতাংশও বসে না। এও স্মরণে থাকে না যে, আমরা সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ। বুদ্ধিতে যেন বাবার স্মরণ থাকে আর চক্র আবর্তিত হতে থাকে, বোঝানো তো অতি সহজ। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তিনি হলেন সর্বাপেক্ষা বড় অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ পিতা। বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করো তবেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। আমরাই পূজ্য, আমরাই পূজারী, এই মন্ত্র অত্যন্ত ভালো। ওরা আবার আত্মাই পরমাত্মা বলে দিয়েছে, যাকিছু বলে তা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা পবিত্র ছিলাম, ৮৪ জন্ম পরিক্রমা করে এখন এমন হয়েছি। এখন আমরা ফিরে যাই। আজ এখানে, কাল ঘরে যাবো। আমরা অসীম জগতের পিতার ঘরে ফিরে যাই। এ হলো অসীম জগতের নাটক যা এখন রিপীট হবে। বাবা বলেন, দেহ-সহ দেহের সর্ব সম্বন্ধকে ভুলে নিজেকে আত্মা মনে করো। এখন আমরা এই শরীর পরিত্যাগ করে ঘরে ফিরে যাই, একথা পাকাপাকিভাবে স্মরণ করে নাও, আমরা আত্মা - এও যেন স্মরণে থাকে আর নিজের ঘরও যেন স্মরণে থাকে তাহলেই বুদ্ধির দ্বারা সমগ্র দুনিয়ার সন্ন্যাস হয়ে যায়। শরীরেরও সন্ন্যাস, তো সবকিছুরই সন্ন্যাস। ওই হঠযোগীরা কি সমগ্র সৃষ্টির সন্ন্যাস করে, না করে না! তাদের (সন্ন্যাস) অসম্পূর্ণ। তোমাদের সমগ্র দুনিয়াকে ত্যাগ করতে হবে, নিজেকে দেহ মনে করে, তাই কার্যও তেমনই করে। দেহ-অভিমানী হলে চুরি-ডাকাতি, মিথ্যা বলা, পাপ করা... এইসমস্ত অভ্যাস হয়ে যায়। চিৎকার করে কথা বলারও অভ্যাস হয়ে যায়, তখন বলে যে আমাদের আওয়াজই এরকম। দিনে ২৫-৩০ পাপও করে ফেলে। মিথ্যা বলাও পাপ, তাই না! অভ্যাস হয়ে যায়। বাবা বলেন - আওয়াজ কম করতে শেখো। আওয়াজ কম করতে খুব দেরী লাগে না। কুকুর-কেও যখন ট্রেনিং দেওয়া হয় তখন সে ভালো হয়ে যায়, বাঁদর কত তীক্ষ্ণ হয়, কারোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেলে তখন নাচ ইত্যাদিও করে। পশুও শুধরে যায়। পশুদের মানুষ শুধরে দেয়। মানুষকে শুধরায় বাবা। বাবা বলেন, তোমরাও পশুদের মতোই। তাই আমাকে কূর্মাবতার, বরাহাবতার বলে দাও। যেমন তোমাদের অ্যাক্টিভিটি, তার থেকেও খারাপ আমাকে করে দিয়েছো। এও তোমরা জানো, দুনিয়া জানে না। ভবিষ্যতে তোমাদের সাক্ষাৎকার হবে। কী-কী শাস্তিভোগ করে, তাও তোমরা জানতে পারবে। আধাকল্প ভক্তি করেছো, এখন বাবাকে পেয়েছো। বাবা বলেন, আমার মতানুসারে না চললে তো সাজা আরোই বৃদ্ধি পাবে তাই এখন পাপাদি করা ছেড়ে দাও। নিজের চার্ট রাখো, সঙ্গে আবার ধারণাও চাই। কাউকে বোঝানোর অভ্যাসও চাই। প্রদর্শনীর চিত্রগুলিকে চিন্তন করতে থাকো। কাকে আমরা কীভাবে বোঝাবো। সর্বপ্রথম এই কথা বলো - গীতার ভগবান কে? জ্ঞানের সাগর হলেন পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মা, তাই না! এই পিতা হলেন সকল আত্মাদের পিতা। তাই বাবার পরিচয় তো চাই, তাই না! ঋষি-মুনি ইত্যাদি কারোর-ই না আছে বাবার পরিচয়, না রচনার আদি-মধ্য-অন্তের তাই সর্বপ্রথমে একথা বুঝিয়ে লেখাও যে, ঈশ্বর এক। দ্বিতীয় কেউ হতে পারে না। মানুষ নিজেকে ভগবান বলতে পারে না।

বাচ্চারা, তোমাদের এখন এই নিশ্চয়তা রয়েছে - ভগবান নিরাকার। বাবা আমাদের পড়ান। আমরা স্টুডেন্টস্। তিনি পিতাও, শিক্ষকও, সদ্গুরুও। একজনকে স্মরণ করলেই শিক্ষক এবং গুরু দুজনই স্মরণে আসবে। বুদ্ধি বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়। শুধুমাত্র শিব বলাও উচিত নয়। শিব আমাদের পিতাও, সুপ্রীম টিচারও, আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাবেন। সেই একের কত মহিমা রয়েছে, ওনাকেই স্মরণ করতে হবে। কেউ-কেউ তো বলে যে, এরা তো বি.কে.-দের গুরু বানিয়েছে। তোমরা তো তাদের গুরু হয়ে যাও, তাই না! কিন্তু তোমাদের বাবা বলা যাবে না। শিক্ষক, গুরু বলবে, কিন্তু বাবা নয়। এই তিনটিই একমাত্র সেই পিতাকেই বলা হবে। তিনি হলেন সর্বাপেক্ষা বড় অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ পিতা, এনার(ব্রহ্মা) উপরেও সেই পিতা রয়েছেন। এটা (কথা) ভালোভাবে বোঝাতে হবে। প্রদর্শনীতে বোঝানোর জন্য বুদ্ধি চাই। কিন্তু নিজের মধ্যে এত শক্তি নেই বলে মনে করে। বড়-বড় প্রদর্শনী হয়, তাই যারা ভালো-ভালো সার্ভিসেবেল বাচ্চা তাদের সেখানে গিয়ে সার্ভিস করা উচিত। বাবা কি বারণ করে, না করে না। ভবিষ্যতে সাধু-সন্ত ইত্যাদিদেরও তোমরা জ্ঞানের তীর বিদ্ধ করতে থাকবে। যাবে কোথায়! হাট (দোকান) তো একটাই। এই হাট থেকেই সকলের সদ্গতি হবে। এই হাট এমন যে, তোমাদের সকলকে পবিত্র হওয়ার পথ বলে দেয়, এরপর (পবিত্র) হও বা না হও।

বাচ্চারা, তোমাদের ধ্যান বিশেষভাবে সার্ভিসের দিকে থাকা উচিত। যদিও বাচ্চারা সমঝদার কিন্তু সার্ভিস সম্পূর্ণ না করলে তখন বাবা মনে করেন যে, রাহুর দশা বসে রয়েছে। দশা তো সকলের উপরেই বসে, তাই না! মায়ার প্রতিবিম্ব পড়ে পুনরায় দুদিন পর ঠিকও হয়ে যায়। সার্ভিসের অনুভব পেয়ে বাচ্চাদের আসা উচিত। প্রদর্শনী তো করতে থাকে, কিন্তু কেন মানুষ বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ লেখে না যে, সত্যিই গীতা শিব ভগবানের উবাচ(কথন), কৃষ্ণের নয়। কেউ আবার বলে, এ খুবই ভালো। মানুষের জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর, সকলকে দেখানো উচিত। কিন্তু আমিও এই উত্তরাধিকার নেবো.... এমন কেউ বলে না। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন ও সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) দেহ-অভিমানে এসে চিৎকার করে কথা বলা উচিত নয়। এই অভ্যাসকে দূর করতে হবে। চুরি করা, মিথ্যা বলা... এসব পাপ, এর থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য দেহী-অভিমানী হয়ে থাকতে হবে।

২ ) মৃত্যু সম্মুখে রয়েছে তাই বাবার শ্রীমতানুসারে চলে পবিত্র হতে হবে। বাবার হয়ে যাওয়ার (সমর্পিত) পর কোনও খারাপ কর্ম করবে না। সাজাভোগ করা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদান:-
সকলের পছন্দের সভার টিকিট বুক-কারী রাজ্য সিংহাসন অধিকারী ভব

যখন কোনও সংকল্প বা বিচার করছো তো প্রথমে চেক করো যে এই বিচার বা সংকল্প বাবার পছন্দের? যেটা বাবার পছন্দ সেটাই সকলের পছন্দ স্বতঃ হয়ে যায়। যদি কোনও সংকল্পে স্বার্থ থাকে তাহলে মন পছন্দ বলা হবে আর বিশ্ব কল্যাণার্থে হলে তখন লোক পছন্দ বা প্রভু পছন্দ বলা হবে। লোক পছন্দ সভার মেম্বার হওয়া অর্থাৎ ল' এন্ড অর্ডার এর রাজ্য অধিকার বা রাজ্য সিংহাসন প্রাপ্ত করে নেওয়া।

স্লোগান:-
পরমাত্ম সাথের অনুভব করো তো সবকিছু সহজ অনুভব করে সেফ থাকবে।

অব্যক্ত ঈশারা :- “কম্বাইন্ড রূপের স্মৃতির দ্বারা সদা বিজয়ী হও”

যেরকম শিব-শক্তি হল কম্বাইন্ড রূপ এইরকম পান্ডবপতি আর পান্ডব - এ হল সবসময়ের জন্য কম্বাইন্ড রূপ। পান্ডবপতি পান্ডবদের ছাড়া কিছু করতে পারবে না। যারা সদা এইরকম কম্বাইন্ড রূপে থাকে তাদের সামনে বাপদাদা সাকারে যেন সর্ব সম্বন্ধের সাথে হাজির থাকেন। যেখানেই ডাকবে সেখানেই সেকেন্ডে হাজির হয়ে যাবেন এইজন্য বলা হয় “হাজিরা হুজুর”।